কাকরাইলে গত ৮ই জানুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক দীনেশ দাশ এর মৃত্যুর প্রতিবাদে টানা দু’দিন প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
দুদিনে প্রায় ১০ ঘন্টার অবরোধে বন্ধ ছিলো প্রেসক্লাবের রাস্তা।
৯ই জানুয়ারি সকালে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে সংহতি জানাতে আসেন অনেকেই। কেউ সংগঠনের ব্যানারে। কেউবা একা।
বেলা দেড়টার দিকে সাংবাদিক নেতারা জানান বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের, অবরোধ-বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারণ দাবিদাওয়া নাকি অর্জন হয়েছে।
অর্জনটা কি?
সাংবাদিক নেতারা বললেন, সরকার দীনেশ দাশ এর পরিবারকে এককালীণ ১০ লাখ টাকা, তার স্ত্রীকে সরকারী সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ এ চাকরী আর তার নয় বছরের মেয়েকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত বিনাখরচে পড়ানো হবে।
ব্যস? সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো?
সরকারের আশ্বাসে খুশি সাংবাদিক নেতারা! সরকারও অনেকটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো যেনো!
কিন্তু, এমন আশ্বাসে কি গুরুতর এ সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো? সাংবাদিকরা কি শুধু ক্ষতিপূরণের জন্যই টানা দু’দিন আন্দোলন করলেন?
৮ই জানুয়ারি দীনেশ দাশ মরলেন। এর আগে দূর্ঘটনায় পা হারিয়েছেন কালের কণ্ঠের সাংবাদিক নিখিল ভদ্র।
তারো আগে মানিকগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান সর্বজনশ্রদ্ধেয় সাংবাদিক মিশুক মুনীর আর গুনী নির্মাতা তারেক মাসুদ।
প্রতিদিনই সারাদেশে সড়ক দূর্ঘটনায় কেউ না কেউ মরছে। তাদের ক্ষতিপূরণ কিভাবে দেয়া হচ্ছে। কতজনকে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার?
তাহলে?
শেকড়ে কী আমরা যাবো না?
চিত্রনায়ক ইলিয়াক কাঞ্চন জানালেন, প্রতিদিন প্রায় ৫৭ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় পরিবহন খাত থেকে। এ টাকার ভাগ সরকারের সব মহলে যায় বলে অভিযেডাগ করলেন তিনি।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী বারবার বেপরোয়া চালকদের পক্ষ নিচ্ছেন।
অথচ আমরা কী শুধু ক্ষতিপূরণেই খুশি থাকবো? ক্ষতিপূরণ পেলেই কী সব শেষ! আর কোন দায় নেই আমাদের।
সাংবাদিক নেতারা বললেন, এই প্রথম কোন তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখা হয়েছে! বলার সময় বেশ খুশি খুশি মনে হচ্ছিলো তাদের!
বাহ! খুশি সবাই! এভাবেই চলবে?
কাকে প্রশ্ন করবো? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।