আমি প্রায়ই অনেকের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হই- যে আমার এতো দুর্নাম কেন? কখনো জবাব দিতে হয় নীরব থেকে আবার কখনো কাউকে জবাব দিতে হয় কিছুটা ঘুরিয়ে পেছিয়ে। আমার ব্যাপারে যে এতো আলোচনা, অনুসন্ধান বা গবেষণা করা হয় তা শুনে আমি একটু নয় পুরোপুরি পুলকিত হই। যার যার খেয়ে পরে জীবনের মহামুল্যবান সময় যে সামান্য আমার পেছনে ব্যয় করছে পরিচিতি, অপরিচিত, আত্বীয়-স্বজন, অনাত্বীয়, অজানা, অচেনা, ব্যবসায়ী কিংবা সমাজিক অথবা ধর্মীয়ভাবেও যাদের সাথে নুন্যতম সম্পর্ক নেই তাহারাও। যখন শুনি আলোচনায় যোগ দিয়ে আমাকে ধন্য করেন, তখন নিজেকে গর্বিত না ভেবে কি উপায় আছে কোন? আমি আমার অঙ্গনে আড্ডায় কম যাই না। গভীর রজনী আড্ডায় আলোচনায় কাটিয়েছি।
আমার গাফলতি বা দোষ নেই তা কখনো বলি না- অপরাধের সরল স্বীকারোক্তি আমি সব সময়ই দিয়ে থাকি। যখনই আমি বুঝতে পারি আমার দ্বারা কোন ভুল হয়ে গেছে তখনি আমি ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থী হই। সে হোক আপন কিংবা পর, ছোট অথবা বড়। স্বদেশী বা বিদেশী।
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের সংখ্যা বা সীমা নেই।
এ পর্যন্ত যতটুকু কানে পৌঁছেছে তা হিসেব করে দেখলাম, আমার বর্তমান ৪০ বৎসরের প্রতিটি দিন বা মুহুর্ত হিসেব করলে অভিযোগ বেশি হয়ে যাবে বয়স থেকে। অভিযোগের খাতায় এমন কিছু ঘটনা রয়েছে যা আমি নিজেই জানি না। যখন জানলাম তখন ভেবে দেখি সেই কাহিনী ঘাঠানোর মতো শক্তি কিংবা সামর্থ কোনটাই আমার নেই। আমি দীর্ঘ ২ বৎসর কোন ধরণের ব্যবসার সাথে জড়িত নই। ইচ্ছাকৃত ভাবে লোকসানকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি, এরপরও অবাক করা অপবাদ ও দুর্নাম আমার।
এমন কি আমাকে অনেকে কারাগার পর্যন্ত পাঠিয়ে দিচ্ছেন, অথচ কোর্টেরই কোন হাদিস নেই। আজগুবি সব কথাবার্তা ঐ সব কথা যখন তখন আনমনে আমি হাসি আর মনে মনে বলি আমি যেন ভালো হয়ে চলি। আমাকে তুমি ধৈয্য দাও শক্তি দাও প্রভু আরো যেন নিজেকে মহৎ কাজে জড়াতে পারি। আরো যেন বেশি বেশি জনগণের সেবা করতে পারি। আমি তোমার কাছে হেদায়েত চাই এবং সহজ সরল পথেই যেন চলি প্রভু, তুমি যে আমাকে জীবন দিয়েছো তা যেন আমি উৎসর্গ করতে পারি কল্যাণকর পথে।
যখন আমাকে জিজ্ঞাস করা হয় তখন আমি উৎসাহ নিয়ে শুনি এবং আনন্দিত হই। এর কারণ হল ব্যর্থতা, অবজ্ঞা, অপবাদ, অবহেলা এসব জীবন চলতে পথে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। জানা যায় অনেক এবং তাহা থেকে চেনা স্পষ্ট করে ভাল মন্দ। মানুষের মধ্যে কে উত্তম তা অনুভব করা যায় সহজে মন্দেরও প্রকৃতি কি তা বুঝতে মোটেও কষ্ট হয় না। সর্বোপরি এসব জানলে নিজেকে সংশোধন, জীবনকে সংশোধীত করা যায়।
