আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুটান ভ্রমনের বিষয়ে যা জেনেছি ।



গতকাল ভুটান ভ্রমনের বিষয়ে তথ্য চেয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম । ভুটান ভ্রমনের বিষয়ে তথ্য চাই অনেকেই তথ্য দিয়েছেন । সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি । বিশেষ করে ব্লগার অর্ফিয়াস অনেক তথ্য দিয়েছেন । এছাড়া ব্লগার মুহিব -এর দেয়া লিঙ্ক থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি ।

সব মিলিয়ে একটা সামারি তৈরী করেছি ঃ- ০১। ভুটানে এয়ারে যাওয়া যায় , কিন্তু এটা এক্সপেন্সিভ । ব্লগার শরীফ হোসাইন মৌন বলেছেন: আনুমানিক ২৫০০০ টাকা বাই এয়ার। (একজনের যাওয়া-আসা) । ভুটানে শুধুমাত্র ড্রুক এয়ারে যাওয়া যায় ।

লিঙ্কঃ (http://www.drukair.com.bt/)। ০২। এছাড়া বাই রোডে ভুটানে যাওয়া যায় । ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে, ভুটানের ফুটসলিং হয়ে থিম্পু । কমলাপুর থেকে সরাসরি শিলিগুড়ির বাস ধরতে পারেন।

ভাড়া নেবে ১৩০০ টাকার মতো। রাতে রওনা হয়ে শিলিগুড়ি পৌছাবেন পরদিন দুপুর ১২ টার দিকে। ব্লগার অর্ফিয়াস বলেছেনঃ- (ক)শিলিগুড়ি থেকে বাসে করে চলে যান সোজা ফুন্টশিলিং। সময় লাগবে ঘন্টদুয়েক। বিকেলের বর্ডার পার হয়ে থিম্ফুযাবার বাস ধরুন।

পরদিন সকাল ৯ টার দিকে পৌছাবেন। (খ) আমাদের বুড়িমারি বর্ডার কে ওরা বলে চেংরাবান্ধা বর্ডার আর ভুটান এর সাথে বর্ডারকে বলে জয়গাঁ বর্ডার। ফ্যামিলি নিয়ে গেলে সবচে ভালো হয় রাজারবাগ থেকে গ্রীনলাইন এর বাসে বুড়িমারি চলে যান। সকালে বুড়িমারি পৌছে বর্ডার পার হয়ে একটা এম্বাসেডর গাড়ি নিয়ে জয়গা (ফুন্টশিলিং) চলে যান। ভাড়া দরাদরি করতে হবে ৮০০-১০০০ রুপি নেবে।

জয়গাঁ যেতে লাগবে ৪ ঘন্টার মতো। এরপর সেখানে ইন্ডিয়ান কাস্টমসে যাবেন। কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে সোজা ভুটানে। এরপর র্বডার পার হয়ে ওপার চলে যান ভুটান কাষ্টমসএ। এখান থেকে ফর্ম নিয়ে ভিসার জন্য এপ্লাই করুন।

একটু পরই হাতে পেয়ে যাবেন। আর ফুন্টশিলিং থাকতে চাইলে তাও পারেন সে রাত। হোটেল ভাড়া পড়বে ৪০০ থেকে ৫০০ রুপি। এখানে দুটি দারুন পাহাড়ি নদী আছে। ঘুরে দেখত পারেন তা।

এরপর পরদিন সকালে বাসের খোজখবর নিয়ে গুমাতে যান। সকালে সোজা বাস ষ্ট্যন্ড এ গিযে বাসে উঠুন। সময় লাগবে প্রায় ১০ ঘন্টা। (গ) থিম্ফুর কয়েকটি জিনিষের দাম (প্রায়/বাংলাদেশী টাকায়) : পানি : ৪০ টাকা (১ লি কোক : ৪০ টাকা ট্যাক্সি : ১৫০ টাকা (৩ কিমি চা : ১৫ টাকা নুডলস : ১২০ টাকা ব্লগার মুহিব -এর দেয়া লিঙ্ক থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি যা নিম্নে দেয়া হ লো-(ব্লগার মুহিব এর কপিরাইট স্বীকার করে) থান্ডার ড্রাগনের দেশে - যেতে চান (ক) বাই রোডে গেলে ভারতবর্ষের উপর দিয়ে রয়েল ভূটান যেতে হয়। তাই ভারতীয় ট্রানজিট ভিসা করা লাগে।

