সুন্দরের কাছেই সব দায় ভার
সত্যিই আজ নিজের সাথে কিছু কথা না বল্লে হয়তো আর কোন দিন বলা হবে কিনা জানি না? অল্প সময় কিন্তু গভীর কিছু অনুভূতিতে মোড়ানো আমার কল্পনার ক্ষনিকের আত্ন কথন।
রাতের ভূড়িভোজের সময়ই সকল ক্লান্তি দূর করে আমি সজিব একজন।
তোমার হাতে যত্নে তৈরী করা মুরগীর ঝোল আর টমেটোর ভর্তা যেন দাওয়াইয়ের মতো আমার সারা দিনের গ্লানী মুছে দিলো।
তোমার ক্লান্ত মন -শরীর দুটোই আমাকে কাছে না পেয়ে নিস্তেজ ঘোমের দেশে আশ্রয় নিলো ঠিকই কিন্তু আমার দু-চোখের আঙ্গিনায় ঘোমের দেশের কোন বার্তাই ছিলো না।
আজ তুমি কোন স্বপ্ন দেখে ভয় পাওনি জানি।
আর এও জানি তোমার স্বপ্ন অলৌকিক বিশ্বাসও করি । তোমার স্বপ্নে আমারো ঠাই হয় জেনে ভালো লাগে, তাতে সুখ এবং দুঃখের সংশ্রব মিশেল থাকে, যা আমাকেও ভাবায়।
ভাবনার কথা আসলে ... বিষয় তুমি । এর আগে তোমার ঘূমন্ত মূখের অবয়ব এতবেশী করে দেখিনি, বলতে পারো আমি দেখার সুযোগ পাইনি।
অন্ধকার কিন্তু নিকোষ কালো নয়।
স্ট্রিট লাইটের কিছু আলো জানালার পর্দা ভেদ করায় তোমার চেহারা স্পষ্টই ভাসছিলো আমার চোখের সামনে। এত সুন্দর নিষ্পাপ মূখোমন্ডল দেখে কৃপন হওয়ার চেষ্টা ব্যার্থ হলো, একটি চুম্বনের ঘনিষ্ট স্পর্শ তোমার কপালে চিহৃ এঁকে দিলো মূহুর্তের মধ্যে। ততক্ষনে জানার বাকী রইলো না যে, তুমি গভীর নিদ্রায় মগ্ন।
আমার কিংবা প্রচলিত বিশ্বাস, দুটোর একটা ভূল হবে হয়তো। ঘূম মানেই যে মৃত্যুর সমতুল্য বা মৃত্যুর একটি ছবি তা মেনে নিতে পারলাম না।
তোমার সমস্ত কমল-ঘূমন্ত চেহারা শুধুই যেন আমার সাথে কথা বলছিল, আর ভালো বাসা ছড়াচ্ছিলো।
কত ভালো বাসা আমার জন্য জমা করা আছে তোমার কাছে কে জানে?
কিন্তু ঘূমন্ত ঐ মূখের ছবি যে আমার মনে কতো ভালো বাসা কত প্রেম জন্ম দিয়েছিলো তা ব্যাক্ত করার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু এতটুকু জানি, হারিয়েছি তোমার মহিম ভালবাসায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।