এযাবৎ কালে আমিই হয়তো একমাত্র জীব যে কিনা সরাসরি হিজড়াদের বিপক্ষে লিখতে বসলাম। বিভিন্ন জন এদেরকে বিভিন্নভাবে রূপায়িত করে, কেও সমাজ অবহেলিত, কেও নির্যাতি, কেও লাঞ্চিত। বিভিন্ন ভাবে এদের আখ্যা দিয়ে এদের প্রতি সহানুভূতি দিয়ে আসছেন যারা তাদেরও হৃদয়ে আঘাত লাগবে এই লেখাতে।
আমার একটি সাধারণ প্রশ্ন- কাজ করার জন্য কি যৌনাঙ্গ খুবই জরুরী???
উত্তর- অবশ্যই না।
একটা সময় ছিল যখন কর্মসংস্থানের অভাব ছিল তখনকার কথা আলাদা, কিন্তু এখন কর্মসংস্থানের কোন অভাব আছে কি? একজন হিজড়া যদি কারো বাসায় গৃহস্থলির কাজ করে তা হলে কেও কি তাকে তাড়িয়ে দেবে? অবশ্যই দেবে না বরং গৃহকর্তী আরো খুশি হবেন এই ভেবে যে জামাই তার কখনও কুনজর দেয়ার সুযোগ পাবে না।
বাংলাদেশে অনেক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে হিজড়াদের প্রধান্য দেয়া হয়। সেখানে একটি মেয়ে যদি কাজ করতে পারে হিজড়া কাজ করতে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। কাজের সময় কেও কাপড় উচিয়ে তার যৌনাঙ্গ কি তা দেখবে না।
একজন হিজড়া যদি দোকানে জব করে, যদি সেলস্ এ কাজ করে তা হলে তার কোন সমস্যা আছে কি? না তাদের কোন সমস্য নাই। তারা অনায়াসে করতে পারে।
এই লিঙ্গ না থাকার কারনে তারা অনেক নিম্চিন্তে চলা ফেরা করতে পারে যা একজন মেয়ের পক্ষে যা সম্ভব নয়।
এভাবে যেখানেই তাকান না কেন কাজের ক্ষেত্রে এদের বর্তমানে কোন বাধা নাই। কিন্তু এই জাতীটি করবে না। এরা সর্বদাই লিঙ্গের অনুপস্থিতিকে পূজি করে চাঁদাবাজি করে চলে। আসলে বিনাপরিশ্রমে যদি চলে যায় কে চায় পরিশ্রম করতে।
হিজড়ারা যা করে আমাদের সমাজেঃ-
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজিঃ প্রতিটি হিজড়ারর দলের (এরা দলবন্ধ থাকে দাপট দেখানোর সুবিধার্থে) এলাকা ভাগ থাকে। সেই এলাকা অনুসারে সপ্তাহে ১দিন কোথাও মাসে ১দিন নিদ্দিষ্ট হারে এদেরকে চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় হামলে পরে দলবল নিয়ে। আর সেই হামলে পরার ভয়ে কেওই এদের ঘাটেন না।
বাসাবাড়ীতে চাঁদাবাজিঃ কারো বাসায় নতুন বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলে এরা হামলে পরেন দলবল নিয়ে।
শিশুটিকে নিয়ে নাচ গান করে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুটি ভয় পেয়ে অসুস্থ হওয়ার খবরও পাওয়া যায়। অশ্লীল ভাষায় এদের স্বরোচিত নাচগাণ দিয়ে পরিবেশ মাতিয়ে উচ্চহারের চাঁদা দাবি করেন যা দেয়া অধিকাংশের পক্ষেই অসম্ভব। তাতে বেধে যায় ঝগড়া দ্বন্ড। চাঁদার হার কম হলেই এরা প্রথম কাপড় খুলে ভয় দেখায়।
তা না হলে প্রসাব পায়খানা করে পরিবেশ নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে। এদের কাছে মাফ চেয়ে, হাতে পায়ে ধরে রাক্ষা পাতে হয় নবজাতকের পরিবারকে।
বিয়ে সহ নানা আনুষ্ঠানিকতার বাড়িতে চাঁদাবাজিঃ এলাকায় কোন অনুষ্ঠান হলে এরা স্বদলবলে হামলে পরে। স্বরোচিত অশ্লীল নাচগান গেয়ে খাবার দাবার খেয়ে নষ্ট করে চাঁদা নিয়ে তারপর ছাড়েন। যা কিনা অনেকরে পক্ষের দেয়া সম্ভব হয় না।
এতো গেল তাদের দিনের বেলার কার্যকলাপ। কিন্তু রাতের বেলার কার্যকলাপ এদের আরো খারাপ। এরা নিজেরাতো মাদক সেবন করেই সাথে এলাকার যুবসমাজের মাঝেও এরা মাদক সরবরাহ করে থাকে। করে থাকে পতিতা সরবরাহের কাজও। পথ পতিতা সহ বিভিন্ন পতিতাদের সঙ্গে সংখ্য থাকে এদের্।
যার মাধ্যমে এরা এই কাজটি অনায়াসে করে চলছে।
এভাবে যদি কেও লক্ষ্য করে তা হলে দেখবেন এদের ভাল কাজের কোন নিদর্শন দেখাতে পারবেন না। তাই আসুন এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই সবাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।