আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুয়েটে আবারো আক্রমন !!!

তুমি জেনেছিলে মানুষে মানুষে হাত ছুঁয়ে বলে বন্ধু; তুমি জেনেছিলে মানুষে মানুষে মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়, হাসি বিনিময় করে চলে যায় উত্তরে দক্ষিণে; তুমি যেই এসে দাঁড়ালে - কেউ চিনলো না, কেউ দেখলো না; সবাই সবার অচেনা।

গত দুমাসের মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইবার বাহিরের দুষ্কৃতিকারী দ্বারা আক্রান্ত হলো ছাত্ররা। সিট সমস্যার কারণে নতুন ব্যাচের স্বভাবতই বাইরে মেসে থাকতে হয়। আজ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হলো যন্ত্রকৌশল বিভাগের একজন নবীন ছাত্রকে। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্চনার শিকার হলো ক্যাম্পাসের অসামান্য এক ব্যক্তিত্ব।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজে সে এখন আহত অবস্থায় ভর্তি !!! প্রশাসন (আইন এবং কুয়েট) বরাবরের মতোই নিশ্চুপ রাজনৈতিক ক্ষমতার কাছে। স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ এবং তার সহেযাগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। একজন ছাত্র হিসেবে আমার প্রশ্ন এতটুকুই যে, আমরা কি শুধু প্রকৌশলী হওয়ার কারণে এখানে পড়ে আছি? আমাদের জীবনের কোনো মূল্য কি সরকার বা শিক্ষকমহোদয়দের কাছে আছে ??? আজ লাঞ্ছনার শিকার হয়ে আমাদের স্মারকলিপি দিতে হয় বিচারের দাবিতে!!! কী অদ্ভুত অবহেলা ! অনেকটা মৃত্যুশয্যায় ফরম্ পূরণ করার মতোই ব্যাপার! আজ একজন স্যার যদি ঐ ছাত্রের বদলে মার খেতো তাহলে প্রশাসনের কাছে বিচার চাইতে কি স্মারকলিপি লিখতো??? না কি অবহেলার শিকার কেবল ছাত্ররা? ছাত্র লাঞ্ছনার বিচার চাইতে গেলে , মিছিলে নামলে সচেতন(!) শিক্ষকসমাজ তাকে অস্থিরতা মনে করে ... সেই সব ছাত্রের নাম ব্ল্যাকলিস্টে যায়! এমনকি পরীক্ষার খাতায় নেমে আসে ভয়াবহ ফলাফল! এই কি ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক? তাহলে একজন শিক্ষক যদি লাঞ্ছনার বিচার চায় তবে তাকে কি সাসপেন্ড করা হবে??? কুয়েট ক্যাম্পাসে একের পর এক সাধারণ ছাত্র নির্যাতন হয়ে চললেও , অপরাধী হাতের নাগালে থাকা সত্ত্বেও , প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি, করা হয়নি কোনো সাধারণ ডায়েরী! ব্যক্তিগত উদ্যোগ থেকে যা কিছুই করা হয়, তা ধামাচাপা পড়ে ক্ষমতার মায়াজ্বালে! অথচ প্রশাসন যদি ছাত্রদের সাথে নিয়ে চলে তাহলে ছাত্র-শিক্ষক সকলেই মাথা উচু করে চলতে পারে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার দাবিতে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। আরিফ ও বাকিদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে তারা আগামীকাল থেকে ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে।

কুয়েট ক্যাম্পাসে সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ জিল্লুর রহমান সোহাগ এর উপর আসা আঘাতের প্রতিবাদ না করে , এমন কিছু ছাত্রও আছে, যারা চিন্তিত তাদের রেজাল্ট নিয়ে, ক্লাস নিয়ে !!! সেই সব মেরুদন্ডহীন ভবিতব্য প্রকৌশলীদের কিছু বলার নেই ... শুধু বলবো এই যদি হয় প্রকৌশলীর সংজ্ঞা, তবে আমি হতে চাই না প্রকৌশলী নামের ইন-জানোয়ার ... এর থেকে আমি মানবিক গুণসম্পন্ন সাহসী ফেরিওয়ালা হবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.