আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নারী খেকো প্রেস মিনিস্টার

ইমানের পরীক্ষা হয় সংকট কালে। ইমানের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকুন। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার এনামুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন হাইকমিশনে কর্মরত এক মহিলা কর্মকর্তা। হাইকমিশনারের কাছে এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করে এর প্রতিকার চেয়েছেন ওই নির্যাতিত কর্মকর্তা। তবে এখন পর্যন্ত এই গুরুতর অপরাধের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক এ করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তা অভিযোগ আনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, এটা ষড়যন্ত্র। অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন এই অভিযোগ সত্য। গত ১৬ নভেম্বর হাইকমিশনের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে ওই মহিলা কর্মকর্তা বলেন, প্রেস মিনিস্টার এনামুল হক চৌধুরী বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। বিশেষ করে মহিলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার ব্যবহার খুবই খারাপ।

গত কয়েক মাস ধরে তিনি নানাভাবে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চান। আমি কেন দিল্লিতে একা থাকি—সে ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তিনি আমাকে তার ব্যক্তিগত বন্ধু হওয়ার প্রস্তাব দেন। তিনি আমাকে তার সঙ্গে সিনেমা দেখতে এবং রাতে ডিনারে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি এসব ব্যাপার এড়িয়ে যাই।

প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল কাজ ছাড়া আমি তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেই। তিনি আমার কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে আমার সঙ্গে বাজে ব্যবহার শুরু করেন। গত দুই মাস তিনি আমাকে প্রতিনিয়ত তার রুমে ডেকে পাঠান। আমি দেখি, কোনো প্রকার কাজ ছাড়াই তিনি আমাকে ডেকেছেন। একদিন তিনি আমাকে স্পর্শ করে বলেন, আমাকে তৃপ্ত কর।

এরপর জোর করে আমাকে জড়িয়ে ধরে বারবার চুমু খান। আমি কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়ি। অন্তত চারবার আমি তার অনৈতিক আচরণের শিকার হয়েছি। আমি এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং শারিরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। নির্যাতিত মহিলা কর্মকর্তা তার লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, আমি কখনও আমার চাকরিজীবনে এ ধরনের আচরণের শিকার হইনি।

অভিযোগপত্রে হাইকমিশনারের কাছে ঘটনার তদন্ত করে এনামুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্যাতিত কর্মকর্তা বলেন, আমি ন্যায়বিচার চাই। গুরুতর এই অভিযোগ সম্পর্কে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক-এ করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি অসত্য বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, এখন পর্যন্ত আমি এই ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগকারী অভিযোগ করেছেন ১৬ নভেম্বর। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাইকমিশনার বলেন, আসলে এ ব্যাপারে আমি ঠিক কিছু বলতে পারছি না।

এদিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী এ প্রসঙ্গে আমার দেশ-কে বলেন, হাইকমিশনার তাকে এই অভিযোগ সম্পর্কে বেশ পরে অবহিত করেছেন। অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এটি একটি ষড়যন্ত্র। এ ধরনের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আগে কেউ করতে পারেনি। ওই মহিলা কর্মকর্তা আমাকে দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নিতে চেয়েছিলেন, আমি এটা না করায় আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে। আমার একটা সুনাম তৈরি হয়েছে।

এটা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইনামুল হক চৌধুরীর এই অভিযোগ সম্পর্কে অভিযোগকারী কর্মকর্তা বলেন, আমি কখনও কোনো সুবিধা চাইনি এবং অভিযোগ পুরোপুরি সত্য। বিস্তারিত: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.