আমি শিক্ষানবীশ এবং কর্মী । সবার কাছ থেকেই শিখছি । সারা জীবনই হয়ত শিখে যাব। বন্ধু যুদ্ধে যাবা না?? মেঘ বলল, ‘কিসের যুদ্ধ রে? কেন??’ বলিস কি? খবর কিছু শুনিসনি তুই? মেঘ অবাক হয়ে চিন্তিত নয়নে ভ্রু কুচকে ফেলল ‘কি বলছিস এসব? ঠিক করে বল না!’ ওরা আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে রাতের আধারে, শুয়োরগুলো যাকে পাচ্ছে তাকেই মারছে। কাউকেই ছাড়ছে না বাড়ির পোষা কুকুর ছানাটিকেও না, কাউকে না। ক্ষেপে গেল মেঘ, এক লাথি দিয়ে যে চেয়ারটির উপর বসে ছিল সেটা ফেলে দিল, আমার শার্ট আকড়ে ধরে বলল ‘সত্যি বলছিস তুই? আমি জানতাম, শুয়োরের বাচ্চারা কাপুরুষের মত রাতের আধারেই হামলা করবে।যে দেশে তোর-আমার মত সৈনিক আছে, যে মায়ের তোর-আমার মত সন্তান আছে সে মায়ের সম্ভ্রমের দিকে দিনের আলোতে চোখ তুলে তাকানোর সাহস ওদের নাই, চল যাই……’ এক্ষুণি যাবি? খেয়ে যাই? চাচীর কাছে দোয়া চেয়ে নে! ‘নাহ, খাওয়ার সময় নাই।আর মায়ের দোয়া সবসময়ই আমার সাথে আছে’, আমি ওর ঘাড়ে হাত রেখে বললাম, চাচা-চাচী অনেক কাদবে রে! মেঘ রাস্তার পাশের পাতাহীন সজনে গাছটির দিকে তাকিয়ে বলল ‘যাওয়ার সময় হয়ত একটু কাদবে, কিন্তু যুদ্ধে না গেলে সারাজীবন কেদে যাবে ছেলের কাপুরুষতা দেখে, লজ্জা পাবে।’ অনেক মিস করব রে বাবা-মাকে, বড় আপাকে মেঘ এক নিমিষেই তার চটপটে ভাব থেকে যেন বেড়িয়ে এল হঠাৎ সে যেন প্রাণ ফিরে পেল, এতদিনের সিগারেটখোর মেঘ আজ আজ যুদ্ধে যেতে এক মুহুর্ত দেরি করতে আপত্তি করছে, ‘চল বন্ধু, বাবা-মা-তোর বড় আপা-আমার ছোট্ট পিলুর জন্যই তো যুদ্ধে যাওয়া! মন শক্ত কর, চল, আর দেরি না করি’ আমরা হাটা শুরু করলাম, দুজনের হাতে দুটো সিগারেট জ্বলছে আর মনে দুটো জলন্ত আগ্নেয়গিরি, ভিসুভিয়াস আর মাউন্ট মেরাপি… সৈনিক ২৫.০৩.১৩ ব্যক্তিগত জীবনে এমন কিছু বন্ধু পেয়েছি আর তাদের উপর এত বিশ্বাস করতে পেরেছি যে এটাও মনে হয় যদি আমরা '৭১ এ থাকতাম তাহলে এক ডাকে তাদের পাশে পেয়ে যেতাম। তাদের কেউই এত সুশীল নয়, সারাদিন গালি দেয়, সিগারেট খায়, পরীক্ষায় ফেইল করে, প্রেম করে ছ্যাকা খায়...... তাদেরকে উৎসর্গ করছি কবিতা গোছের লেখাটা.......
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।