আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি কোন এক অজপাড়া গায়ে বসে৷ সেদিন বাংলার অবস্থান, পরিবেশ অনুযায়ী নকশাল, রাজকার, মুক্তিযোদ্ধার সৃষ্টি হয়েছিল৷ আর নিরব ছিলই বেশিরভাগ মানুষ৷ আমাদের এলাকাটি ছিল নদীর অপর পাড়ে তাই এলাকায় নকশালের সৃষ্টি হল৷ যুদ্ধের শুরম্নতেই ঘরের ওয়ালে টানিযে দেয়া হল-''টাকা চা্ই, খাবার চাই, ছেলে চাই অথবা মাথা চাই৷'' আমার বড় ভাইয়ের বয়স মাত্র ১৯-২০ বছর৷ বড় বোনের কিছু আগে চরবিলা, শাহবাদের চেয়ারম্যানের বড় ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছে৷ আব্বা-মা, দাদা ভিষণ টেনশনে কিভাবে আমাদের নিরাপদে রাখা যায়৷ সেদিন প্রথমে-বড় ভাইকে চর বালিদিয়ার কিছু লোকের সাথে ভারতে পাঠিয়ে দিলেন৷ যাবার সময় আব্বা তার হাতের সোনার আংটি খুলে বেধেঁ দিয়ে বলেছিলেন-'যদি কখনও বেশি বিপদ পড় তখনই কেবল এটি ব্যবহার কারবে৷ '' আজ মনে হয় একটি সোনার আংটি দিযে কেনা এ পতাকাটি৷ এখানে একটি প্রশ্ন এসে দাড়ায়৷ সেদিন কি আব্বা ভাইকে বাচাঁবার জন্য দাদা সুরেস চন্দ্র মুখার্জীর কলকাতা ২৭ নং স্ট্রিটের বাসায আশ্রয়ের জন্য পাঠিয়েছিলেন না কি মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং এর জন্য ? যে উদ্দেশ্যেই তিনি পাঠান না কেন-' সাত কোটি বাঙ্গালীর হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি---৷ কিনত্ম তারা তাদের আদরের সনত্মানকে কাছে রাখতে পারেনি কারন নকশালের উপদ্রব-তারা তাকে খারাপ পথে নিয়ে যাবে তাই ভেবেই অনেক আদরের, সপ্নের ইসলামকে পারেনি কাছে রাখতে৷ আব্বার সপ্ন ছিল একটি স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে তার সনত্মানেরা স্বাধীনভাবে লেখাপড়া শিখে মানুষ হবে, চাকুরী করবে এতটুকু আশা যা আমি জানতাম৷ কারন তিনি ভারতে যেতেন, অফিস আদালতে ম্যাজিস্ট্রেডদের সাথে ঘুরতেন জমি সংক্রানত্ম কাজে, তাদের দেখে সপ্ন দেখতে আমার সনত্মানেরাও একদিন ম্যজিস্ট্রেড হবে৷ মা কাদছেঁ৷ দাদা আমার বড় বোনকে নকশাল, রাজাকার ও পাক সেনাদের ভয়ে তার শশুরালয়ে পাঠাবার সিদ্ধানত্ম নিচ্ছে৷ সাথে প্রানের ভয়ে আমাদের ছোট চারজনকেও যেতে হবে তার সাথে৷ কারন বোনের শশুর হলেন সেখানকার চেয়ারম্যান এলাকার প্রতিনিধি৷ তাদের বাড়ীতে বিদেশী কাপড়, গুড়া দুধ আর সকল সাহায্যের জিনিসপত্র সাজানো৷ ঘটা করে বড় আপাকে আর শশুর বাড়ী পাঠানো হলনা৷ আমরা আর পালকীর আওযাজ শুনতে পেলাম না৷ নৌকায় চলে গেলাম৷ এরা কেহই যুদ্ধে যায়নি৷ কারন এদের কোন ভয় নাই৷ তাওই সাহেব চেয়ারম্যান৷ সারাদিন হৈ, চৈ মাছ ধরা, ইচছামত বান্ডিল থেকে খুলে নতুন নুতন রিলিফের জামা প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াতাম৷ এরা তিন ভাই আর দুই বোন৷ দুলাভাই বড়৷ ভিষণ আনন্দে কেটে গেল তিনটি মাস৷ কেবল রেডিওর খবর ছাড়া আসে পাশে কাউকে মরতে দেখিনিা৷ তবে হঠাত্ একদিন জানলাম-গ্রামে একজনকে নকশালরা হত্যা করে রেখে গেছে-কুকুরে তার দেহ টেনে খেয়ে ফেলেছে৷ আমরা দেখতে গিয়েছিলাম৷ ভিষণ বিকৃত দেহ৷ হঠা্ত্ একদিন কানাই মামা এসে চরবিলায় হাজির হল৷ মা কাদছেঁ আমাদের দেখার জন্য৷ যে মা একটি দিন আমাদের না দেখে থাকতে পারেনি৷ সেই মা কেমন করে তিনটি মাস কোলের সনত্মানদের রেখে দিন কাটিয়েছিল আজ চিনত্মা করি সেদিন কতটা চোখের পানি তিনি ফেলেছিলেন৷ সেইত আমার মা যিনি পেরেছিলেন কিনত্ম কেন ? এই সোনার বাংলার জন্য৷ একটি সুন্দর পতাকার জন্য৷ ফিরে এলাম জালালসী