এসো আবার চড়াই উৎড়ই.......... 123
নতুন একটি আইডিওলজি নিয়ে কাজ করছি, যা প্র্যাকটিক্যালি প্রুফড একটা ছোট্র পরিসরে কয়েকটি ক্লাশের গন্ডিতে...............
ধারনাটি এরকম................
আমরা ছোটবেলায় কুরআন,বাইবেল,গীতা,ত্রিপিটক যাই পরি না কেন, না বুঝে মুখস্ত করি, আমাদের বাবা-মারা বাচ্চা বয়সেই ভয় ঢুকিয়ে দেন এটা ধরো না, ওটা করো না, এখানে যেও না ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এই মুখস্ত ও ভয় মানবিক মূল্যবোধ তো ধ্বংস করেছেই সেই সাথে ধর্মকে বানিয়েছে ব্যবসা, ভালোবাসাকে বানিয়েছে বেশ্যাবৃত্তি এবং জাতিকে দিয়েছে কামুকতা, লোভ এবং স্বার্থচিন্তা।
একটি যুদ্ধ, কয়েকজন সামরিক শাষক এবং শাড়ীর আচঁলে মেক-আপ বক্স রাখা মানুষগুলো বানিয়েছেন অবাধ ক্ষুধা.................................
আর আমার ছেলের উপর একটা মামলা চলবে তবে তোর চাকরী থাকবে না, আমার ছেলে বলে কথা অন্যায় করতেই পারে, অন্যায় আবার কি এটা কি ওর নিজের না! ঘুষ যখন খেয়েছি ঘুষ আরও খাব ১৭ কোটি জনতাকে না খাইয়ে মারব ইনশল্লাহ, আপনাদের যার ঘরে যা আছে সব বাজারে তোলেন ভোগ করার জন্য আমরা গুটি কয়েক আছি।
কর্পোরেটদের অবাধ স্বেচ্চাচারিতা, এম. এল. এম. কোম্পানীগুলো বানিয়েছে আরেকটা নপুংসক জেনারেশন।
হারাধনের পাঁচটি ছেলে বাকি থাকল একটি..............
পরবর্তী জেনারেশনকে গড়ে তুলতে হলে.............................
টার্গেট করুন ক্লাশের মাঝবেঞ্চে বসা একজন ছাত্রকে, যে কিনা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা বা রাজনীতি করে না, শাড়ীর আচঁলের তলায় কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলে না.....................
সে বুঝাবে ক্লাশের প্রথম ও শেষ ছাত্রটিকে যারা প্রশ্ন করবে ক্লাশে।
শিক্ষকরা রেগে যাবেন, একদিন দুই দিন তিন দিন........... ক্লাশ থেকে বের করে দিবেন কাকে? যে সবার মধ্যমণি যে মেধায় সেরা তাকে? যার পলিটিক্যাল পাওয়ার আছে, কিংবা বাবার টাকা, কিংবা বাবা ক্ষমতাধর তাকে? নিশ্চয়ই আমাদের শিক্ষকরা এতোটা বোকা নয়, প্রথম ও শেষ ছাত্রটির প্রশ্ন শুনতে শুনতে শিক্ষককে পড়তে হবে লজ্জায়, কি লজ্জা! কি লজ্জা! এরপর দিন শিক্ষক আরও বেশি দিতে চাইবেন আরও জেনে আসবেন। শুরু হবে বিশুদ্ধ জ্ঞানের চর্চা যেখানে কোন মুখস্ত বিদ্যা থাকবে না এবং কেটে যাবে ভয়। আর নয়ত চলতেই থাকবে সার্টিফাইড হামবোর্গ তৈরীর কারখানা সমূহ। যার প্রোডাক্টসমূহ তাদের কাগজের মূল্যমানকেই তাদের যোগ্যতা মনে করে।
আর এভাবে একটা শু ও স্বশিক্ষিত জেনারেশন গড়া গেলে তারাই তাদের নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নিবে তখন কোথায় যাবে ধর্মের ব্যবসা ও রাজনীতি, কোথায় যাবে কাঠ-মোল্লাদের মুরগী খাওয়া, মেশিনগানের ভয় এবং শাড়ির ভাজে লিপস্টিকের মোহনীয় আহ্বান।
শুরুটা এভাবে করা যায় ট্রি এর মতো একজন বুঝাবেন ৫ জনকে, সেই ৫ জন ২৫ জনকে, সেই ২৫ জন ১২৫ জনকে ক্রমান্বয়টা অকল্পনীয়।
আসুন হাতে হাত রাখি।
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে
তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।