মাঝে মাঝে অবস্থা এমন হয় যে করার মতো কোন কাজ থাকেনা। যখন খুব ব্যস্ত থাকি তখন ভাবি যে ফ্রী থাকলে এই এই কাজগুলা করব। কিন্তু অখন্ড অবসরে সেই কাজগুলার নামও মনে আসেনা। ফলে যা হবার তাই হয়। বিভিন্ন কাজে অকাজে সময় নষ্ট করা হয়।
কোন কাজ করতেই ভালো লাগেনা।
অবসরে আমি যেই কাজটা বেশী করি - সেটা হল মোবাইল হাতে নিয়ে বিভিন্ন মানুষকে কল দেই। এটা হচ্ছে নিঃসঙ্গতা দূর করার প্রাথমিক প্রয়াস। দেখা যায় সবাই কম বেশি ব্যস্ত নিজেদের কাজ কর্ম নিয়ে। আমি আবার নিঃসঙ্গতায় পড়ে যাই।
যে কাজই করি মনে হয় সময়ের অপচয় হচ্ছে । কিছুই করতে ইচ্ছা করেনা। কিছুই ভালো লাগেনা। এসময় মনে হয় একটা কাজ করলে খুব ভালো লাগবে সেটা হচ্ছে ভ্রমন । কিন্তু আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি আমাদের জীবন যাত্রা এত ব্যস্ততাময় যে অবসর থাকলেও ঘুরতে যাওয়া হয়না।
কখন আবার নতুন কাজের ঢাক আসবে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একসময় অবসর থাকলে হালকা লেখালেখি করতাম। কলেজ লাইফে প্রচুর ডায়েরী লিখতাম। বেশীরভাগই পারিপাশ্বিক অবস্থা নিয়ে। আশেপাশের মানুষদের নিয়ে।
জবাকে নিয়ে লিখতাম। তামান্না থাকত। ছদ্মনামেও একজনকে নিয়ে লেখা হত।
হলে উঠার পর কিছু গল্প টল্প লিখি। মান খুবই খারাপ , কিন্তু তাও ভালোই লাগত।
মানে আমার নিজের অনেক ভালো লাগত এই আর কী! এখন অনেকদিন লেখা হচ্ছেনা। আমরা আসলে যাই করি সেখানে অন্যদের মতামত কেমন তা দেখতে চাই। এই যে আমি লিখলাম আমার গল্পের মান খুবই খারাপ , এইটা কিন্তু আমি মন থেকে লিখিনি। আমার এই লেখাটা কেউ পড়লে সে কী ভাববে এইটা ভেবে লিখেছি। আল্টিমেটলী মনের ভাব লেখার মাধ্যমেও প্রকাশ পাচ্ছেনা।
আমি অবশ্য একটু চাপা স্বভাবের তাই হয়ত আমার এইরকম অনুভূতি হচ্ছে। এইটা ম্যান টু ম্যান ভ্যারী করতে পারে। করাটাই স্বাভাবিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।