ওলামায়ে কেরামগণ আমাদের সম্মানে পাত্র। বর্তমান যুগে তাহারাই হচ্ছেন আমাদের সঠিক পথ পদর্শক। সমাজে সচেনতা ফিরিয়ে আনতে তাহাদের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যার দরুণ আজও সমাজে তাহাদের মর্যাদা অপরিসীম। ভারতবর্ষের ইতিহাস লিখতে হলে আলেম সমাজকেই সর্বাগ্নে স্থান দিতে হবে। তাদের আত্মত্যাগ এবং বাহাদুরী আজকের প্রজন্মের কাছে রুপকথার মতই মনে হয়।
তাদের আন্দোলনের ফলেই সমাজ পেয়েছে স্থীতিশীলতা। তখন আলেম সমাজের কাছে যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বোধ ছিল তা বর্তমান সময়ে একদম লাপাত্তা। আলেম ওলামাদের কাছ থেকে বিভ্রান্তিমূলক কিছু পাব তা ভাবতেই পারি না। যেমনটি আজকাল দেখতে পাচ্ছি বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে যাহারা এদেশে আসেন তাদের বেলায় এমনটি হবার কথা নয়।
যদিও ওলামায়ে ক্বেরামদের মতানৈক্য রহমত স্বরুপ, উনারা একে অপরের সাথে বসে সমালোচনা করে সুন্দর সমাধান বের করে সাধারণ জনগণের কাছে তা পেশ করবেন এবং সেই অনুযায়ী সাধারণ মানুষরা তা মেনে চলবেন।
কিন্তু আজকাল মাওলানা হুজুররা তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে ধর্মপ্রিয় সহজ সরল মানুষদের ব্যবহার করছেন এর ফলে সমাজে চলে এসেছে অনেক ব্যাপারে বিভ্রান্তি। এ ধরণের বিভ্রান্তির কারণে যে ধরণের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে তাহাতে আলেম সমাজকে সমালোচনা না করে উপায় নেই। যদিও তাহাদের সমালোচনা আমাদের মুখে বেমানান। কিন্তু অহরহ দেখতে পাচ্ছি তাহাদের মধ্যে দলাদলী, সমর্থকরা করছে ঝগড়া-ঝাঠি, আল্লাহর ঘর মসজিদে ঝুলছে তালা, সামান্য ব্যাপার নিয়ে মারাত্মক ফতোয়াবাজী। যার দরুণ এক ভাই আরেক ভাইয়ের সাথে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করিতেছে, এক কথায় সামাজিক বন্ধন রুপ নিচ্ছে অসামাজিকতায়।
কু-সংস্কার মাথা ঝাড়া দিয়ে ঢুকিতেছে রন্দ্রে রন্দ্রে। এতে করে ইসলামের বৈশিষ্ট লোপ পাচ্ছে, হতাশা বিরাজ করছে চারিদিকে। এই দলাদলী আর অনৈক্যতাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। এক আলেম অপর আলেমকে যে ভাষায় সমালোচনা করেন তা শুনে অবাক হতে হয়। একজন অপরজনের সাথে সাক্ষাত করা তো দূরের কথা, নাম শুনলেই কাজ সারছে।
ওয়াজ নসিহতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে সব বক্তব্য প্রাধান্য পায় ব্যক্তিগতভাবে তাদের মধ্যে সে সম্পর্ক মোটেই আশা করা যায় না। তাদের চলায় বলায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার চাইতে নিজেকে প্রতিষ্ঠত করার তৎপরতা লক্ষ্য করার মতো। একেক জনের নামের আগে পরে এত উপাধি থাকে যা ইসলামের প্রধান খলিফা হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ)কেও মনে হয় হার মানবে। স্বরণ রাখা তো পরের কথা, মর্মসহ পাঠ করতেও কষ্ট হয়। সকলেই যদি এতে যোগ্যতা রাখেন তাহলে বাংলাদেশের এতে বেহাল অবস্থা কেন? কেন বাংলাদেশ এখন যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠছেনা।
মোজাহিদে মিল্লাত শুধু ওয়াজ নসিহত করে হওয়া যায় না। প্রকৃত ক্ষেত্রে যুদ্ধ জয় করতে হয়।
দোহাই আপনাদের, আগে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন এবং আমাদের বাঁচান, আপনাদের ঐক্যবদ্ধতা আমাদের মধ্যে এনে দিবে ভ্রাতৃত্ববোধ, এনে দিবে শৃঙ্খলা, দিবে সঠিক পথের দিশা, একসাথে এক মঞ্চে বসুন দেখবেন ফিরে পাবে ইসলাম পূর্ণতা। ঐক্যবদ্ধতাই ঈমানের দাবী এবং বর্তমান ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যেটা সময়ের দাবী সেটাও হচ্ছে ঐক্যবদ্ধতা। আপনাদের মনের হিংস্রতাকে কোরআনের আলো দিয়ে জ্বলিয়ে সেই কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিন সর্বত্র।
(পুরনো প্রকাশিত লিখা থেকে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।