সোবাহান হোসেন একজন মিনিস্টার । তিনি তার পিএস নিয়ে রহমতপুর গ্রামে এসেছেন,এখানে তিনি একটি ইসকুল পরিদরসন করবেন। তিনি একদিন আগে রহমতপুর এসেছেন ,করোন তিনি বহুদিন গ্রামে আসেন না। সেই সেষ টিনি এসেছিলেন নিরবাচোনের আগে টার পর আর আসা হয়নি। টিনি উঠেছেন একটি গেস্ট হাওজে।
সকাল বেলা ঘুম তেকে উঠে তিনি এক কাপ চা খান ,চা এ চিনি বেশি থাকে ,চিনি খেলে মাতার বুদ্দি বারে বলে তিনি মনে করেন। আজও তিনি সকালে চা খাচ্ছেন,টার মনে হচ্ছে চা এ চিনি কম হয়েচে। তিনি তার পএস কে ডাকলেন -রহিম
রহিম আসল ,
কি ব্যপার রহিম চায়ে চিনি কম কেন?
স্যার চিনি তো আগের মত দিয়েছি ,এক কাপ চায়ে পাচ চামচ চিনি।
-তবে মিস্টি কম কেন? সরকারি চিনি পাচ চামচে না হলে বেশি দিবা।
-জি স্যার
-জি স্যার টো সারাদিন বলো ।
কাজে উননতি কর আমার ইসকোল যাওয়ার খবর কি?
-জি স্যার ভাল। ইসকোলের হেডমাসটার এসেছিল সব রেডি। তারা পাচটা গেট করেছে,গেটে লেখা আছে:
সোবাহান স্যারের আগমন
শুভেচছা সাগটম
রহিম আরো বলে ফুল আসটেছে তিন গারি ।
-ফুলের কতা্য় তার মনে পড়ে কি ফুল ? গাদা ফুল নাতো?গাদা তো সাদারন ফুল ,তার দরকার দামি ফুল। সে বলে কি ফুল রহিম?
-স্যার গোলাপ ফুল।
-ঠিক আছে,আর হা ইসকুলের মেঝেতে কারপেট বিছাতে বলো।
-জি স্যার
-আচছা যাও।
এখন সোবাহান মিয়া মানে সাহেব(মিয়া তার আগের নাম ,যখন তিনি জমির দালাল ছিলেন) ঘুমাবেন। হঠাৎ রহিম ফিরে আসলে তার ঘুমে ঝামেলা হয়।
-স্যার
-কি ?সোবাহান বিরক্ত হন।
-একটা কতা স্যার।
-কি?
-তারা স্যার আপনি কি খাবেন তা জানতে চাচছিল আমি ষার বলে দিয়েছি আপনি আপেল কমলা লিচু আর---
-আর কি?
-আর ষ্যার কাঠাল।
-তো কি হয়েছে ,বলেছো। আমি তো কাঠাল খাই আর দেশ বাসি জানবে মিনিস্তার কাঠাল খাচছেন,এতে আমার দেশপে্রম নিয়ে মানুষের মনে ভালো দারনা হবে।
-আমিও তাই ভেবেছিলাম,কিন্তু কাঠাল এর ইংরেজি জ্যাকফুরুট--
-ইংরেজিতে কি সমস্যা?
-ষ্যার জ্যাকফুরুট মানে "শিয়ালের ফল" মানে শিয়াল যে ফল খায়-- তা আপনি খাবেন?
-কতা সত্য।
তাহলে কাঠাল বাদ
-ষ্যার বাদ না দিয়ে এক কাজ করলে কি হয়,আপনি ষ্যার কাঠালের ইংরেজি নাম বদলাইয়া রাখেন। এতে আপনার নাম দেশজুরে প্রচার পাবে ইলেকসনে সুবিদা।
-বুদদি তো ভাল। কিন্তু কি নাম রাখি?
-একটা রাখেন যেমন টাইগার ফল,নামেই একটা শক্তি। না হলে হাতি ফল প্রাণি হিসেবে এরা হাই পরযায়ের।
জিনিসটা কি সুনডর সুবাহান ষ্যার টাইগার ফল খান।
-রহিম এর চেয়ে ভাল হয় আমি যদি সংসদ এ বিষয়ে একটা বিল পাশ করি। সবাই মিলে কাঠালের ইংরেজি নাম ঠিক করলাম,জনটার সমরতণ ও পেলাম। কি বলো?
-ষ্যার এইটা আরো ভাল হয়। ইতিহাসে আপনার নাম লেখা থাকবে 'কাঠালের নাম পরিবরটন কারি মিনিস্টার সোবাহান'
-তাহলে এক কাজ কর ঢাকায় চলো।
ইসকুল পরিদরশরন বাতিল কর,আগে গুরুত্বপুরন কাজ করি। সবার ইজজতের বিষয় "শিয়ালের ফল" মানুষ খায় (মিনিস্টার খায়)।
ইসকুল পরিদরসন বাদ দিয়ে মিনিস্টার ঢাকা ফিরলেন । সব জাতিয় দৈনিকে খবর হল" জনগুরুত্বপুরন কাজে মিনিস্টার ঢাকা ফিরলেন"। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।