মালিকানা বদলের পর আমাদের সময় পত্রিকা থেকে চাকরী হারান অনেকেই। এ তালিকায় ছিলেন দীনেশ দাসও।
স্ত্রী, বন্ধু আর সহকর্মীদের কাছে চাকরী হারানোর কথা বললেও, নয় বছরের মেয়ে অথৈকে জানাননি এ খবরটি। চাকরী হারানোর পর তিনমাস ছিলেন বেকার। পুরনো অফিস থেকে মেলেনি পাওনা বেতন।
বাসা ভাড়া, দৈনন্দিন খরচ আর মেয়ের স্কুল ফি- সব নিয়ে নানা দুশ্চিন্তায় ছিলেন আমাদের প্রিয় দীনেশ দা।
বাবার চাকরী হারানোর খবর না জানলেও, আজ ৯্ জানুয়ারি দুপুরে নয় বছরের মেয়ে অথৈ জেনেছে তার বাবা তাদের ছেড়ে চলে গেছেন।
সকালে মেয়েকে ভিকারুন্নেসা স্কুলে দিয়ে তখনই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আসার কথা ছিলো দীনেশ দা’র।
কিন্তু এসেছেন একটু দেরিতে। বেলা ১২:৩০টায়।
তবে কফিন বন্দি হয়ে।
কফিনে মোড়া দীনেশকে দেখতে এসেছিলেন তার পত্রিকার আগের সম্পাদকও। যারা দীনে দা’র পাওনা না মিটিয়েই বিদায় করেছিলেন।
আর তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকরোষ থেকে বাঁচতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আসেননি। আসবেন কেনো? উনারা তো বেশ ভালোই আছেন! উনাদের সন্তান বা স্বজনরা ভালোই আছেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।