প্রাণ খুলে হাসুন তবে দাত যেন না বেরয়..
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক নারীকে চরিত্রহীনা অপবাদ দিয়ে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এতে প্রায় দুই মাস ধরে ওই নারী মানববেতর জীবন যাপন করছে। তবে গ্রাম্য মাতব্বরদের চাপে এমনটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউপি সদস্যরা।
তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সান্দুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে সান্দুরিয়া গ্রামের আব্দুল বাকীর স্ত্রী মোছা. মহিমা খাতুনকে (৩২) কতিপয় গ্রামবাসী চরিত্রহীনা অপবাদ দিয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেয়।
বিতাড়িত মহিমা পার্শ্ববর্তী বারুহাস ইউনিয়নে পালাশী গ্রামে ভাগ্নের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন মুক্তা জানান, তিনি বিষয়টি সান্দুরিয়া গ্রামের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসার চেষ্টা করবেন মর্মে গত শুক্রবার মহিমাকে ওই গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আর জানান, মহিমা সেখানে স্বামী পরিত্যক্তা তার বোনের কাছে উঠে। কিন্তু ওই দিন কতিপয় গ্রামবাসীসহ ইউপি সদস্য মোছা. শিউলী খাতুন ও মো. আনছার আলী মহিমাকে আবার সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে গত তিন দিনে মহিমা গ্রামের কোনো বাড়িতে যেতে পারেনি।
এমনকি নিষেধাজ্ঞা থাকায় নলকূপের পানি না পেয়ে তিনি পুকুরের পানি পান করছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আনছার আলী জানান, গ্রামের প্রধান মাতব্বরদের কথায় তিনি মহিমাকে গ্রামবাসীর সঙ্গে না মিশতে বলেছেন।
ইউপি সদস্য মোছা. শিউলী খাতুন জানান, সামাজিকভাবে বয়কট করার বিষয়টি অন্যায়। তবে গ্রামবাসীর চাপে এমনটি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রফিক জানান, মহিমার দায়ের করা একটি মামলার তদন্ত চলছে।
তাকে সামাজিকভাবে বয়কটের বিষয়টি তিনি শুনেছেন।
সংবাদটি পড়ুন
এতবড় একটি ঘটনা কেন মিডিয়ায় ফলাও হলো না জানতে চাইলে দৈনিক প্রথম ভোর ও ঝালের কণ্ঠ সম্পাদকদ্বয় বিনয়ের সংগে জানান, এখানে কোনো মৌলভি ছিলনা. তাই বিষয়টিকে ফতোয়ার শিকার বা এ জাতীয় অপবাদ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, সে কারণে ফলাও করে প্রচার করতে পারছেন না বলে জানান তারা।
পাশাপাশি তারা গ্রামের মোড়ল ও মাদবরদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আপনারা এটা ঠিক করেননি, বিচার করার সময় অবশ্যই গ্রামের একজনকে টুপি পরিয়ে বসিয়ে রাখবেন, তাছাড়া আমাদের অনেক সমস্যা হয। পত্রিকাও হিট করা সম্ভব হয় না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।