(খ) বুড়িমারীর বিডিআর চেক পোস্ট, কাস্টমস, ভারতীয় বিএসএফ পার হয়ে চেংড়াবান্ধাতেই টাকা থেকে রুপি করে নিন। ভূটানেও রুপি চলে তবে ৫০০ রুপির নোট ভূটানে চলে না। তাই সর্বোচ্চ ১০০ রুপির নোট নিয়ে নিতে পারেন। ভারত আর ভূটানের কারেন্সি মান সমান। (গ) বর্ডার এলাকা থেকেই টাটা সুমো জীপে করে ভারত-ভূটানের বর্ডার জয়গা পৌছে যাবেন।

সময় লাগবে ২ ঘন্টা আর ভাড়া ১২০০/- রুপি। জয়গা পৌছে ভারতীয় ইমিগ্রেষনে এক্সিট করে নিন। আবার ভূটানের ফুন্টসলিং এ এন্ট্রি পাস নিয়ে নিন। (ঘ) ভূটানের ইমিগ্রষন অফিস বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। মনে রাখবেন ভূটানে যেতে আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি লাগবে।

(ঙ) ২/১ টি হোটেলের নাম , যেখানে নিশ্চিন্তে রুম বুকিং দিতে পারেন। ১. হোটেল ডেসটিনি ফোন - ০০৯৭৫-২-৩৩৫৪৪০/৪১, ০০৯৭৫-১৭৬০৯৯৯৬, ৭৭২৪৭৭৮৮ ইমেইল - ২. এমবিয়েন্ট ক্যাফে আর. পেনজর ভবন নং ৭এ নরজিন লাম ফোন - +৯৭৫-১৭১১৭৭৭১, ১৭১১৬৬৬১ ইমেইল - দুই হোটেলই থিম্পুর ক্লক টাওয়ার বা ট্রাফিক পয়েন্টের কাছে। ভাড়া ৮০০/- রুপির মত। ফেরার পথে ভূটানের সব কারেন্সি ভূটান থেকেই রুপিতে কনভার্ট করে আনুন। (চ) ভূটান যাওয়ার সময় ইমিগ্রেসনে পাসপোর্ট সাইজ ছবি আর পাসপোর্টের ফটোকপি লাগে।

তাই মনে করে আগেই নিয়ে নিন। (ছ) ভূটান সফরের জন্য গ্রুপ করা খুবই ভাল। আপনি গ্রুপ না পেলেও বাসে যেতে যেতে গ্রুপ করে নিন। সর্বোচ্চ ৮ জনের গ্রুপ হলে ভাল হয়। এতে ট্রান্সপোর্ট ও হোটেল পাওয়া সহজ হয়।

আর টুইন শেয়ারিং এ বা প্রতি কাপলের যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৪ রাতের ট্যুরে প্রায় ২৫,০০০/- টাকার মত খরচ হয়। -------------------------------- এছাড়া যা লাগবে ঃ- ভারতের ট্রানজিট ভিসা লাগবে । এজন্য http://www.ivacbd.com/ এই সাইটে গিয়ে আগে ই-টোকেন নিন । যেদিন ই-টোকেন নেবেন তার ১০/১২ দিন পরে জমা দেয়ার তারিখ পাবেন । ভিসা ফরম এই সাইটেই পাবেন ।

যারা আগে গেছেন এই পথে, সাহায্য করুন । হোটেল, ট্রান্সপো্র্ট , খরচ ..আপনার মতামত জানান ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৯৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।