আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোটার বিলুপ্তি চায় জামায়াতও

শুক্রবার এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই কোটা ব্যবস্থার সুযোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মেধাবী না হয়েও সহজেই সরকারি প্রশাসনের উচ্চ পদে চাকরি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে দলীয়করণ করার উদ্দেশ্যেই এ কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা হচ্ছে। এতে সরকারি প্রশাসনে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঢুকতে না পারার কারণে প্রশাসন মেধা শূন্য হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রশাসনের দক্ষতা ও যোগ্যতা হ্রাস পাচ্ছে। কাজেই কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে চাকুরি দেয়া প্রয়োজন।


একদিন আগে বিএনপিও সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিলে আন্দোলনকারীদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করা হয় জামায়াতের বিবৃতিতে।  
রফিকুল ইসলাম বলেন, “হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান এবং কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও সংস্কার এবং পুনর্বিন্যাস করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ”
সোমবার ৩৪ তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে বুধবার ওই ফলাফল পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।


তবে সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। শুক্রবার রাস্তায় দাঁড়াতে চেষ্টা করলেও পুলিশের কড়া অবস্থানে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণে আগুন দেয় কোটাবিরোধীরা। ঘটনার সমালোচনার মুখে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতেও ‘আন্দোলন ত্যাগের’ ঘোষণা দেন।
প্রথম দিন এ আন্দোলনে সমর্থন দিলেও বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়ি ও প্রক্টরের কার্যালয়ে হামলার পর বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী অভিযোগ করেন, আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামায়াত-শিবিরই বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে।


এছাড়া ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন, জাসদ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের জোট ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আন্দোলনের পেছনে জামায়াতে শিবিরের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করে।
অবশ্য জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতিতে দাবি করা হয়, এ আন্দোলন বিশেষ কোন ছাত্র সংগঠনের আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন বৈষম্যের শিকার হওয়া ছাত্র যুবকদের। তাদের এ আন্দোলনের অবশ্যই যৌক্তিকতা আছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরিতে এ কোটা ব্যবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের পোষ্য কোটায় ৩০ শতাংশ, জেলা ও নারী কোটায় ১০ শতাংশ করে এবং উপজাতীদের জন্য রয়েছে ৫ শতাংশ কোটা।

এ হিসেবে কোটায় চাকরি পাচ্ছে ৫৫ শতাংশ। বাকি ৪৫ শতাংশ পূরণ করা হয় মেধার ভিত্তিতে।
এতে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাপ্য চাকুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কোটার কারণে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ নম্বর পেয়েও মেধাবীরা চাকরি পাচ্ছে না। অথচ কোটা ব্যবস্থার কারণে একজন কম মেধাবী ৫৫ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েও চাকরি পেয়ে যাচ্ছে।


জামায়াত নেতা রফিকুল বলেন, “এতে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বৈষম্যের ফলে তারা বিক্ষুব্ধ হয়েছে। যে কারণে তারা একান্ত বাধ্য হয়েই রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.