যারা অন্যের সাথে প্রতারণা করে তারা প্রথমে নীজের সাথে প্রতারণা করে,কিন্তু নির্বোধ বলে তারা তা বুঝে না। আর প্রতরণার মধ্য দিয়ে প্রতারক মানুষরুপী শয়তান ও প্রেতে পরিনত হয়। কিন্তু অজ্ঞনতার ধরুন বিবেক তাদের ধ্বংশন করে না। ফলস্বরুপ,তারা পাপাচারে সুখ ভোগ করে। এই কথা সত্য যে, যুদ্ধ মানেই ধবংস,প্রাণ নাশ,ক্ষয়,ক্ষতি ।
কোন যুদ্ধই প্রাণ নাশ ব্যাতী পৃথিবীতে ঘটে নাই। আর কোন বিবেকবান,হৃদয়বান মানুষ যুদ্ধে স্বপক্ষে আছে আমি অবিস্বস্ত । কেননা,নিশ্চয় যুদ্ধ বিবেকবান, হৃদয়বান মানুষের জন্য নরক সমতুল্য । কারন,বিবেকবান, হৃদয়বান মানুষ ছোটৃ প্রাণী কীঁটকে দুঃখ দিতেও ভয় পায়। তাঁরা মনে করে সে দুঃখ কীট নয়,প্রভু পায় ।
তাই,তারা প্রভূ দুঃখ পাবে বলে কোন জীবের জন্য দুঃখ সৃষ্টি করে না । যে এলাকায় যুদ্ধে বিদস্ত হয় সে এলাকা হাবিয়া দোযখে পরিণত হয়। সে এলাকার প্রাণগুলো সেই নরক থেকে বাঁচার জন্য মুক্তির পথে ছুটে, আর তারা গন্তব্য স্হানে পৌছানোর পুর্বেই যুদ্ধ নামক হাবিয়া দোযখে তারা ছটফট করে মরে । যুদ্ধে জীবনের মৃত্যুর দৃশ্য দেখে হিংস্র ,ভয়ংকর প্রাণী গুলোও বাঁচার আশ্রয় খুঁজে। অবশেষে,সে প্রাণ গুলোও মৃত্যু থেকে বাঁচতে পারে না ।
এক সময় হিংস্র,ভয়ংকর প্রাণীর থাবানলে,বিষধর সাপের ছোবলে মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হত । কিন্তু এই বর্বরতার যুগে তা দেখছি উল্টো। তা যেন এখন মানুষের উপড় সম্পুর্ণ বর্তায়ছে। অর্থাৎ,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভয়ংকর,হিংস্র প্রাণী মানুষ,মানুষ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ভয়ংকর, হিংস্র প্রাণী পৃথিবীতে নাই। যে কালে মানুষ হিংস্র,ভয়ংকর প্রাণীর ভয়ে মাটির গুহায়,বৃক্ষের শাখায়, জঙ্গলে,পানিতে বসবাস করত,সেকালের মানুষ তার থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে,আর চীন্তা শীল ব্যাক্তি তার উপায় খুঁজে পায়।
মানুষ তড়ান্নিত করে সেই হিংস্র,ভয়ংকর প্রাণীকে যে স্হানে মানুষ বাস করত সেই পাহাড়,জঙ্গল,পানিতে । এখন বড় অদভূত ব্যাপার হচ্ছে,ভয়ংকর প্রাণী আর মানুষ একই গ্রেহে বাস করে। ফলস্বরুপ,কোনটি মানুষ,কোনটি ভয়ংকর প্রাণী তা বুঝা বড় দরুহ। তবে আমার মতে, যে ব্যাক্তি বা জাতীর মধ্যে জীবের জন্য দুঃখ সৃষ্টি প্রকাশ পায় সেই ব্যাক্তি বা জাতীই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ হিংস্র,ভয়ংকর প্রাণী,আর তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবী বাসীর প্রতিবাদী হওয়া উচিত । তবে, সেই প্রতিবাদে যুদ্ধ হবে না,সমশ্যার সমাদান ,জীব মুক্তির সমাদান।
আর যতদিন পৃথিবী বাসীর অন্তরে জীব মুক্তির চিন্তার বিকাশ প্রকাশ না পাবে, ততদিন প্রাণী জাতীর সেই হিংস্র ব্যাক্তি বা জাতীর হাতেই মৃত্যু নিশ্চিত। বস্তুতঃযুদ্ধ বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রত্যেকেই প্রতিবিদী হোন। তবে লক্ষরাখুন,সে প্রতিবাদে যেন কোন জীবের মন,প্রাণ দুঃখ না পায় । কারন,প্রতিবাদ জীবনের শান্তির জন্য,কল্যাণের জন্য । আর অশান্তি,অকল্যাণ জীবনের জন্য যা বয়ে আনে তাই হিংস্রত্ব ,প্রাণ নাশের ঝড়।
পবিত্র কোরআনে সুরা আনফাল(৪৮ থেকে ৫৪):কোন জাতীর ভাগ্য ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ পরিবর্তন করেন না,যতক্ষণ সেই জাতী তার কর্মনীতির পরিবর্তন না করে। হে মানব জাতী,কোরআনের ঐ সুরাটি অন্তরে ধরে সকল প্রাণের মুক্তির জন্য ভয়ংকর,হিংস্র জাতীর বিরুদ্ধ্যে প্রতিবাদী ঝড় তুলুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।