সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল যখন প্রথম টিপাইমুখ বাধের কথা গণমাধ্যমে এলো, তখন এই সামুতেই প্রতিবাদের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। একের পর এক এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিবাদি লেখা হয়েছিল। যখনকার কথা বলছি, তখনও সামু এতটা পচে গলে যায়নি। মানে তখনো হাতে বালা ঝুটি বাধা দিনের পর দিন গোসল না করা বোহেমিয়ান ভাব ধরা লক্ষ্মী ট্যারা লোকজন সামুকে পুরো গিলে খায়নি। তাই অনেক টালবাহানার পর শেষমেষ দিনমজুর ভাইয়ের একটা লেখা স্টিকি করে প্রমান করতে চেয়েছে যে তারা প্রকৃত অর্থেই বিশাল দেশপ্রেমিক।
সেদিনের পর থেকে সুরমা কুশিয়ারা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। আমাদের স্মৃতির মিনার থেকে হারিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের চুড়ান্ত মরণফাদ টিপাইমুখের কথা। তবে কয়েকজন কিন্তু ভোলেনি। সহব্লগার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, স্বপ্নরাজ, বাবু>বাবুয়া>বাবুই এরা সবাই নো টু টিপাইমুখ ব্যানার নিওয়ে এখনো ব্লগিং করে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জিন্দাবাদকে সোলেমানি ব্যানের খাড়ায় আটকা পড়তে হয়েছে।
কেননা লক্ষ্মী ট্যাড়া জনৈক মডু তাকে অসম্মান করলে তিনিও ছেড়ে কথা বলেননি। স্বপ্নরাজ ব্লগের কর্মকান্ডে বিতশৃদ্ধ হয়ে লেখাই ছেড়ে দিয়েছেন। একই কথা বাবু ভাইয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এছাড়াও এই ব্লগে বিভিন্ন খেলো অজুহাতে ভারত বিরোধী জাতিয়তাবাদি ব্লগারদের সামুর নব্য মডুরা লেখালিখিতে অনুৎসাহিত করতে চেয়েছে। ভাবখানা এমন যে, এই সরকার চিরদিন ক্ষমতায় থাকবে।
তাই চিরদিনই ভারতীয় পদলেহন করে পার পাওয়া যাবে।
কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রি মনমহনশিং বাংলাদেশে এসে কত প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কাজ নাকি ইন্ডিয়া করবে না। ইন্ডিয়ান শাসকরা মুখ না পায়ুপথ দিয়ে কথা বলে। অথচ বাংলাদেশে থাকা ভারতপন্থিরা সেই পায়ু পথের গন্ধকেই সৌরভ জ্ঞান করে ভারতপ্রেমে বেহুশ।
এরা এতটাই সম্বিতহারা যে, ভারত বিরোধিতাকারিদের বিরুদ্ধে দাদাদের শেখানো পুরানো পচাগলা ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাতে এক মুহুর্ত দ্বিধা করে না। এই পোস্টেও দাদাদের পাছায় মুখ ঢুকানো ভাদাদের মন্তব্য দেখতে পাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ল্যাঞ্জা পাছে উন্মুক্ত হয়ে যায়, সেকারনে চুপি চুপি এসে কোন মন্তব্য না করেই পালিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশের ব্যাপারে ইন্ডিয়ানরা যে মাদারচোদ, তার হাজারো প্রমান রয়েছে। যাদের স্মৃতির পাতায় ধুলি জমেছে, তাদের স্মৃতি শক্তি জাগানোর জন্য মাত্র কয়েকটা উদাহারণ দিতে চাই।
স্বাধীনতার কিছুদিন পরেই মাত্র ৪০ দিনের সাময়িক অনুমতি নিয়ে ফারাক্কা বাধ চালু করেছিল। সেই ৪০ দিন পার হয়ে আজ ৩৮ বছর পার হতে চললো। সেই মরণফাদ দিয়ে আজ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের কি হাল করা হয়েছে, সেটা না হয় উত্তরাঞ্চলের ব্লগাররাই বলবেন। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে ভয়াবহ শত্রু ইন্দিরা কুত্তিটাকে মা বলা আমাদের তথাকথিত প্রধানমন্ত্রি সেটা নিয়ে কবিতা পড়েন "আমাদের ছোট নদীচলে বাকে বাকে, বৈশাখ মাসে তার হাটু জল থাকে। " কোন স্তরের ইন্ডিয়ান চামচা হলে কেউ একজন এধরণের দেশদ্রোহি কথা বলতে পারে ! এই মহিলাই নাকি আবার বলে তার মত দেশপ্রেমিক নাকি কেউ নেই।
আ লো মাতারি, এইটাই দেশপ্রেম হলে, গো আযম নিজামিদের চেয়ে বড় দেশপ্রেমিক আর কেউ হতে পারে না।
আচ্ছা খুব সাম্প্রতিক আরেকটা উদাহারণ দেই। সিডরের মহা বিপর্যয়ের সময় হাসিনার প্রাণপ্রিয় দাদা প্রণাব বাসু এসে বলে গেলেন যে তিনি ৩০০-৩৫০ ডলারে সম্ভবত ৫০০ কি ১০০০ মেট্রিক টন চাল রফতানি করতে দেবেন। গোয়া দিয়ে যারা কথা বলে, ওরা কি আর কথা রাখতে পারে?
