জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের প্রতিবেদনে ইয়াবার কাঁচামাল সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশ! প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির লিঙ্ক এখানে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "এ দেশ থেকে পাঠানো সুডোইফিড্রিনের কয়েকটি চালান মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশে ধরা পড়েছে। আর এ কারণে বাংলাদেশকে সুডোইফিড্রিন সরবরাহকারী দেশ বলছে ইউএনওডিসি।
ঢাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ওষুধ রপ্তানির নামে এ দেশ থেকে সুডোইফিড্রিনের পাচারের তথ্য তাঁদের কাছেও রয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি অধিদপ্তর। "।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, " মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নথিতে দেখা যায়, ২০০৯ সালে ঢাকার (১৩০ দিলকুশা) জেনারেল ট্রেডিংয়ের নামে রপ্তানি করা ১২ কেজি সুডোইফিড্রিন ধরা পড়ে হন্ডুরাসে। একই বছর মেক্সিকো সিটিতে ধরা পড়ে ২০৩ কেজি সুডোইফিড্রিন। এই চালানটি পাঠানো হয়েছিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের আইপিটি এন্টারপ্রাইজের নামে। এরপর গত বছর হন্ডুরাসে আবার ধরা পড়ে ৪১ হাজার ৬০০টি সুডোইফিড্রিন বড়ির চালান। এই তথ্য দিল্লির ড্রাগ ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশকে জানায়।
সিলেটের এলবিয়ন ল্যাবের নামে এই চালানটি পাঠানো হয়েছিল।
পরে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তদন্ত করে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি বলে নথিতে উল্লেখ রয়েছে। ।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই বক্তব্যকে অত্যন্ত দায়সারা মনে হচ্ছে। আমরা দেখেছি সরকারের সদিচ্ছা থাকলে অনেক কিছুই করতে পারে।
যেমন বলা যায়, ভারতীয় জঙ্গিদের/বিচ্ছিন্নতাবাদীদের/পূর্বঞ্চলের স্বাধীনতাকামীদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসাবে বাংলাদেশের বদনাম ছিল একসময়। সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন এই 'অপবাদ' থেকে মুক্ত। পশ্চিমাদেশ ও ভারতের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে। এখন কথা হচ্ছে একটি ব্যাপারে সরকার যদি এরকম ১০০% সফলতা দেখাতে পারে তাহলে জনস্বার্থের অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কেন দেখাতে পারেনা? নাকি ভারতকে তুষ্ট করতেই সরকারের সকল প্রাণশক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।