অবশ্য ঐ সব পাত্তা দেওয়াও অযথা সময় নষ্ট করা। চলার পথে গতিরোধ করাটা সমীচিন মনে করি না। সন্দেহ পোষণ করে বা কারো কথা শুনে কাহারো ব্যাপারে অলীক কাহিনী বলা বা ছড়িয়ে দেওয়া হল চরম আত্মগ্যাতি একটি ব্যাপার। এই পর্যায়ের লোকগুলোকে খোদা খুবই ঘৃনিত ভাষায় উপস্থাপিত করেছেন। এবং তাদের পরিণতির চরমতা সম্পর্কে হুশিয়ার করেননি শুধু শাস্তিও নির্ধারিত করা এদের।
তাদের অশান্তি আমি প্রায়ই লক্ষ অবলোকন করি এবং শঙ্কিত হয়ে যাই। বীণিতভাবে উপদেশ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। আমি তাদের থেকে ক্রমাগত শিখছি এবং বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছি। দুর্নাম কিংবা অপবাদ, অবরোধ, প্রতিহত, প্রতিরোধ কোনটিই আমার জীবন চালাতে আটকাতে পারেনি এখনো। সেরা মধু পেতে হলে মৌমাছির আঘাত সহ্য করতে হয়।
মৌমাছির হিং¯্র থাবায় কাতর হলে সেরা মধু পাওয়া যায় না। তেমনি সঠিকভাবে জীবন যুদ্ধে অযাচিত. অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশিত, ব্যবহার ও পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করা প্রয়োজন সাহসীকতা ও দৃঢ়তার মাধ্যেমে। আমার কাছের কিছু মানুষ এসব অপবাদে ব্যতিত হয়ে যখন আমাকে জানালেন এবং নিরাপদে দূরত্বে অবস্থান করে অবলোকন করছেন পরিস্থিতি তাদের ¯স্নেহ মমতা, সাহায্য- সহযোগিতা, আদর অপ্যায়ন, আবদার, অনুযোগ, অভিযোগ সবকিছুই আমাকে এগিয়ে নিয়েছে সমৃদ্ধ করেছে আগামী চলার পথে। এখন হাল ধরতে হচ্ছে। অপবাদ বা দুর্নামে আমার মনোবল কিছুটা ধীরগতি হলেও তাহাদের মনোবল আমাকে দিয়ে অটুট রয়েছে যখন দেখছি তখন বাধ্য হয়েই অপবাদ, অপপ্রচারকারীদের জন্য শুভ কামনা করতে হচ্ছে এবং চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে আরো বেশী বেশী অপবাদ অপপ্রচার দুর্নাম করুন, কারণ অপবাদের ঐসবইতো আমার জীবনের মূলধন।
আমিতো সম্বলহীন,মূল্যহীন। আমার সম্বল তো হল আপনাদের এই আলাপ আলোচনা, মন্তব্য কল্পকাহীনি অযথা সমালোচনা তবে সত্য জানতে হলে অনুরোধ রহিল দয়া করে একবার আমার সাথে যোগাযোগ করবেন বলে আশা রাখি এবং আবেদন এই যে বিভ্রান্ত হবেন না। শুভাকাঙ্খী সমর্থক, ভাই, বন্ধু সমালোচক সবার প্রতি রইল অনেক শুভ ও কল্যাণ কামনা। আশ্বস্থ করছি না সত্যিই বলছি আমি ছিলাম, আমি অঅছি, আমি থাকবো আপনাদেরই তরে, যতদিন বাঁচব আমি আছি থাকতে চাই আপনাদের ভালোবাসায়।
চৌধুরী হাফিজ আহমদ
http://www.flypopular.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।