মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ১৯৮১ সালের ৩০শে মে, একটি নক্ষত্রের ঝরে পরা, শোকে মূহ্যমান জাতি - পর্ব ৫
------------------------------------------------ ডঃ রমিত আজাদ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আমি গত পর্বে লিখেছিলাম যে, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ড আমার মনে গভীর ছাপ ফেলে। শোকার্ত হৃদয়ে আমি প্রবল আগ্রহে জানতে চাইলাম কি করে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলো? কি হয়েছিলো সেদিন সার্কিট হাউজে? কেন উনাকে রক্ষা করতে পারলো না উনার গার্ড রেজিমেন্ট? কারা এর পিছনে ছিলো? কেন তারা হত্যা করলো জিয়াউর রহমানকে? কেন তাদের এতো আক্রোশ? কি ছিলো তাদের উদ্দেশ্য? এর পিছনে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিলো কি? পরদিন থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আসতে থাকলো এই বিষয়ক লেখা, রিপোর্ট, প্রতিবেদন, সংবাদ ইত্যাদি। গোগ্রাসে গিলতে থাকলাম, আর জানতে থাকলাম অনেক অজানা অধ্যায়।
এরপর কয়েকজন পাঠক আমার কাছে দ্রুত পরবর্তি পর্ব চাইলেন এবং তারা ঐ অজানা অধ্যায় গুলো জানতে চাইলেন। আমি মনস্থির করেছিলাম যে, পঞ্চম পর্বে এই বিষয়ে লিখবো।
পরে ভেবে দেখলাম যে, ঐ বিষয়টিতে যাওয়ার আগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কিছু দিক তুলে ধরা প্রয়োজন। তা না হলে উনাকে হত্যার কারণটি স্পষ্ট হবেনা।
তাই আমি এই পর্ব ও পরের পর্বটিতে কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করবো।
১। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী
২।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অতিদূর থেকে আমি যেমন দেখেছি
৩। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান।
৪। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন।
৫।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি।
৬। মাওলানা ভাষাণী ও জিয়াউর রহমান
৭। জিয়াউর রহমানের সীমাবদ্ধতা।
৮।
জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
উপরোক্ত আটটি পয়েন্টের পর যদি আরো কিছু যোগ করার থাকে পাঠকদের প্রতি অনুরোধ রইলো, আপনারা আমাকে অবহিত করবেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মনসুর রহমান এবং মাতার নাম ছিল জাহানারা খাতুন ওরফে রানী। পাঁচ ভাইদের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়।
তাঁর পিতা কলকাতা শহরে এক সরকারি দপ্তরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর শৈশবের কিছুকাল বগুড়ার গ্রামে ও কিছুকাল কলকাতা শহরে অতিবাহিত হয়। ভারতবর্ষ বিভাগের পর (১৯৪৭) তাঁর জন্মস্থান পূর্ব পাকিস্তানের অংশে চলে আসে এবং তাঁর পিতা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চলে যান। তখন জিয়া কলকাতার হেয়ার স্কুল ত্যাগ করেন এবং করাচি একাডেমী স্কুলে ভর্তি হন। ঐ স্কুল থেকে তিনি ১৯৫২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং তারপর ১৯৫৩ সালে করাচিতে ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন।
একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।
শিশু জিয়ার ডাক নাম ছিলো কমল। এই কমল ছিলেন লাজুক স্বভাবের। তবে তাকে সবাই খুব ভালোবাসতো। তার এক আন্কেল ছিলেন সৈন্য।
সেই আন্কেলের পোষাকটি নিয়ে শিশু জিয়ার আগ্রহ ছিলো ভীষণ। সেখান থেকেই হয়তো তাঁর মনে আগ্রহ জন্মেছিলো সেনা কর্মকর্তা হওয়ার।
১৯৫৩ সালে তিনি কাকুল পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হন। তিনি সেখানে দুই বছর চাকুরি করেন, তারপর ১৯৫৭ সালে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন।
তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ঐ সময়ই ১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের দিনাজপুর শহরের বালিকা, খালেদা খানমের সঙ্গে জিয়াউর রহমান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে একটি কোম্পানির কমান্ডার হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। যুদ্ধে দুর্ধর্ষ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ করে, জিয়াউর রহমানের কোম্পানি ছিল এদের অন্যতম। এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য পাকিস্তান সরকার জিয়াউর রহমানকে হিলাল-ই-জুরাত খেতাবে ভূষিত করে ।
