বিজ্ঞানী শিমুল স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচেনা। বেঁচে থাকার জন্য সে অবশ্যই সপ্ন দেখে। যে স্বপ্ন দেখেনা সে আর যাইহোক মানুষ না। তাই আমরা সব সময় স্বপ্ন দেখি। কখনও বা ঘুমিয়ে আর কখনও বা জেগে।
কি এক বিচিত্র স্বপ্নের খেলা!
স্বপ্নের কি কি রং হতে পারে? সাদা, ধূসর, নীল? না আরও অন্য কিছু? কেউ কখনও স্বপ্নের রং নিয়ে ভাবেনা। মাঝে মাঝে স্বপ্ন কি তা নিয়ে ভাবে। মাঝে মাঝে স্বপ্নের অস্পষ্ট ঘটনা বর্ণনা করে।
মানুষ যখন এইসব স্বপ্ন দেখে তার মন আসলে কোথায় যায়? কিভাবে এতসব অভিজ্ঞতা অর্জন করে? অনেকে বলেন মানুষ সারাদিন যা ভাবে তাই স্বপ্নে দেখে। তবে এই টাইপের দেখা স্বপ্ন মাত্র ১৫%।
কিন্তু বাকি স্বপ্নগুলো কোথা থেকে আসে? কিভাবে আমরা এগুলো দেখি তা নিয়ে আমরা তেমন একটা চিন্তা করিনা। যেমন আমরা ঘুম থেকে উঠে কাউকে যখন বলি, ‘আজ আমি খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু সিকুয়েন্স মনে নেই। ’
কেন আমাদের সাথে এটা হয়? স্বপ্ন কেন স্পষ্ট নয়?
এর সমাধানটা এরূপ হতে পারে যে আমরা সবসময় যা চিন্তা করি তাই আমাদের জন্য আলাদা একটা জগৎ হিসেবে তৈরি হয়ে যায়। সেই জগৎ আমাদের সামনে চলে আসে চোখ বন্ধ করলেই।
চোখ খোলা থাকা অবস্থায় আমরা যেরূপ চিন্তা করি চোখ বন্ধ অবস্থায় আমরা সেরূপ চিন্তা করিনা। অর্থাৎ সে জগৎটা আমদেরকে চোখ বন্ধের পর দখল করে নেয়। আমাদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল অথবা অজানা কোন অঞ্চলে নিয়ে যায়। কিন্তু স্বপ্নে দেখা এসব জায়গায় আমরা কখনও যাইনি।
তবে আমরা একটা পরিস্থিতিতে প্রায়ই পড়ি যেমন নতুন কোন এক জায়গায় গেলে মনে হয় এখানে কোন একসময় এসেছিলাম।
যদিও সেখানে জীবনেও যাইনি। এই জিনিষটার সাথে স্বপ্নের সংযোগ থাকতে পারে। স্বপ্নের মাধ্যমে আমরা প্রায়ই নতুন এলাকায় ভ্রমণ করি। বাস্তবে ওসব জায়গায় গেলে পরিচিত মনে হয়।
উপরের সবগুলো ব্যাপারই আমার সাথে ঘটে থাকে।
আপনাদের সাথে কি ঘটে? মনে হয় ঘটে। স্বপ্নে দেখা কোন অপরিচিত মুখ কি বাস্তবে কখনও আপনাদের সামনে ভেসে উঠে? আশা করি উত্তর পাবো।
সুত্রঃ মঙ্গলগ্রহের গোলটেবিল বৈঠক হতে বিজ্ঞানী শিমুল ও নীল স্বপ্ন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।