গত জুন মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছরের চেয়ে তা প্রায় ২৭০ কোটি ডলার বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বরাতে রয়টার্স আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন কারখানায় লাগাতার প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পরও এখানকার সস্তা শ্রমের কারণে বিশ্বের বৃহত্ খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের পোশাক লোভনীয়।
পশ্চিমের অনেক বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ও খুবই কম মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের খাটানোর বদৌলতে বাংলাদেশ এখন চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এ দেশের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ যায় ইউরোপের বাজারে এবং ২৩ শতাংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পোশাক শুল্কমুক্ত-সুবিধা পায় না।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আজ জানায়, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশের মোট আয় হয়েছে দুই হাজার ১৫০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের চেয়ে তা ১৩ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আরও জানায়, গত এক বছরে দেশের মোট রপ্তানি ১১ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছরের চেয়ে তা দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার বেশি।
তবে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০০ কোটি ডলার কম।
গত বছর তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে পুড়ে কমপক্ষে ১১২ জন শ্রমিক ও গত এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৪ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। এ ছাড়া, প্রায় প্রতিবছরই বিভিন্ন দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকেরা কর্মস্থলে মারা যান। দুর্ঘটনায় শ্রমিকের প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে সরকার বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখনো কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
পোশাক কারখানায় একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে সরকার, ব্যবসায়ী ও বিশ্বের বড় বড় পোশাক বিক্রেতারা এখন ভীষণ চাপের মুখে পড়েছে। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। বিভিন্ন দুর্ঘটনার পর শ্রমিক আন্দোলন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপের মুখে সরকার এ খাতে নিযুক্ত ৪০ লাখের বেশি শ্রমিকের জীবনমানের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।