হরিষে বিষাদ
Click This Link
এবার টিসিবির ভাড়া করা স্টাফ বাসের চাপায় প্রাণ হারালেন সাংবাদিক দীনেশ দাশ (৪৭)।
রোববার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল গির্জার সামনে টিসিবির স্টাফ বাস তাকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিনি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। টিসিবির বাসটি স্টাফদের নিয়ে কারওয়ানবাজার যাচ্ছিল।
পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
এদিকে টিসিবির ভাড়া করা বাসটি (ঢাকা মেট্রো- জ ১৪-২৪৩৫) আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া বাসের চালক বাদশাহ মিয়াসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাদশাহ মিয়া প্রথমে নিজেকে বাসের হেলপার বলে পরিচয় দেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চালক বলে স্বীকার করেন। বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের অভিযোগে বাদশাহ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও তখন থেকে পুলিশের কাছে জব্দ আছে। তার বাড়ি শরিয়তপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের এলাকায়।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস ফকির জানান, বাসটি ছিল টিসিবির ভাড়া করা বাস। স্টাফদের নিয়ে কারওয়ানবাজারে যাচ্ছিল। চালক বাদশাহ মিয়ার ড্রাইভিং লাইসেন্স পুলিশের কাছে জব্দ আছে।
তার লাইসেন্স সঠিক কিনা তা বিআরটিএর মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হবে।
আটক অন্যজনের নাম হাসান। তবে তিনি অন্য বাসের হেলপার বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।
দীনেশের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর বানিয়াপাড়া উপজেলার রাণীনগরে। তিনি পূর্ব রামপুরায় স্ত্রী পলি দাশ ও কন্যা অথৈ দাশকে নিয়ে বাস করতেন।
কন্যা অথৈ দাশ ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দিকে যাচ্ছিলেন।
খবর পেয়ে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীনেশ দাশের মরদেহ দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘একের পর এক এমন দুর্ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। এমন দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহতের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। ’
দীনেশ দাশের নিহত হওয়ার খবরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য আমরা সরকারের কাছে যতই দাবি জানাচ্ছি, সরকার এ নিয়ে ততই তামাশা করছে। এভাবে একের পর এক মূল্যবান জীবন চলে যাচ্ছে, এতে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে নাগরিকরা আন্দোলন করলে সরকার তা নিয়ে রাজনীতি করে।
এসব অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ীদের আমরা ধিক্কার জানাই। ’
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা দীনেশের মৃত্যুতে ছুটে আসেন।
সাংবাদিক নেতারা জানান, দীনশ দাশের মরদেহ বেলা একটায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে, দু’টায় প্রেসক্লাবে এবং তিনটায় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
বিকেল চারটায় নওগাঁয় তার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।
দীনেশ দাশ সর্বশেষ দৈনিক আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক (সিনিয়র রিপোর্টার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মাস দেড়েক আগে তিনি চাকরি ছেড়েছেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিআরটিসির বাস চাপায় গুরুতর আহত হন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে বাস চলে যায়। পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তার ওই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলতে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
এবার টিসিবির ভাড়া করা স্টাফ বাসের চাপায় প্রাণ হারালেন সাংবাদিক দীনেশ দাশ (৪৭)।
রোববার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল গির্জার সামনে টিসিবির স্টাফ বাস তাকে চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিনি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। টিসিবির বাসটি স্টাফদের নিয়ে কারওয়ানবাজার যাচ্ছিল।
পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়।
এদিকে টিসিবির ভাড়া করা বাসটি (ঢাকা মেট্রো- জ ১৪-২৪৩৫) আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া বাসের চালক বাদশাহ মিয়াসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। বাদশাহ মিয়া প্রথমে নিজেকে বাসের হেলপার বলে পরিচয় দেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চালক বলে স্বীকার করেন। বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের অভিযোগে বাদশাহ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও তখন থেকে পুলিশের কাছে জব্দ আছে। তার বাড়ি শরিয়তপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের এলাকায়।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস ফকির জানান, বাসটি ছিল টিসিবির ভাড়া করা বাস। স্টাফদের নিয়ে কারওয়ানবাজারে যাচ্ছিল। চালক বাদশাহ মিয়ার ড্রাইভিং লাইসেন্স পুলিশের কাছে জব্দ আছে।
তার লাইসেন্স সঠিক কিনা তা বিআরটিএর মাধ্যমে যাচাই করে দেখা হবে।
আটক অন্যজনের নাম হাসান। তবে তিনি অন্য বাসের হেলপার বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।
দীনেশের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর বানিয়াপাড়া উপজেলার রাণীনগরে। তিনি পূর্ব রামপুরায় স্ত্রী পলি দাশ ও কন্যা অথৈ দাশকে নিয়ে বাস করতেন।
কন্যা অথৈ দাশ ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দিকে যাচ্ছিলেন।
খবর পেয়ে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীনেশ দাশের মরদেহ দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘একের পর এক এমন দুর্ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। এমন দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহতের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। ’
দীনেশ দাশের নিহত হওয়ার খবরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য আমরা সরকারের কাছে যতই দাবি জানাচ্ছি, সরকার এ নিয়ে ততই তামাশা করছে। এভাবে একের পর এক মূল্যবান জীবন চলে যাচ্ছে, এতে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে নাগরিকরা আন্দোলন করলে সরকার তা নিয়ে রাজনীতি করে।
এসব অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ীদের আমরা ধিক্কার জানাই। ’
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা দীনেশের মৃত্যুতে ছুটে আসেন।
সাংবাদিক নেতারা জানান, দীনশ দাশের মরদেহ বেলা একটায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে, দু’টায় প্রেসক্লাবে এবং তিনটায় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
বিকেল চারটায় নওগাঁয় তার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।
দীনেশ দাশ সর্বশেষ দৈনিক আমাদের সময়ের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক (সিনিয়র রিপোর্টার) হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মাস দেড়েক আগে তিনি চাকরি ছেড়েছেন।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিআরটিসির বাস চাপায় গুরুতর আহত হন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিখিল ভদ্র। তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে বাস চলে যায়। পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তার ওই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলতে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।