যে সময়ের কথা বলছি তখন S.S.C পরীক্ষার মাত্র ১০-১৫ দিন বাকি। মফস্বল শহর কিশোরগঞ্জ-এ তখন হাতে গোনা ২-৩ টা কোচিং সেন্টার। (এখন অবশ্য ছাত্রছাত্রীর থেকে কোচিং সেন্টার বেশি)। বন্ধুরা সবাই কোচিং-এ ঢুকেছিল। আমি কোন কোচিং করি নি।
প্রস্তুতি শেষ করতে পারি নি। খুব টেনশনে আছি। এমন সময় দুই বন্ধু এসে বুদ্ধি দিল হুজুরের কাছ থেকে তাবিজ এবং দোয়া নিয়ে আসতে। তাহলে পরীক্ষায় স্টার পাওয়া কেও ঠেকাতে পারবে না।
যা ভাবা সেই কাজ।
বিকেলেই আমরা বের হলাম। প্রথমে গেলাম শ্রদ্ধেয় আনোয়ার শাহ হুজুরের কাছে। এত সুন্দর কণ্ঠ আল্লাহ খুব কম মানুষকেই দিয়েছেন। হুজুর আমাদেরকে দোয়া করে দিলেন। তারপর গেলাম শ্রদ্ধেয় আতাউর রহমান খান (বর্তমানে পরলোকগত) হুজুরের কাছে।
তিনি আমাদের কলমগুলোতে দোয়া পরে ফুঁ দিয়ে দিলেন। সবশেষে গেলাম শ্রদ্ধেয় শরফুদ্দিন হুজুরের কাছে। তিনি আমাদের তিনজনকে তিনটা তাবিজ দিয়ে দিলেন।
আমদের আর কে পায়। খুশিমনে আমরা চলে এলাম।
পরিক্ষার পর সবাই টেনশনে থাকলেও আমাদের কোন চিন্তা নেই। তাবিজ বলে কথা।
যথাসময়ে রেজাল্ট হল। আমি 1st division পেলাম। আমার এক বন্ধু star marks পেল আর আরেকজন fail করে বসল ।
আজ সেই ঘটনার ঠিক ১ যুগ পর স্মরণ করতে গিয়ে মনে পরে আমরা সবাই তাবিজ নিয়ে খুব খুশিমনে বাসায় ফিরেছিলাম। তাবিজটাকে অনেক যত্ন করে রেখেছিলাম। কিন্তু তিনজন হুজুর-ই আরও একটা কথা বলেছিলেন যেটাকে আমরা সমানভাবে পাত্তা দেই নি। তা হল তারা তিনজনই আমাদেরকে খুব মন দিয়ে অন্যান্য কাজ বাদ দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেছিলেন। এটাই ছিল আসল কথা।
আর তাবিজ এবং দোয়া দিয়েছিলেন আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য। কারন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।