শাসক দল । ।
বিয়ের প্রথম রাতেই আমার স্বামী ছয় বছরের ফুটফুটে একটি মেয়ে এনে আমার কোলে তুলে দিয়ে বললেন, এটি আমার মেয়ে। আশা করি, আজ থেকে তুমি ওর মা হবে। আমরা দুজনে মিলে ওকে মানুষের মতো মানুষ করবো।
বিয়ের প্রথম রাতের প্রথম কথাটা তুমি রেখো। আমার মনে হয়, তুমি তা পারবে।
ষোল বছরের এই আমি ছয় বছরের মেয়েকে বিনা বাক্যে মেনে এবং মনে নিলাম।
আমার স্বামীর বয়স আমার থেকে দ্বিগুণ। তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই।
তিনি একটু বদমেজাজি ও রাশভারী। তাই তার থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করতাম।
তাতে তিনি খুশিই হতেন। তিনি দেখতেন, আমি মেয়ে নিয়ে সময় কাটাতে পছন্দ করি। এটাকে তিনি সহজ ভাবে মেনে নিলেন।
আমার মেয়ে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলাম।
হঠাৎ একদিন আমার খেয়াল হলো, ও আমার মেয়ে, ঠিক আছে। তারপরও তো একটা কথা আছে। আমি কি মা হবো না? আমার কি কোনো সন্তান হবে না? প্রায় আট বছর পর স্বামীকে সাহস করে বললাম কথাটা।
সামান্য হেসে তিনি বললেন, কেন, তোমার মেয়ে আছে তো।
আবার কেন?
বললাম, তবুও চাই।
তুমি ভেবেছ, এ কথা আমার মনে আসেনি? এসেছে। কিন্তু এই বয়সে আমি আর সন্তান নিতে চাই না। সেটা ওই সন্তানের প্রতি অবিচার করা হবে।
রাশভারী লোকটা শিশুর মতো ভঙ্গি করে বললেন, তুমি আমাকে ক্ষমা করো।
এ কথা বলে অঝোরে কেদে ফেললেন।
আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না।
ডুকরে কেদে উঠলাম।
দুজনের সেই কান্না আর থামেনি।
অবশেষে কান্না থামিয়ে আমরা আল্লাহর কাছে হাত জোড় করে মোনাজাত করলাম, আল্লাহ, তুমি আমার পেটে সন্তান দাওনি, কোলে তো দিয়েছ।
এতেই আমরা হাজার খুশি। আমার কোল আলো করে বিয়ের রাতে যে মেয়েকে তুমি দিয়েছ তাতেই আমি পরিপূর্ণ মা হয়েছিলাম, কুমারী মা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।