(গল্প নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট খুব মজার। তাই সুযোগ পেলেই এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। এ গল্পটি ও একটা এক্সপেরিমেন্ট। গল্পে আমরা ফার্স্ট পারসন অথবা থার্ড পারসনের ব্যবহার দেখতে অভ্যস্ত। আমি এ গল্পে সেকন্ড পারসন ইউজ করলাম।
গল্প বলার ধরনটাও একটু অন্যরকম। আপনাদের ভাল লাগবে কিনা জানিনা। )
দরজাটা যদি আপনি না খুলে দিতেন তবে হয়তো তার সাথে কোনদিনই দেখা হতো না। সে আপনার বাবার অপিসে সামান্য পদে চাকুরি করত। সেদিন কি একটা দরকারে আপনার বাবাই তাকে ডেকেছিলেন।
আর এভাবেই আপনার সাথে তার দেখা। দেখা না হলেই বরং ভাল ছিল। তার সাথে আপনার কোনো কথা বলতে হতো না। আর কথা না বললে তাকে ভাল লাগার কোনো প্রশ্ন আসতো না। কারণ, রাশেদ যতোটা সুভাষী ঠিক ততোটাই শ্রীহীন।
একেবারে শ্রীহীন রাশেদকে প্রথম দেখাতে আপনার মত এক আধুনিকার ভাল লেগে যাবে -এ অসম্ভব! সেই ভাল লাগা থেকে ভালবাসা।
আর ভাল না বাসলে তাকে বিয়ে করে বাবা-মা’র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কোনও প্রয়োজন পড়তো না। বিয়ে না করলে, এত কষ্ট করে, মেয়েটিকে বড় করে তুলতে হতো না। এবং সেই মেয়েটিই যদি আজ সকালে এভাবে একটি ছেলের সাথে পালিয়ে না যেতো তবে আপনি কখনো বুঝতে পারতেন না, বাবা-মার বিনানুমতিতে রাশেদকে বিয়ে করে আপনার বাবা-মাকে আপনি কতটা কষ্ট দিয়েছিলেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।