আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনগনের স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা

সূচনা ছাড়া ই লিখলাম.... জাতীয় বিশ্ববিদ্ব্যলয়ের অধিনে ৪বছরের অনার্স কোর্সের ৩য় বর্ষ শেষ করতে লাগলো ৫ বছর ৬ মাস। সমাজকর্মের ছাত্র হওয়ায় ৪র্থ বর্ষে ব্যবহারিক শিক্ষা ( ফিল্ড ওয়ার্ক) করতে হবে কমপক্ষে ৬০ কর্ম দিবস। আমাদের ফিল্ড ওয়ার্ক নির্ধারিত হল " হাসপাতাল সমাসসেবা কার্যক্রম। আর আমাদের কেন্দ্র পড়ল " বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়" (PG Hospital). আমাদের কাজ হলো অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিসৎসা সেবা ও কোন পরীক্ষা থাকলে ফ্রী করিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করা। যারা নতুন এই হাসপাতালে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।

এটাই আমাদের স্বাভাবিক কাজ। INTER MISSION সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে বিশেষ করে গরীব রোগীরা। তুলনা মূলক খরচ কম ...... ইত্যাদি সুবিধা পাোয়ার জন্য ই। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্তি যে রোগীদের সাথে কী ধরনের আচরণ করেন সরকারী হাসপাতালের ডাক্তাররা ( আমার মনে হয় প্রভু তার দাস দাসীকে যে ভাবে ব্যাবহার করেন), এটা ই কি আমাদের কাম্য? কোন রোগীকে ২০-৩০ সেকেন্ড এর বেশি সময় দেওয়া হয়না!! আর এই সময়ে রোগীর কি চিকিৎসা করেন ডাক্তাররা? রোগীর কথা শুনেন না কি ঔষদের নাম লিখেন ? আর রোগী কিছু জিজ্ঞাস করলে ই হাতে ধরিয়ে দেন ভিজিটিং কার্ড ( প্রাইভেট চেম্বারে দেখা করার জন্য) আর এটাই কি হওয়া উচিত? সমাজ সেবা অফিস থেকে দরিদ্র মানুষেরা যে সুবিধা পাওয়ার কথা তার কতটুকু পান তার ২৫-৩০% ই ভোগ করেন সমাজসেবা অফিসাররা! যে খানে এক দোকানে ঔষধের ১০ টাকা সেখানে সেই ঔষধের দাম ই ১২-১৩ টাকা সমাজসেবার শিক্ষার্থীরা গেলে! আবার এই দোকান থেকেই ঔষধ কিনতে হবে সমাজসেবা অফিসারদের নির্দেশ। এর পিছনে কি যুক্তি থাকতে পারে? শাররিক সুস্থ্যতাই শুধু সু্স্থ্যতা নয় মানুসিক ও শাররীক সুস্থ্যতা মিলেই প্রকৃত সুস্থ্যতা।

সরকারী হাসপাতালের ডাক্তাদের কাছে একটাই আবেদন আপনাদের আচরণে অনেক রোগীর বাচাঁ মরা নির্ভর করে। অনুগ্রহ করে আর একটু সহানুভূতি দেখান অসহায় রুগীদের প্রতি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.