চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই !
এলাচে ভরে গেছে শাহজাহানের জমি। বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি এলাচ চাষে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন এলাচ ক্ষেত দেখতে হাজারও মানুষ ভিড় করছেন। শাহজাহান একজন সৌখিন চাষি। দেশের বাইরে থেকে এলাচ গাছের গোড়া সংগ্রহ করেন তিনি।
এখন সেই গাছে এলাচ ফুল-ফলে ভরা। চলতি বছর থেকে তিনি বাণিজ্যিকভাবে এলাচ চাষ শুরু করেছেন। দুই বছর ধরে তিনি এলাচ চাষে কাজ করছেন। তিনি মনে করছেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া এবং মাটি এলাচ চাষের উপযোগী। সমপ্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের একদল বিজ্ঞানী তার এলাচ চাষ দেখে গেছেন।
তারা নমুনা সংগ্রহ করেছেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। শাহজাহান জানান, এই প্রথম বেনাপোলে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে এলাচ চাষ। বীজ থেকে নয় মূল থেকেই জন্ম নেয় এলাচ গাছ। ইন্টারনেট থেকে এলাচ চাষের তথ্য নিয়ে বিদেশ থেকে এলাচ গাছের মূল সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেন ২০১১ সালের মে মাসে। চলতি বছরের মে মাসে ফলন দেখা দেয় প্রতিটি গাছে।
মসলার কাজে ব্যবহৃত এলাচ উৎপাদন করতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয় ৪ লাখ টাকা। দুই জাতের এলাচ উৎপাদন হয়েছে তার জমিতে। এক ধরনের জাত মাটিতে কাণ্ডের সঙ্গে ফলন হচ্ছে আর এক ধরনের জাতের ফলন হচ্ছে গাছের মাথায়। তিনি আরও জানান, গাছ থেকে এলাচ সংগ্রহ করে ৮-১০ দিন শুকানোর পর বাজারের এলাচের ন্যায় সুগন্ধি পাওয়া যাচ্ছে এ এলাচে। রান্নার মসলার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত এলাচ।
শার্শা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, বাণিজ্যকভাবে এলাচ চাষ বাংলাদেশে এই প্রথম। আরও গবেষণা করে এই জাতীয় মসলার চাষ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে। মসলা গবেষণা কেন্দ্র বগুড়ার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কলিম উদ্দীন বলেন, এলাচ চাষ নিয়ে মসলা গবেষণা ইনস্টিটিউট দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে আসছে। এখানকার এলাচ একটি ভিন্ন ধরনের জাত, এই এলাচের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এলাচ চাষ সম্ভব।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।