জীবিত সেনা হিসাবে এই খেতাবটিই সর্বচ্চো। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের ইউনিট এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দুটি সিতারা-ই-জুরাত এবং নয়টি তামঘা-ই-জুরাত মেডাল লাভ করে। ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পেশাদার ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ লাভ করেন। সে বছরই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটার স্টাফ কলেজে কমান্ড কোর্সে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হয়ে জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন।
উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানিতে যান। ১৯৭০ সালে একজন মেজর হিসেবে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদের দায়িত্ব লাভ করেন।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর বর্বরের মতো ঘৃণ্য হামলা চালায়। পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় বাঙালি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বন্দী হন। ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার দ্বিতীয় প্রধান অভিযুক্ত লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন (যিনি অনেক আগেই পাকিস্তানী সৈনিকদের হটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন গ্রহন করে, বিনা রক্তপাতে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন) তিনি ধৃত ও নিহত হন।
এদিকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের একটা বিরাট অংশ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে।
এদিকে, ১৯৭১ সালে ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অবস্থান ছিলো চট্টগ্রামের ষোল শহর এলাকায়। পতেঙ্গায় সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের কথা বলে পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা জানজুয়া মেজর জিয়াকে ৩নং সি কোম্পানী নিয়ে ২৫ মার্চ জেটিতে যাবার নির্দেশ দেয়। মেজর জিয়া জেটিতে গিয়ে বুঝতে পারেন অস্ত্র খালাসের নামে কৌশলে তাকেও সৈন্যদের ইউনিট থেকে সরিয়ে এনে হত্যার পাকিস্তানীদের পরিকল্পনা।
তিনি বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সুকৌশলে নৌবাহিনীর একটি জীপ নিয়ে একজন সুবেদার সহ নিজ ইউনিট ষোলশহর এসে পৌঁছেন। তিনি ইউনিটে ফিরে সিপাহী জমির আহমদসহ অন্যান্য বাঙালি সৈন্যদের জানান প্রাণে বাঁচতে হলে সকল পাকিস্তানীদের একটি রুমে এনে হত্যা করে দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়তে। (৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের রণাঙ্গনে সেই রক্তঝরা দিনগুলোর স্মৃতি বর্ণনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জমির আহমদ। )
Click This Link
বাঙালি সৈন্যদের নিয়ে জেটিতে যাবার পর মেজর জিয়া বুঝতে পেরেছিলেন অস্ত্র খালাসের নাম করে তাদের সেখানে নেয়া হয়েছিলো হত্যা করার উদ্দেশ্যে। কারণ ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩নং সি কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ক্যাপ্টেন শামসুজ্জামানকে জেটিতে না পাঠিয়ে মেজর জিয়াকে সেখানে পাঠানোর পাকিস্তানীদের এমন আসল উদ্দেশ্য তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
তিনি বুদ্ধি খাটিয়ে সুবেদার এনামুলকে সঙ্গে নিয়ে জেটি থেকে নৌবাহিনীর একটি জিপ নিয়ে নিজ ইউনিটে ফিরে এসে আমাদের বলেন, প্রাণে বাঁচতে হলে এক্ষুণি পাক কমান্ডার জানজুয়া ও পাকিস্তানী সৈন্যদের একটি রুমে আটক করে হত্যা করার জন্য। নির্দেশ পাবার পর আমরা সকল বাঙ্গালি সৈন্য ৩০ মিনিটের মধ্যে তাদের হত্যা করে বিক্ষিপ্ত ভাবে ষোলশহর রেল স্টেশনে গিয়ে হাজির হই। সেখানে ৪/৫শ জন বাঙালি সৈন্য জড়ো হবার পর মেজর জিয়া আমাদের নির্দেশ দেন রাতেই কালুরঘাট পৌঁছে রেডিও স্টেশন দখলে নিতে। নির্দেশ পাবার পর পর আমরা ২৫ মার্চ রাতের আঁধারে কালুরঘাট পৌঁছে রেডিও স্টেশন দখল করে পজিশন নেই। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ মেজর জিয়া পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য জাতির প্রতি আহ্বান জানান।
