Think different Do you have any permission to enter Bhutan? পারো এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন অফিসার প্রশ্ন করলেন। Do you have any invitation letter from anybody of Bhutan? উত্তরে বললাম না। এর পর আমাকে একটা রুমে বসতে বললেন। ওখানে গিয়ে দেখি আমার মতো আরেক জনকে বসিয়ে রেখেছে। মনে মনে চিন্তা করলাম হুট করে ভুটান চলে আসাটা বোকামী হয়েছে।
একজন অবশ্য বলেছিল রাজার বিয়ে ঊপলক্ষে এখন ভুটানে সবকিছু করাকরি চলছে। ৩০ মিনিট পর কোন রকমে ইমিগ্রেশন পার হলাম। ভাগ্য ভালো ছিল আমার জন্য আমার অফিস একটা ট্যাক্সি পাঠিয়েছিল। জীবনে এর আগে কোন দিন পাহাড় দেখিনি, তাই পাহাড়ের ঢাল দিয়ে ট্যাক্সিতে করে যেতে অসম্ভব ভাল লাগছিল। থিংপুর কাছাকাছি এসে দেখি রাজার বিয়ে ঊপলক্ষে সবাই রাস্তার পাশে জড়ো হয়ে আছে।
বিকালে ক্লক টাওয়ারের কাছে নাচ গান
পাহাড়ের উপর পিকনিকের একটা সুযোগ হয়েছিল একবার
মোট ১১ দিন ছিলাম। ভুটানে থাকা কালীন তাদের যে জিনিস গুলো আমার ভালো লেগেছিল সেগুলো হলো।
১। এয়ারপোর্টে কোন ঘুষ বা বকশিস দিতে হয়নি। (বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে ২০ টাকা দিয়েছিলাম)
২।
ট্যাক্সি ড্রাইভার গুলো অধিকাংশ অনেক ভদ্র। (আমাকে আসার সময় আমার কাছে তেমন টাকা ছিল না, ড্রাইভারকে আমার সমস্যার কথা জানানোর পর অনেক কম ভাড়া নিয়েছিল)
৩। ২ মিনিটের রাস্তা ১৫ মিনিটে যাবে কিন্তু কেও ট্রাফিক অমান্য করবে না
৪। কাচাঁ বাজার, রাস্তা সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
৫। সবাই কঠোর পরিশ্রমী,
৬।
যারা বড় বড় পজিশন বসে আছে, তাদের অধিকাংশর ব্যবহার অনেক ভাল।
৭। অফিসে, স্কুলে সবাই জাতীয় পোশাক পরে, বোঝা যায় না কে ধনী কে গরীব
যে জিনিস গুলো খারাপ লেগেছিল,
১। ছোট বড় সবাই পচা সুপারি ( ভুটানিদের ভাষা দুমা ) খায়। এ জন্য সবার গা দিয়ে গন্ধ বের হয়।
২। সব কিছুর দাম খুব বেশি।
৩। প্রচুর ঝাল খায়, বাবুর্চির রান্নার খেয়ে প্রতিদিন পেট খারাপ হতো।
৪।
বাসার মধ্যে বড় বড় ইঁদুর দৌড়াতো, কিন্তু কেও ইঁদুর মারতো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।