আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জন্মের পরে গোলাম আজমকে চিনেছি রাজাকার সর্দার হিসাবে

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে ৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে কঠিন সময় পার করতে হয়। ৭৫ এ শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যা প্রমাণ করে যুদ্ধাপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি না দেয়াটা ছিলো চরমতম ভুল, তিনি যদি জীবিত অবস্থায় কাজটা করে যেতেন সম্ভবত ইতিহাসের কলংকময় এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হতো না। ৯০ সাল পর্যন্ত সে ভুল সংশোধনের কোনো সুযোগ ছিলো না। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি নিজের অস্তিত্ব রক্ষার দৌড়ে ছিল। কিন্তু এরপরেই আমরা দেখি গণজাগরণ - গোলাম আজম ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে গণআদালত আন্দোলন।

গণতান্ত্রিক একটা সরকারের অধীনে জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু ৯১ এর নির্বাচিত সরকারের সাথে যুদ্ধাপরাধীদের ঐতিহাসিক আতাত এবং এরপরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির ক্ষমতায় আরোহনের সময়টা যদি আমরা হিসাব করি তাহলে মূলত ৯৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী সরকারীভাবে উপস্থাপনের কোনো সুযোগই ছিলো না। ৭১ এর পরে যাদের জন্ম তারা যখন থেকে স্বাধীণতা সংগ্রামের কথা শুনে এসেছে একই সাথে শুনে এসেছে রাজাকার সর্দারের কথা। একাত্তুরের বিশ্বাসঘাতকদের প্রধান গোলাম আজম কেনো এদেশে বিনা শাস্তিতে দিনযাপন করে তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে নাই - এমন কোনো বাঙালির জন্ম হয় নাই। আজকে যখন গোলাম আজম বলে ৩০/৪০ বছর সে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কোনো দাবী শোনেনি - তখন আবারো প্রমাণ করে এদেশের মানুষের চেতনার সাথে সে কতটা বিচ্ছিন্ন, কত গভীরভাবে এখনও তিনি ৭১ পূর্ববর্তী সময়ের প্রোকোষ্ঠে বিরাজ করেন।

গোলাম আজম নামক একটা কলংকিত নাম থেকে জাতিকে মুক্ত করা হোক। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।