চালের আক্রায় বাংলাদেশের অবস্থা তখন বেশ নাজেহাল। কিন্ত দাদার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক চাল তো আর আসে না।
নানা টালবাহানা করে শেষ মেষ সেই চালের দাম দ্বিগুণ করে দিল ইন্ডিয়া। আমাদের টাকা ছিল, তাই ইন্ডিয়ার চেয়ে অল্প দামে আমরা থাইল্যান্ড আর ভিয়েতনাম থেকে চাল কিনতে পেরেছিলাম। এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, আরেক ইন্ডিয়ান মাদারচো* পিনুক চকোত্তি বলেছিল, আমরা না খেয়ে তো আর আপনাদের খাওয়াতে পারবো না। ফকিরন্নির পুত বলে কি? তোরা জন্ম ফকিন্নি। আমাদের কি খাওয়াবি রে? আমরা তো নগদ টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিলাম।
তাও তোদের সেই সময়ের পররাস্ট্র মন্ত্রির ধরে দেয়া দামেই। অথচ ফকিরন্নির পোলাদের মত আমাদের অবস্থার সুযোগ নয়ে ব্যাবসা করতে চেয়েছিলি। তোদের ওই গু মুখে লাত্থি দিয়ে আমরা ঠিকই অন্য যায়গা থেকে চাল কিনে এনেছিলাম।
আবার আসুন সীমান্ত হত্যায়। ইন্ডিয়ানদের পাছায় অত মুরোদ নেই বলেই, সীমান্তে নিরপরাধ বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করে।
এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে, প্রতিশ্রুতি মাড়ায়। এ ব্যাপারে যেদিন হাসিনা -মনমহন শিং বৈঠক হয়েছিল, সেদিনও সীমান্তে ইন্ডিয়ান কাপুরুষ বাহিনী নিরপরাধ বাংলাদেশিদের হত্যা করেছিল।
এ হচ্ছে অনেক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের মাত্র কয়েকটি নমুনা।
আর সেই নির্লজ্জ দাসত্ব ঢাকতে তারা রাজনীতি, মিডিয়া আর ব্লগে বিভিন্ন নোংরামি শুরু করেছে।
ক্ষমতায় এসেই হাসিনা প্রথমে তার দাদারুপি আসল বাপকে ফোন করে আশির্বাদ চেয়েছিল।
পিলখানা হত্যাকান্ডের সময় সেনা সদস্যদের হতায়কান্ডের জন্য আওয়ামি নেতাদের নাম আসার ফলে হাসিনা যখন যায় যায় , তখন সেই দাদাই আবার হুমকি দিলেন। হাসিনার কিছু হলে নাকি ভারতীয় বাহিনী হস্তক্ষেপ করবে। ক্ষমতার আসার প্রথম দিন থেকেই ভারতেকে চাহিদা মোতাবেক সর্বস্ব উজার করে দিচ্ছে ইন্ডিয়ান দালাল এই আওয়ামি সরকার।
যারাই এর বিরোধীতা করছে, তাদেরকে আওয়ামি সন্ত্রাসিদের দিয়ে হামলা আর আওয়ামি চামচা পুলিশ /উকিল আর বিচারপতিদের দিয়ে রিমান্ড মামলা ইত্যাদি দিয়ে জীবন সংশয়ের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। সাথে রামপন্থি বাম অধিকৃত মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা অপবাদে জর্জরিত করা হচ্ছে।
এই রামপন্থি বামরা আবার আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভুমিকাকে বিশাল বড় করে দেখিয়ে ভারতকে মহান বানানোর চেস্টায় রত। তাদের দালালি এতটাই বেড়েছে যে, ওদের কথা শুনলে মনে হয় যেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা না, ভারতের নপুংশকগুলিই যুদ্ধ করে স্বাধিনতা এনে দিয়েছে।
যারা নতুন প্রজন্মের তারা অনেকেই এমন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে সেই মিথ্যাগুলিই সত্য বলে ভাবতে পারেন। আসল সত্য হলো, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে থেকেও শুধু নিখাদ দেশপ্রেম আর শৌর্য বীর্যের শক্তি দিয়ে ১৯৭১ এর নভেম্বর এর মধ্যেই পাকিস্থানিদের কোনঠাসা করে ফেলেছিল। পাকিদের পরাজয় ছিল শ্রেফ সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আর চাম নেবার জন্যই তখনই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলে আমাদের কৃতিত্ব এবং সম্পদ হাইজ্যাক করার জন্যই ভারতীয় বাহিনী মাঠে নেমেছিল।
এইসব ভাদা কুকুরগুলি ইন্ডিয়ানদের সুরে গলা মিলিয়ে বলে থাকে যে, আমাদের স্বাধিনতা যুদ্ধে নাকি ১০,০০০ ইন্ডিয়ান সৈন্য মরেছিল। একথা আমি বিশ্বাস করতে অস্বীকার করতে বলি। কারণ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকালিন সময়ে কলিকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে রক্ষিত ইন্ডিয়ান বাহিনীর কর্মকান্ড রেকর্ড সবই ইন্ডিয়ানরাই পুড়িয়ে ফেলেছে। যাতে তাদের বীরপুঙ্গব প্রকৃত চিত্র কেউ দেখতে না পারে।
পিলখানা হত্যাকান্ড নিয়ে যখন সারা দেশ শোকাকিভুত, তখন সেখান থেকে দৃস্টি ফেরাতে রামপন্থি বামদের অন্যতম মইত্যা তার প্র আলোয় লিড নিউজ করলেন ১০ ট্রাক অস্র মামলা । আরে ইন্ডিয়ানরা যখন শত শত ট্রাস্ক অস্র ট্রেনিং আর সাহায্য দিয়ে চাকমা সন্ত্রাসিদের বছরের পর বছর সাহায্য করতে পারে, আমরা কেন তাহলে উঃপুঃ ভারতের স্বাধীনতাকামিদের সাহায্য করতে পারবো না। কই কোন ইন্ডিয়ান পত্রিকা তো কোনদিন চাকমাদের দেয়া সাহায্য দেয়া নিয়ে কিছু বলেনি। তাহলে মইত্যার পশ্চাদদেশ জ্বলে কেন?
