বিবিক্ত বনে বিবিক্ষু আমি বেপথু হতে চাই;
শালপ্রাংশু পুরুষ বুকের পরশ যদি পাই।
গাইব আমি মেঘমল্লার, খুলব মাথার কেশ
প্রজাপতির পাখায় চড়ে উড়ব আমি বেশ।
ঘুরব আমি মনের সুখে নূপুরপরা পায়
আঁচল যদি শিথিল থাকে কি বা তাতে ভয়।
নাচব আমি পেখম খোলা নীলময়ূরের সনে
লঘুপায়ে হেলেদুলে একান্ত আনমনে।
বেনারসি জড়িয়ে গায়ে বেলোয়ারী হাতে
বেহালা কাঁধে কন্ঠে বেহাগ ধরি যে তার সাথে।
।
কবরীপাশে বৈজয়ন্তী গলেতে চন্দ্রহার
চূড়ায় গুঁজিয়া ময়ূরপুচ্ছ সন্ধান করি তার।
সারাদিন কাটে তারই অপেক্ষায় দিনান্তে শর্বরী
প্রদীপ জ্বালে আকাশ তলে তাহার মুরতি ধরি।
শিকারীর বেশে কালপুরুষ দেখে শিহরিত হই আমি;
বুঝি পঙ্ক্ষীরাজের ডালিমকুমার ঘোড়া হতে আসে নামি।
বিভূষণাবেশে বিভাবরী কাটে বিভাসে বিভোর হয়ে
ক্ষণিকের তরে সুপ্তির ঘোরে দেখি যেন ফের তারে।
বিবস্বানের করে জেগে উঠি বিহগ বেহগ সুরে
বেচাইন করে অন্তর মম বেপমান করে মোরে। ।
ব্রাত্য আমি, বেল্লিক আমি; সবলোকে তাই কয়।
তবু তারে ছাড়া বৈকুণ্ঠলাভ করতেও মোর ভয়।
কোন রাজ্যের কুমার সেযে কোনখানে তার বাস,
কাহার তরে হল যে আমার এমন সর্বনাশ!
ওগো ধরা দাও, মুখ তুলে চাও অনায়াসে এসো বুকে,
বৈকাল বায়ু বিদ্যুৎসম ছুটে চলে থেকে থেকে।
আমাতে তুমি পূর্ণতা পাবে তোমাতে শুন্য আমি
হাওয়াতে ভাসি, মেঘেতে নাচি তোমার ওষ্ঠ চুমি।
পুরুষ শ্রেষ্ঠ! প্রেমাদিষ্ট! সাড়া দাও মোর ডাকে,
দিশাহারা এই দিকবালিকা অপেক্ষায় তব থাকে। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।