তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল কোটা বিরোধী আন্দোলন চলছে শাহবাগে। বিসিএস পরীক্ষায় মেধাবীরা জায়গা পাবে না কোটার আওতায় তুলনামূলক কম মেধাবীরা জায়গা পাবে এটা একটা বড় প্রশ্ন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা, আদিবাসীদের কোটা, নারীদের কোটা এটা রাখা দরকার তবে এর সংখ্যা হওয়া উচিত যুক্তিসঙ্গত। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।
যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার আওতায় একবার সুবিধা পেয়েছে যেমন- ভর্তি- আবাসন, বৃত্তি- তারা কতবার সুবিধা পাবে তার কি কোনো নীতিমালা আছে? আবার কোটা পদ্ধতিকে সমালোচনা করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার মত ধৃষ্টতাও দেখছি। আসলে বিচিত্র এ দেশ। এক দল মানুষ আছে তারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, নারী বিদ্বেষী, আদিবাসীদের অধিকারের বিরুদ্ধে উচ্চ কণ্ঠে কথা বলে, সেই দেশে এদের জন্য কোটা রাখা আসলেই খুব কঠিন।
খুব কম মেধাবী হয়েও রাজনিতিকদের সন্তানা দলের বড় নেতায় পরিণত হন। এটাও এক ধরনের কোটা।
এর বিরুদ্ধেও কিন্তু কেউ কোনো কথা বলে না। বঙ্গবন্ধু এবং জিয়া পরিবারের হাতে দুই প্রধান দলের দায়িত্ব থাকাটা কোটারই নামান্তর।
কোটার অবসান চাইলে - সব ক্ষেত্রেই চাইতে হবে। আর এটা ঠিক- কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে অধি মেধাবীরা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে শ্লোগান দেবেন, নারীদের লাঞ্ছিত করবেন তাহলে তো মেধার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আর এটাও ঠিক কতজন মেধাবী বাদ পড়েছেন এবং কতজন মেধাবী আন্দোলন করছেন- ???? সবটার মধ্যে কিছু দৃ্শ্যমান এবং কি অদৃশ্য ধান্দা আছে।
আর কেউ না বুঝছে যারা আন্দোলনে আছে তারা নিজেরাই জানেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।