এই রামপন্থিরাই আবার সুশিল সমাজ, নারী অধিকার, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, প্রগতিশীলতা, মানবাধিকার ইত্যাদি নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলে। বিশেষ করে যখনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন শুরু করে, তখনই এই রাম পন্থি বামদের দেখা যায় অন্য ইস্যু নিয়ে শোরগোল তুলতে।
ব্লগেও এই ধরনের রামপন্থি বামদের অস্তিত্ব বেশ প্রকট। ঢাকার অভিজাত এলাকায় বসবাসরত কোটিপতি পাড় পুজিবাদি ধন্যাড্য বামপন্থির আশির্বাদে এরা সামুকে খোয়াড় বানিয়ে ফেলেছে।
আবার যেন জিজ্ঞেস করবেন না পাড় পুজিবাদি আবার বামপন্থি হয় কেমনে? একান্তই জিজ্ঞেস করলে বলবো, যেভাবে আসাদুজজামান নুর, মোজা বাবু টিভি চ্যানেলের মালিক হয়, যেভাবে কোন কাজ না করেও ইনু মেননরা দামি গাড়ি হাকিয়ে বেড়ায়, সেভাবে পুজিবাদিও বামপন্থি হতে পারে বৈকি। )
এখানে এদের মুখোশ হলো স্বাধীনতার চেতনা। এদের দেখবেন নারী অধিকার, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, প্রগতিশীলতা, মানবাধিকার ইত্যাদি নিয়ে চোয়ালবাজি করতে।
অথচ যখনই ভারতের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোন ব্লগার প্রতিবাদ করে লেখা দিবে, তখনই এরা রাজাকার, মৌলবাদি জঙ্গি ইত্যাদি তকমা এটে চরিত্র হননে লিপ্ত হবে। অথচ ভারতের বিরুদ্ধে নিজেরা একটা কথ বলবে না। পরিমল ইস্যু হোক, কিংবা টিপাইমুখ, এদেরকে দেখবেন দলবল শুদ্ধা ব্লগ থেকে রীতিমত হাওয়া হয়ে যাবে। যাতে লেখা তো দুরের কথা মন্তব্যও না করতে হয়। পাছে ল্যাঞ্জা বের হয়ে যায়।
আর এরাই দেখা যায় ব্লগে যারা জাতিয়বাদি যারা দেশপ্রেমিক যারা ভারত/আঃলিগ বিরোধী তাদের কন্ঠরোধ করার জন্য কত কসরত করে। যুক্তি আর সত্যের চাবুকে ওদের পশ্চাদদেশে হাজার বাড়ি খেলেও চরিত্র বদল করে না। উলটো সিন্ডিকেট করে দলবদ্ধভাবে ব্লগারকে আক্রমন করে এবং নতুন ব্লগারদের মধ্যে বিভ্রান্ত্রি ছড়ায়।
এই নির্লজ্জ ভারতপ্রেমের কারনেই স্বাধীনতার স্থপতিকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছিল। এখন যতই ইতিহাস উল্টো করে পাখি পড়ার মত শেখানো হোক না কেন, সেটা বদলাবে না।
সেদিনের সেই বীরদের প্রহসনমুলক আওয়ামি বিচারে হত্যা করা হলেও, ইতিহাসকে মুছে ফেলা যাবে না।
বাংলাদেশে এই রামপন্থি বাম আর ভারতবান্ধব আওয়ামি লিগ যতই নিজেদের শক্তিশালি ভাবুক না কেন, দেশদ্রোহিতার ফল তাদের ভোগ করতেই হবে। কিছুদিন আগে কিংবা কিছুদিন পরে। তবে এই সব কুলাঙ্গারদের পতনের আগে আমাদের নিজেদের সচেতন থাকতে হবে যেন, পরিবর্তনের সেই শুভদিন আসার আগে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব না হারিয়ে ফেলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।