আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সফলভাবে একটি ম্যাচ হারার পর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া।

কত তারা আকাশে... এতোদিন আমরা শুনতাম কোনো ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশীর ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ যে হারে হারা শুরু করসে তাতে হারার পরও তাদের প্রতিক্রিয়া হতে পারে: তামিম ইকবাল: আমাদের লক্ষ্য ছিলো, উইকেট যেমনই থাকুক না কেনো খুব কম সময় উইকেট এ থাকবো। কারণ আমাদের কাছে সময়ের মূল্য অনেক। আপনারা যারা আমার আউট টি দেখেছেন তারা একটু খেয়াল করে দেখেন ঐটা আউট হওয়ার বলই ছিলো না। আমি ইচ্ছা করেই আউট হয়েছি।

কোচও আমার উপর খুশি কারণ একটা বাজে বলে আউট হওয়ার মতো ভালো পারফরম্যান্স কয়জনে করতে পারে। আশা করি সামনের দিনেও এমন পারফরম্যান্স করতে পারবো। শাহরিয়ার নাফিস: আজকে প্রথম দিকে বড় একটা ভুল করতে যাচ্ছিলাম। কারণ আমি অনেক সময় ধরে ক্রিজে ছিলাম যা কিনা বিপক্ষ দলের জন্য হুমকি জনক। এক সময় কোচের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পাই এবং সুযোগবুঝে আউট হয়ে যায়।

যাই হোক আমরা সফলভাবে ম্যাচ হেরেছি এতে এতে কোচ সহ বিরোধীদলের প্রত্যেক খেলোয়াড় আমাদের উষ্ম অভিনন্দন জানিয়েছেন। আশরাফুল: ভাগ্য আসলেই আমাদের খুব ভালো। বলটা লেগ স্পিনের অনেক বাইরে ছিলো , এমন বলে আউট হওয়া খুব কঠিন কাজ। কিন্তু আউট তো আমাকে হতে হবেই। তাই আলতো করে ব্যাটে লাগিয়ে দিয়েছিলাম ।

তবুও চিন্তায় ছিলাম এই ভেবে যে, ফিল্ডার ক্যাচ ধরতে পারে কিনা? না অবশেষে আমি খুব কম সময়ে আউট হয়ে প্যাভিলনে ফিরেছি এতেই খুশি। নাসির হোসেইন: পরিকল্পনা তেমন কিছু ছিলোনা আর থাকেও না । খুব লম্বা একটা সময় ধরে ক্রিজে ছিলাম এতে সবাই ক্ষিপ্ত ছিলো আমার উপর। কিন্তু কি করবো বলেন পাকিস্তানীরা এতো বাজে বল করে যে,নিজেকে আউট করাই যায়না। আবার বাজে বলে আউট হলে বিতর্কিত হতে হবে।

তাই ভালো বলের আশায় থাকতে থাকতে অনেক সময় ক্রিজে কটে গেছে। নাজিমউদ্দিন: আমি সব সময় আমার সিনিয়রদের অনুসরণ করি, আজকেও করেছি। তাদের আসা-যাওয়া দেখে ধরে নিলাম বেশি রান করে লাভ নেই। তাই রান-টান বেশি করি নাই। গা গরম করার জন্য ১০-২০ মিনিট ক্রিজে ছিলাম।

এবং যথারীতিভাবে আউট হয়ে প্যাভিলনে চলে আসি। সাকিব আল হাসান: আগে থেকেই আমার আত্মবিশ্বাস একটু কম ছিলো। তাই বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করি নাই। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি বিপক্ষ দলকে কিভাবে সাপোর্ট দেয়া যায়। তাই অনেক বাজে বল গুলোতেও জোরে শর্ট খেলতে যায় নাই।

কি করলাম না করলাম সেটা বড় কথা না , আমরা ম্যাচ হেরেছি এতেই আমরা খুশি। মুশফিকুর রহিম: সব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, আজকের পুরো দিনটা ছিলো আমাদের হাতে। কিভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে বাজে বোলিং, বাজে উইকেট কিপিং আর বাজে ব্যাটিং করা যায় তা বিশ্ববাসী আমাদের দেখে শিখতে পারে। ম্যাচ শেষে বিপক্ষ দলের ক্যাপ্টেন আমাকে মাবাইলে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবং আজকে রাতে তাদের পার্টিতে আমাকে আমন্ত্রণ ও জানিয়েছেন।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ: যেহেতু আমি মূলত বোলার তাই আমার উপর নির্দেশনা ছিলো কিভাবে বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানকে রান করে দেয়ার সুযোগ দেয়া যায়। আপনারা হয়তো দেখেছেন, আমি প্রত্যেকটা বল স্ট্যাম্প এর বাইরে রেখেছি। যাতে ব্যাটসমানদের মারতে সুবিধা হয়। সর্বোপরি আমরা চেয়েছি একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে। কে হারলো কে জিতলো সেটা বড় কথা না , খেলায় অংশগ্রহণ করাটাই মূল লক্ষ্য আমাদের কাছে।

আমার এ লেখাটি আজ রস+আলো তে প্রকাশিত।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.