এ ভাষণ প্রচারের পর পরই পাকিস্তানীরা কালুরঘাট রেডিও স্টেশনে বিমান হামলা চালায়। সেভারলেট জেড বিমান থেকে অনবরত বোমা ফেলা শুরু হয়। মুক্তিবাহিনীও ঐ এলাকায় শক্ত অবস্থান থেকে বিমান হামলার জবাব দিচ্ছিলো। বিমান হামলার পর পাকিস্তানী সৈন্যরা ইপিআর এর পোশাক পরে ও গাড়ি নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে কালুরঘাট ব্রিজের উপর এসে আমাদের উপর আক্রোমণ শুরু করে। শুরু হয় দুপক্ষের যুদ্ধ।
এখানেই প্রথম পাকিস্তনী সৈন্যদের সাথে আমাদের সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। আক্রোমণ পাল্টা আক্রোমণের এক পর্যায়ে ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক সৈন্য শহীদ হন। তুমুল যুদ্ধ চলাকালে লে. শমসের মুবিন পায়ে গুলিবিদ্ধ হলে পাকিস্তানীরা তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে আমরা কর্ণফুলী নদীর পূর্ব পারে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানীদের প্রতিরোধের চেষ্টা করি। পাকিস্তানী বিমান এবং আর্টিলারী হামলার পর আমরা সেখানে দু’দিন তুমুল যুদ্ধ করে আমরা পটিয়া হয়ে কক্সবাজার চলে যাই।
উপরের ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে বিদ্রোহ করেন। তার সাথে যোগ দেন দেশপ্রেমিক সকল সাধারণ সৈনিক ও কর্মকর্তারা। তিনি তার অবাঙ্গালী কমান্ডার জানজুয়াকে গ্রেকতার ও হত্যা করেন। এবং ২৬শে মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন।
(কিছুক্ষণ আগে আমার প্রিয় একজন মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক টেলিফোন মারফৎ আমাকে নিশ্চিত করে বললেন যে, মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাটি তিনি ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ সন্ধ্যায় স্বকর্ণে শুনেছিলেন।
)
মেজর জিয়া এবং তাঁর বাহিনী সামনের সারি থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। তাঁরা বেশ কয়েকদিন চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চল নিজেদের নিয়নত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অভিযানের মুখে কৌশলগতভাবে তাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করেন। ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন। তিনি সেনা সদস্যদের সংগঠিত করে পরবর্তীতে তিনটি সেক্টরের সমন্বয়ে জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে যুদ্ধপরিচালনা করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান, যুদ্ধ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল হতে জুন পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং তারপর জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের[৭] ও জেড-ফোর্সের[৮] কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড কমান্ডার নিয়োগ করা হয় এবং ১৯৭২ সালের জুন মাসে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ-অফ-স্টাফ নিযুক্ত হন। এসময় তিনি মূলতঃ দেশের চারটি ক্যাডেট কলেজের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
১৯৭৩ সালের মাঝামাঝি তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে এবং বছরের শেষের দিকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ও দেশব্যাপি সামরিক শাসন জারি করেন। তারপরে ঐ বছরের ২৫শে আগষ্ট জিয়াউর রহমান চীফ অফ আর্মী স্টাফ নিযুক্ত হন। ঐ বছরের ৩রা নভেম্বর কর্ণেল শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বাধীন ঢাকা ব্রিগেডের সহায়তায় বীর উত্তম মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ এক ব্যার্থ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান। এর ফলে ৬ই নভেম্বর খন্দকার মোশতাক আহমেদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং আবু সাদাত সায়েম বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হন।
এর পর জিয়াউর রহমানকে চীফ-অফ-আর্মি স্টাফ হিসেবে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।