সারাদেশ যখন যুদ্ধাপরাধিদের বিচার এর রায় শুনার জন্য আকুল নয়নে তাকিয়ে আছে তখন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার নিয়ত নিয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে। তারই একটি অংশ হিসেবে গত ২৬/১২/১২ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয় এর অমর একুশে হল এ কুয়েট ছাত্রশিবির এর সভাপতি মেহেদি হাসান একটি জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় অমর একুশে হল ছাত্রশিবির এর সভাপতি মাহবুব (সি.এস.ই ০৯), অমর একুশে হল ছাত্রশিবির এর সাধারণ সম্পাদক শিমুল (পুর ১০) লালন শাহ হল সভাপতি মিনহাজ ( লেদার ১০) , ফজলুল হক হল সভাপতি নাজমুস সাকিব ( যন্ত্র ০৮), রাশিদ হল এর সভাপতি আসিফ আহমেদ (তড়িৎ ০৮) , খান জাহান আলি হল এর সভাপতি নাইম ( পুর ০৮) উপস্থিত ছিল। আগামী ৩০/১২/১২ তারিখে অমর একুশে হল এর বার্ষিক ফিস্ট থাকায় অমর একুশে হল এর হল কমিটি হল এর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে এবং গত ০১/০১/১২ তারিখের ঘটনার কথা সরণ রেখে সজাগ ভুমিকা পালন করছে। এ অবস্থায় ছাত্রশিবির এর গোপন সভার কথা তারা জানতে পায়।
এই খবর সাথে সাথে অমর একুশে হল ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হক মুন্না (পুর ০৮) জানতে পারে এবং সে তৎক্ষণাৎ অমর একুশে হল ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি শামিম(সি.এস.ই ০৮), সাংগঠনিক সম্পাদক লেলিন ( আই.ই.এম ০৯), রাজিব ভক্ত ( আই.ই.এম ০৮ ),সবুজ (তড়িৎ ০৮), বাপ্পি(পুর ০৯), লিপু ( পুর ০৯) , আলো ( পুর ১০) , পলাশ ( পুর ১০) , সনেট ( পুর ১০) ,নিহার ( পুর ১০) , শাহদাত( নগরপরিকল্পনা ১০) ,সম্রাট( পুর ১০) শুভ(ইসিই ১০) , আশিক( ইসিই ১০) ,জিসান( পুর ১০) ,সিমান্ত( তড়িৎ ১০) সহ ছাত্রলীগ এর আরও অনেক নেতা কর্মীদের নিয়ে ২০২ ও ২০৩ পূর্ব কক্ষে যায়। তারা সেখানে গিয়ে তাদেরকে গত ০১/০১/২০১২ এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে পরিনাম ভাল হবে না বলে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ এর কর্মীরা ছাত্রশিবির এর রুম তল্লাশি চালায় এবং সেইখানে বিপুল পরিমান এর জিহাদি বই,বোমা বানানোর সার্কিট,ড্যাগার, টাকা লেন-দেন এর রশিদ, ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মীদের নামের ব্ল্যাকলিস্ট, জিহাদি ডিভিডি ইত্যাদি পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রমান চায় এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে। উপযুক্ত প্রমানের প্রেক্ষিতে তারা শিবিরের উক্ত নেতাকর্মীদের হল থেকে আজীবন বহিস্কার করে এবং শুধুমাত্র পড়া-শুনা ব্যাতিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সকল প্রকার কার্যক্রম থেকে নিসিদ্ধ ঘোষণা করে।
যারা কুয়েটের মত শান্তিপূর্ণ রাজনইতিক পরিবেশ বিরাজমান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র নিয়ে রাখে, অস্ত্রের মহড়া দেয়ার প্রস্তুতি নেয়, বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্তের সাগরে পরিনত করার হুমকি দেয়, তাদের শুধুমাত্র হলবহিস্কার করে (যেখানে সামান্য র্যাগিং এর ঘটনায় কিছুদিন আগেও ১১ ছাত্রকে হল বহিষ্কার করা হয়েছে) কুয়েট প্রশাসন আবারো প্রমান করল তারা স্বাধীনতার পক্ষের,নাকি বিপক্ষের শক্তি।
বিঃদ্রঃ পোস্টে কোন ছাগু উল্টা-পাল্টা মন্তব্য করলে তাকে উত্তম গদামের সহিত আপ্যায়ন করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।