আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুয়েটে মদপানে মারা যাওয়া ছাত্রলীগ কর্মীর স্মৃতিফলক নির্মাণ: আমরা আছি কোথায়? গুনীরা নীরবে অবহেলায় চলে গেল কেউ খবর রাখল না!!!!!! (সংগৃহীত)

নামহীন...... মদপান করে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীর নামে স্মৃতিফলক স্থাপন করায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করেছেন। শিক্ষকরা মনে করছেন কোন রকম অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কারও প্রতিকৃতি স্থাপন বেআইনি। তবে শিক্ষকদের সেই আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে খুলনা সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক কুয়েট ক্যাম্পাসে নির্মিত অতিরিক্ত মদ্যপান করে মৃত্যুবরণকারী কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির স্মৃতিফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন। গত বছরের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে অতিরিক্ত মদপান করে একেএম আহসান উল্লাহ ভূইয়া মেহেদী মারা যান। তিনি কুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

মেহেদীসহ ২ জন মারা যায়। মেহেদীর সতীর্থরা ক্যাম্পাসে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করে। মদপান করে যে শিক্ষার্থী মারা গেছে তার স্মৃতি রক্ষার নামে ক্যাম্পাসে চলতি বছর অক্টোবর মাসের শেষদিকে ক্যাম্পাসের খান জাহান আলী হলের সামনে স্মৃতিফলকটি স্থাপনের পর থেকে কুয়েটের শিক্ষকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চলতি মাসের ২ তারিখে জরুরি সাধারণ সভা করে ১২ নভেম্বরের মধ্যে স্মৃতিফলকটি অপসারণের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু সমিতির দাবি কর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করলে শিক্ষক সমিতি গত ১৭ নভেম্বরে সাধারণ সভা করে স্মৃতিফলকটি ভেঙে ফেলার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে সকল শিক্ষক ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ ব্যতীত সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার ৩ দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। বুধবার ছিল কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। এরকম পরিস্থিতির মধ্যেই নগরীর মেয়র বুধবার দুপুরে কুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে স্মৃতিফলকটি উম্মোচন করেন। উম্মোচনকালে তার সঙ্গে কুয়েটের ভিসি ড. মোঃ আলমগীর, অন্য ২ থেকে ৩ জন শিক্ষক এবং কর্মকর্তা- কর্মচারীদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে অবশ্য আ’লীগ ও ছাত্রলীগের বহিরাগত অনেক কর্মী উপস্থিত ছিল।

মেয়র অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় মেহেদীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেঁছনে ষড়যন্ত্র ছিল বলে ইঙ্গিত দিয়ে স্মৃতিফলক স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। উম্মোচন অনুষ্ঠানে মেয়র স্মৃতিফলকটি দেখেশুনে রাখার জন্যে ছাত্রলীগ কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। এখন বুঝুন কোন দেশে বসবাস করছি আমরা? কত জ্ঞানী গুনি অবহেলায় অনাদরে চলে গেল কেউ তাদের খোজ রাখল না। সেখানে আমরা মদপান করে মরা একজন ছাত্রকে আমরা স্মরনীয় করে রাখছি!!!!!!!!!!!!! ‍"যে দেশে গুনীর কদর নেই সেদেশে গুনী জন্মায় না" এদেশে এখন আগাছার কদর বেড়ে গেছে.............................. Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.