পরাজিত কর্পোরেট লোকজনের মধ্যে প্রধানত তিন ধরণের বিভাজন দেখা যায়।
১। আসল কর্পোরেট লোকজনঃ
এরাই হইল কোন কর্পোরেট কোম্পানীর মাথা জাতীয় লোকজন। এদের দেখলে অফিসের সব লোকজনের কর্ম ব্যাস্ততা বাইরা যায়। এরা কখন যে রূমে ঢুকে আর কখন যে বাইর হয় টের পাওয়া যায় না।
এরা কই খায় কি খায় আর কখন খায় অফিসের লোকজন কেউ টের পায় না। কর্পোরেট যে কোন পার্টিতে এরা ডানাকাটা পরীদের দ্বারা বেষ্টিত থাকে।
২। ভাবের কর্পোরেট লোকজনঃ
এরা হইল ভাবের কর্পোরেট। খুব ভাব ভঙ্গি লইয়া ঘুরতে থাকে।
চিপা প্যান্ট, চিপা শার্ট, চোখা মাথা ওয়ালা শু পইরা ঘুরে। "আড় এংলিশ ঊচ্চাড়ণে ব্যাংলা" বলে। মাথায় জেল আর দাড়িতে নানা বাঁক। এরা পারে না, কাঁটা চামচ দিয়া চা ও খায়।
কর্পোরেট যে কোন পার্টিতে এরা ডানাকাটা পরীদের ডাইনে বায়ে চাইর পাশে ঘুরতে থাকে, যদি কেউ ভুলেও এগোরে হাই হ্যালো দিয়া বসে, এরা আগামী ১ মাসের গল্প করার টপিক পাইয়া যায়।
ও হ্যা, এরাই কিন্তু অফিস টাইমে এমন ভাবে ফেসবুকিং করে দেখলে মনে হইব, অফিসের কামের লাইগা এরা এগ জীবনটা তেজপাতা বানায়া ফালাইতাছে।
৩। অসহায় কর্পোরেট লোকজনঃ
এরা হইল ঠেকায় পইড়া কর্পোরেট। সাধারণত ট্যাকনিকাল লোকজন এমন। ঠেকায় পইড়া ফর্মাল জামা কাপড় পইড়া আসে আর সবসময় বিড়বিড় করতে থাকে, জিন্স পড়তে পারলে এদের কাজের আউটপুট আরো কত ভালো হইত।
কর্পোরেট যে কোন পার্টিতে এরা কারো দ্বারা বেষ্টিত থাকে না। কোন এক চিপায় খাড়ায়া উদাস নয়নে পরী গুলা দেখতে থাকে আর জুস খাইতে থাকে, আর চিন্তা করে বিবিএ পড়লেই ভালো হইত, কেন যে বাল ফালাইতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেসিল।
** পরে আপডেট হইতে পারে, আবার নাও পারে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।