মেয়ে: এই তুমি কই এখন?
ছেলে: এই তো অফিস থেকে বের হব এখনি। তুমি কি করছ সোনা?
মেয়ে: আকাশ দেখছি। আকাশের বুকে ভীষণ মেঘ করেছে, তুমি কি দেখেছো?
ছেলে: না কাজের এত চাপে আকাশের দিকে ঠিক খেয়াল করে দেখিনি তো? অনেক মেঘ করেছে?
মেয়ে: ভীষণ মেঘ জান আমার। তুমি তো ভিজে যাবে, ছাতা নিয়েছিলে আজ?
ছেলে: না তো। আজ সকালেও তো ভীষণ রোদ ছিলো, ভাবিনি বৃষ্টি হবে।
মেয়ে: (কপট রাগে) তুমি সবসময় এই রকম কর, অথচ আজ বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগাবে তুমি।
ছেলে: সোনা আমি এখন আকাশ দেখছি, সত্যি ভীষণ মেঘ করেছে, তোমাকে খুব মিস করছি এখন। জান, আমি যদি আকাশ হতাম, তুমি মেঘ হয়ে ভেসে বেড়াতে আমার বুকে, তাই না?
মেয়ে: জানি না জান, সত্যি কি তুমি আমাকে এই রকম করে ভালবাসবে?
ছেলে: সোনা আমি তোমাকে ভীষণ ভালবাসি। নি:শ্বাসের সমস্ত অনুরণন জুড়ে তুমি আছো। ভীষণ ভালবাসি তোমাকে।
মেয়ে: তাহলে চোখ বন্ধ কর, অনুভব কর আমি তোমার সাথেই মিশে আছি।
ছেলে: মেলে ধর হাতের পাতা, তোমায় মুঠি ভরে আমি সমর্পণ করব বর্ষার প্রথম দিনে ঝরে পড়া সব কদম পাপড়ি।
মেয়ে: শুধুই পাপড়ি, ফুল নয় কেন?
ছেলে: কারণ ফুল গুলো গাছেতেই ভীষণ সুন্দর, আর পাপড়ি গুলো তোমার মুঠিতে।
মেয়ে: (জড়ানো স্বরে) জান আমি চোখ বন্ধ করে অনুভব করছি, তুমি আমার মুঠি ভরে পাপড়ি সমর্পণ করছ, আর আমি তোমার পছন্দের হালাকা সাদা বুটিকের কাজ করা শাড়ি পড়ে আছি।
ছেলে: আমি তোমাকে অনেক ভালভাসি সোনা।
মেয়ে: আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি জান। তুমি সাবধানে বাসায় যেও। ভিজনা কেমন? ভালবাসি জান।
ছেলে: আমিও ভালবাসি জান, অনেক অনেক।
ছেলেটি বের হয়ে দেখে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, সে দ্রুত পা চালায়।
হঠ্যাৎ ছেলেটিকে অবাক করে ভারী ভারী ফোটায় বৃষ্টি নামে ভীষণ। ছেলেটি মনে করেও ভুলে যায় মেয়েটির বৃষ্টিতে না ভিজার বারণ।
ছেলেটির কাছে বরং কাকভেজা হয়ে ঘোলা চশমার কাচে ভেসে ওঠা মেয়েটির মুখ ভীষণ ভাল লাগে। সে তখন কাকভেজা পথমানব হয়ে কদমের পাপড়ি খুজে চারিপার্শ্ব জুড়ে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।