বেচেঁ থাকার স্বাদ নিচ্ছি...
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বাঙালীর আবাগের শেষ নেই । জাতি ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ এক কাতারে এসে দারিয়ে ছিল নিজের অধিকার আদায়ের জন্য। এ লড়াই ছিল নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই , টিকে থাকার লড়াই, নিজেদের আত্বসম্মান ফিরে পাবার লড়াই । এ লড়াই এর একজন মেধাবী সৈনিক যিনি ঐ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের একটি ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েও শুধূমাত্র দেশে মাতৃকার টানে সেখানকার বিলাস বহুল জীবন আর আভিজাত্য ত্যাগ করে যোগ দিলেন মুক্তিযুদ্ধে । ঢাকায় চালালেন একের পর এক সারাসী গেরিলা হামলা ।
হয়ে উঠলেন পাক বাহীনির জন্য জিবন্ত আতংক । তার নাম রুমি। পুরো নাম শাফি ইমাম রুমি । শহিদ জননী জাহানারা ইমাম এর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে রুমি । সেই রুমিকে নিয়ে নির্মান হতে যাচ্ছে একটি টেলিফিল্ম।
রুমি দ্যা লিজেন্ড । আনন্দের বিসয় হলো এ সাহসী কাজে হাত দিয়েছেন আমাদের সামু পরিবারের ই একজন সালাউদ্দিন খান পলাশ ভাই । প্রজেক্টের শুরুর দিকে এ নিয়ে তার করা একটা পোস্ট দেখতে পারেন এখানে । গতকাল তার অফিস গিয়েছিলাম । প্রস্তুতির সব কিছু চুরান্ত।
এবার শুধু মাঠে নামার বাকি । ছবি নিয়ে কিছু কথা বলাতে ইচ্ছে করছে । বলেই ফেলি, কোনো রকম বানীজ্যিক উদ্যেশ্য নিয়ে এই কাজে হাত দেয়া হয় নি । ছবিটি নির্মানের সাথে যারা জরিত তারা প্রত্যেকের পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। যেমন ডিরেক্টর সালাউদ্দিন ভাই নিযে এবং এরকম পরিবারের কিছু ছেলেদের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে রুমি দ্যা লিজেন্ড ।
সত্যি কথা বলতে আমারা যারা জাহানারা ইমাম এর একাত্তরের দিনগুলি বইটি পড়ছি তাদের কাছে রুমিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া মানে মার কাছে মাসীর গল্প করার মতো । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন বাঙালীর আবেগের শেষ নেই । বর্তমান সময়ের এতো হতাশার মাঝে একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের গৌরব হতে পারে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাবার প্রেরনা । একটু অফটপিকে যাই বাংলাদেশে ক্রিকেট যখন লাগাতার খারাপ পারফরমেন্স করতেই থাকে একের পর এক বাজে বাভে হারতেই থাকে । দলের মন মানসীকতা থাকে চুরান্ত বিপর্যস্থ।
তখন প্লেয়ারদের মনোবল বারানোর জন্য কোচ যে কাজটি করেন সেটি হলো টিমের ভালো ভালো ম্যাচ এর ভিডিও দেখান । যে ম্যাচগুলোতে বাঘ বাঘের মতোই পারফরমেন্স কেরেছিল । সে ম্যাচ গুলো দেখিয়ে কোচ চেস্টা করেন প্রেয়ারদের ভেঙে পড়া মনোবল আবার জোরা লাগুক। ফিরে আসুক হারানো বল। আমার এ কথাগুলো বলার উদ্যেশ্য হলো ।
আমরা বাঙালী জাতি হিসেবেও কিন্ত আমাদের পারফমেন্স খুব একটা ভালো না । চারিদিকে হতাশা আর হতাশা । তো আমাদের মনবল বারনোর জন্য আমাদের কি করা উচিত ? আমাদের উচিত বেশি বেশি মুক্তিযুদ্ধের ছবি দেখা আর এর সার্বিক উন্নয়নে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা । আরো্ বেশি বেশি করে মুক্তিযুদ্ধের ছবি বানানো এবং সার্বিক ভাবে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করা । বাঙালীর বীরত্বগাথা ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছ আরো বেশি করে তুলে ধরা ।
বাঙালী যে কোনো এক সময়ে বাঘের মতো গর্জে উঠে পাক কে চিরতরে সাফ করে দিয়েছিল সে ইতিহাস তুলে ধরা । এ দেশে রুমির মতো মেধাবী সন্তানেরা একাত্তরে নিজের কথা চিন্তা না করে দেশের জন্য অকাতরে প্রান বিলিয়ে দিয়ে গেলো সে ইতিহাস এর খানিকটা তুলে ধরা । ছবিটির নির্মেনর উদ্যেশ্য তাই । সকলের সহযোগিতা এই পরিশ্রমকে সার্থক করে তুলবে । সবাইকে ধন্যবাদ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।