জীবনের মুহূর্তগুলো ভালবাসার স্পর্শে রঞ্জিত হোক,জীবনের মুহূর্তগুলো স্বাধীনতার স্পর্শে মুখরিত হোক ** হঠাৎ করে নিজেকে বড় একা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার কেউ নেই।
এই বিশাল পৃ্থিবীতে আমাকে নিয়ে ভাবনা করার লোক নেই।
অথচ সবাই ঠিকই আমার কথা ভাবে, আমাকে অনেক ভালবাসে।
গত রাত্রে আমার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলছিল, “তুমি অনেক ভাল একটা মেয়ে, কিন্তু অনেক বোকা একটা মেয়ে।
“ বন্ধু- বান্ধবী মহলে আমি ভাল কিন্তু বোকা বিশেষনে ভুষিত।
বোকা কেন , বন্ধু বান্ধবদের জন্য সি,জি,পি, এ খারাপ করেও ওদের ভাল রেজাল্টের জন্য ব্যতিব্যস্ত থাকতাম , তিক্ত হলেও সত্য ওরা নিজেদের স্বার্থ বজায় রেখে তারপর উপকার করে, কিন্তু আমি কেমন জানি এত কিছু বুঝতাম না, অনেক সম্ভাবময়ী হওয়া সত্তেও আমি মোটামুটি একটা সি,জি,পি, এ নিয়ে বের হয়েছি । অনেক বন্ধু-বান্ধবকে স্যার- ম্যাডামকে বোকা বানিয়ে নম্বর নিতে দেখেছি । অবাক হয়েছি আমার থেকে মেরিট কম গুলি কিনা আমার থেকে বেশি সি,জি,পি, এ নিয়ে বের হয়েছে, একে নাকি বলে স্মার্টনেস। আমি স্মার্ট নই, সোজ়া , মানে অচল।
তবে এটা সত্য পড়তে গেলে কারও সাহায্য ছাড়া কেউ উঠতে পারে না।
আমাদের বন্ধু- বান্ধবীদের মধ্যে কিছু টেলেন্ট আছে যারা একা -একাই পথ পাড়ি দিয়েছে।
আমি বিভিন্ন কাজে ব্যতিব্যস্ত থেকে কিছু পরীক্ষা খারাপ দিয়েছি।
কেন আমার মাঝে সাঝে পরীক্ষা খারাপ হয় ?
জানি না এর উত্তর আজও আমি খুঁজে পাই না।
শুধু মনে পড়ে, ভাল না করতে পারলে বাসা থেকে আমার মার অভিশাপের কথা মনে পড়ে।
তুই জীবনে কিচ্ছু করতে পারবি না। কেন মারা এরকম অভিশাপ দেয়।
কেন মেয়ে বড় হতে শুরু করলে মেয়েদের মঙ্গল চাওয়াটা বন্ধ হয়ে যায়।
খুব ভাল হলে ওদেরকেও আমি মন খারাপ করতে দেখি। কেন জানি ওতো খুশি হয় না।
আমার সাফল্যে আমি শুধু আমার আব্বাকে খুশি হতে দেখতাম। তিনি আমাকে অনেক ভালবাসতেন। আমি আমার আব্বার মত হয়েছি । আমি সবার সাফল্যে খুশি হই।
নিজে দুঃখী করেও অন্যের খুশিতে খুশি থাকার চেষ্টা করি ।
তাই অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্তেও আমি আমার আব্বার মত অবহেলিত থেকে যাই।
শুধু উপাধি পাই ভাল ও বোকা মেয়ে ** ।
*** এটি একটি কল্পিত মেয়ের আত্মকাহানী । **
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।