অসাড় বিকলাঙ্গ হাতে অপার সুখের ছোঁয়ায় মগ্ন থাকি একটি কৌতুক বলি।
পুলিশ একদিন অভিজান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানা আবিস্কার করল। বিপুল পরিমান জাল টাকা আর সরঞ্জাম সহ গ্রেপ্তার করা হল এক যুবককে। পুলিশের ইনস্পেক্টর ঝারি মেরে বললেন
-ব্যাটা তুই করছিস কি? কিভাবে এই বুদ্ধি তোর মাথায় আসল ?
-স্যার,বইতে পরেন নাই...Necessity is the mother of invention.টাকার দরকার ছিল বানাই নিচ্ছিলাম।
হাসি বোধহয় আসল না।
কি করবো বলেন ভাই,বড়ই চিন্তায় আছি,ঠিক মত বাথরুম করতে পারতেছি না। প্রশ্ন করেন কেন ?
উত্তর ভাইসব আপনাদের সাম্নেই আছে। এই ভাদা কিংবা রাজাকার যারা আছ পোস্ট হইতে কিঞ্ছিত দূরে থাক। সম্মানিত ভদ্র সমাজ, পিচ্ছি কাল হইতে আমি নিতান্ত ভিতু মানুষ । তাই রাজনীতি নিয়া ফাল পারাপারি না করে, একটু ফেসবুক বা ব্লগে দুই একখান স্ট্যাটাস দিতাম।
ভদ্র সমাজ, সকালে উঠে বাথরুমে গিয়া দৈনিক পত্রিকা পরার সময় দেশের মাথাগুলার উপর কমডে যে জিনিস ত্যাগ করি তা ত্যাগ করার তীব্র বাসনা নিয়ে ব্যর্থ মনে দিন শুরু করতাম। মাননীয় সরকারে নতুন আইন এবং তার প্রয়োগের ফলে যে এখন বাথরুমে গাইল দিতেও ভয় পাই। মনে হয় এই বুঝি বাথরুম নিয়ে কোন আইন পাশ হবে আর মাননিয় আমাকে গদাম দিবেন।
যাহা হউক। ভদ্র সমাজ,ঠিক মত মুখের ব্যায়াম না করিতে পারিলে আমার প্রাকৃতিক কর্মে বিবিধ সমস্যা হয়।
ভদ্র সমাজ,দুই তিনদিন এই যন্ত্রণা ভোগ করে আমি গোরস্থানে গেলাম। মুর্দা ব্যাক্তিদের মাঝে মন খুলে ...... বলে মনের জ্বালা মিটাব। ওমা সেই খানে পৌঁছাইয়া যেই মাত্র শুরু করিলাম... তখনি কবর হইতে গায়েবি আওয়াজ,বাইচ্ছা থাকতে বহুত জ্বালা সইসি,বাজান অন্তত একটু এইখানে শান্তিতে থাকতে দে।
আমি আর পারতেছি না। এভাবে চলতে থাকলে নির্দ্বিধায় আমি আত্মহত্যা করব।
তাই,ভদ্র সমাজ আমাকে একটি উপায় বলে আমাকে চড়া সুদের ঋণে আবদ্ধ করে ঋণখেলাপি হবার সুযোগ করে দিবেন।
কষ্ট করে আমার জন্য চিন্তা করবেন তাই আপনাদের জন্য ছোটো একখান ভিডিও-
চিন্তা করেন এদের কয় মাস জেল দেয়া উচিৎ আছিল...
শেষ করবো রুদ্র মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহার একটি কবিতা দিয়ে-
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই
আজো আমি মাটিতে মৃত্যূর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে…
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময় ?
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
মাটিতে লেগে আছে রক্তের দাগ।
এই রক্তমাখা মটির ললাট ছুঁয়ে একদিন যারা বুক বেঁধেছিলো।
জীর্ণ জীবনের পুঁজে তারা খুঁজে নেয় নিষিদ্ধ আধাঁর,
আজ তারা আলোহীন খাঁচা ভালোবেসে জেগে থাকে রাত্রির গুহায়।
এ যেন নষ্ট জন্মের লজ্জায় আরষ্ট কুমারী জননী,
স্বাধীনতা – একি হবে নষ্ট জন্ম ?
একি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল ?
জাতির পতাকা খামচে ধরেছে আজ পুরোনো শকুন।
বাতাশে লাশের গন্ধ
নিয়ন আলোয় তবু নর্তকীর দেহে দুলে মাংসের তুফান।
মাটিতে রক্তের দাগ -
চালের গুদামে তবু জমা হয় অনাহারী মানুষের হাড়
এ চোখে ঘুম আসেনা। সারারাত আমার ঘুম আসেনা-
তন্দ্রার ভেতরে আমি শুনি ধর্ষিতার করুণ চিৎকার,
নদীতে পানার মতো ভেসে থাকা মানুষের পচা লাশ
মুন্ডহীন বালিকার কুকুরে খাওয়া বিভৎস্য শরীর
ভেসে ওঠে চোখের ভেতরে। আমি ঘুমুতে পারিনা, আমি
ঘুমুতে পারিনা…
রক্তের কাফনে মোড়া – কুকুরে খেয়েছে যারে, শকুনে খেয়েছে যারে
সে আমার ভাই, সে আমার মা, সে আমার প্রিয়তম পিতা।
স্বাধীনতা, সে আমার – স্বজন, হারিয়ে পাওয়া একমাত্র স্বজন -
স্বাধীনতা – আমার প্রিয় মানুষের রক্তে কেনা অমূল্য ফসল।
ধর্ষিতা বোনের শাড়ী ওই আমার রক্তাক্ত জাতির পতাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।