আমার দেশ আমার মা, নাইজেরিয়া হবেনা
আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরাই তা রক্ষা করব: মুজাহিদ
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মো. মুজাহিদ স্বাধীনতা অর্জনের দাবি করে বলেছেন, "আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরাই তা রক্ষা করব। "
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগকে জামায়াত নেতারা আবারো 'জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা' আখ্যায়িত করে এর তীব্র সমালোচনা করেন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল মুজাহিদসহ দলটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জোরালো অভিযোগ আছে। দলটি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী জান্তার প্রতি সমর্থন দিয়েছিল। দীর্ঘদিন স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের মতো দিনে নিষ্ক্রিয় থাকলেও তারা বিগত কয়েক বছর ধরে অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।
ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্তে আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র করে বিডিআরকে পঙ্গু করে দেওয়ার অভিযোগ করেন মুজাহিদ। তিনি বলেন,"সরকার ভারতের কাছে নতি স্বীকার করলেও আমরা করব না। আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরাই তা রক্ষা করব। "
মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেও জামায়াতের কোন বক্তা আলোচনায় পাকিস্তান বা "পাক হানাদার বাহিনী" শব্দ উচ্চারণ করেননি।
প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী বলেন, "ভারত আমাদের নিকট প্রতিবেশী, স্বাধীনতা যুদ্ধের মিত্রশক্তি।
তাই তাদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হোক, কোন বাংলাদেশী নাগরিক সেটা আশা করেনা। তবে গত ৩৮বছরে তারা আমাদের সাথে ফারাক্কা বাঁধসহ যে আচরণ করেছে, তা কি কোন মিত্রের আচরণ?"
তিনি প্রশ্ন তোলেন, " প্রতিদিন সীমান্তে মানুষ মরছে, এটা কিসের আলামত?"
দলের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ টিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, "স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের কথা বলে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার ৩৮বছর পরে যেখানে অন্য অনেক সমস্যার সমাধান হয়নি, তখন স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের নামে বিভেদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। "
তিনি উল্টো অভিযোগ তুলে বলেন, "'৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে মাওলানা নুরুল ইসলাম মন্ত্রী ছিলেন, যিনি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। "
আলোচনা সভার সভাপতি ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খান বলেন, "সরকার স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের কথা বলছে।
কিন্তু তারা আরো অনেক বিচার করেনি। ৩৮বছর পরে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা হলে, পাঁচবছর আগে রাজশাহীতে শিবিরকর্মী হত্যার বিচারও করতে হবে। "
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, "সরকার স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের কথা বললেও, এখনো জামায়াতের নাম বলেনি। বলেননি, ভালো কথা, সে পর্যন্তই থাকেন, আর সামনে এগোবেন না। "
অন্য বক্তারা বলেন, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে, এতদিন পরে বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীকে দমন করতে চায়।
কিন্তু তাদের উচিত, বিরোধীদলকে সাথে নিয়ে দেশের উন্নতির কাজ করা।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন নুরুল ইসলাম বুলবুল, সাংসদ হামিদুর রহমান আজাদ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
---------------------
সূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।