গ্রামে৷ নৌকা থেকে নেমে বাবু, আহাদকে কানাই মামা কোলে নিল আর আমরা দু'বোন মাজা পানি ভেঙ্গে হেটে গেলাম বাড়ীতে৷ মা আমাদের জন্য অনেক কই মাছ, সৈল মাঝ রেধে রেখেছিলেন বেতাক দিয়ে আজও মনে পড়ে৷ মা আমাদের জড়িয়ে ধরে কাদঁছিল৷ মেঝে ভাই আব্বার সাথে জমিতে বর্ষার ভিতর পাট কাটত৷ একদিন হঠাত্ বড় ভাই ভারত থেকে গ্রামে ফিরে এল৷ ভারতে তার মন টিকেনি, কেবলই বাড়ী ও সকলের কথা মনে পড়েছে তাই ফিরে এসেছে গ্রামে৷ কিনত্ম এখানে নকশালের উপদ্রব৷ আমাদের পালাক্রমে নকশালের ভাত দিতে হচ্ছে৷ আমি বড় ভাইকে দেখেছি-তাদের ভাত খাওয়াতে অথবা নৌকার মাঝি হতে৷ আজ মনে হয় বড় ভাইয়ের মনে কত কষ্ট ছিল৷ তিনি ছিলেন সাহসী ও বীর, কৃষকের বড় সনত্মান, মাথা নত করা শিখেনি৷ অথচ আজ তাকে হয়ত বেয়ারা অথবা নৌকার মাঝি হতে হচ্ছে৷ আর যারা সেদিন নকশাল, রাজাকার হয়েছিল হয়েছিল তার সকলেই সম্ভবত নীচ ঘরের আর ছিল আমাদের চাকর৷ মনে পড়ে নলদী ক্যাম্পের রাজাকারের কমান্ডারের স্ত্রীদের পরিবারকে আমার আব্বা আমাদের জমিতে ঘর বেধে বাস করতে দিয়েছিল৷ আজ আপাতদৃষ্টিতে আমাদের গ্রামটি ঘুরলে দেখা যাবে আমাদের জমির উপর া্আজ গড়ে উঠেছে অনেক পরিবার৷ তারপর বড় ভাই একসময় মুক্তিযোদ্ধাদের দলে মিশে গিয়ে বাড়ী থেকে চলে গেলেন৷ মাঝে মাঝে বন্ধুদের নিয়ে বাড়ীতে আসতেন মাকে দেখতে আবার চলে যেতেন৷ মনে পড়ে একদিন এলেন বন্ধুদের নিয়ে৷ আমরা খেতে দিয়েছি ভাইয়ের ঘরে হঠাত্ কামানের আওয়াজ ও গুলির শব্দ৷ তারা সামনের ভাত রেখে পূর্বদিকে পাটের জমির ভিতর দিয়ে পালিয়ে গেল৷ আমি দেখলাম তাদেও রাইফেল ও গুলির বান্ডিল সবই পড়ে আছে৷ মেজে ভাই দ্রুত তা পাটের ভিতর দিয়ে এল৷ আজ যখনই কোন মুক্তিযোদ্ধার ছবি দেখি তখনই মনে হয় এইত আমার বড় ভাই যারা সেদিন রাতের পর রাত, দিনের পর দিন জীবন যুদ্ধ করেছিলেন৷ কিনত্ম কেন ? একটি স্বাধীন বাংলার জন্য৷ একটি লাল সবুজ পতাকার জন্য৷ তাইত আমি বাংলাদেশ সচিবালয় বসে কেবল খুজেছিঁ সেই অস্পষ্ট মুখগুলি যাদের সেই ১৯৭১ সনে আমি দেখেছি আমাদের বাড়ীতে৷ কেবলই মনে হয়েছে তারা কি কেহই বেচেঁ নেই ? হ্যা আমি দীর্ঘ বছর পরে দু'জনের সাথে আমার দেখা হয়েছিল ৪০ বছর পরে নড়াইলের মাটিতে প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে৷ আর তারা হলেন একজন উপ-পরিচালক (সমাজ কল্যান) যিনি আমাকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি আমার ভাইয়ের কাছের একজন বন্ধু যিনি ১৯৭১ সনে আমাদের বাড়ীতে অনেক সময় গিয়েছেন৷ আর একজন হলেন নড়াইল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য সচিব-মি: হাবিব (হাবিব ভাই বলে ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছিলাম কিনত্ম দেখিনি কোনদিন তাইত নাটকীয়ভাবে তার সাথে আমার পরিচয় ২০০৯ সালে শিশু মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট আনার জন্য)৷ আমার সারাজীবনের অভিজ্ঞতার আলোতে আলোকিত হয়ে আমি বাংলাদেশ সচিবালয়ে বসে ভেবেছিলাম এই পতাকাটি হল আমার মা যাতে আমার মায়ের চোখের পানি মিশে আছে৷ আর বড় ভাইয়ের সেই কষ্টের পরিশ্রম আকাঁ যা কেবল আমাদেরই প্রাপ্ত অন্য কারো নয়৷ কিনত্ম আজ সেই পতাকাটি বিভক্ত করে সকলেই তার অধিকার ভোগ করছে কিনত্ম সত্যিকারে যাদের চোখের পানিতে গড়া, সত্যিকারে যাদের রক্তে এটা লাল টকটকে রং ধারন করেছে তারাই আজ অবহেলিত, অনাদরে, অবহেলায় দিন যাপন করছেন৷ তাদের সকল আত্মত্যাগ, চোখের পানি, কঠোর পরিশ্রম সবই আজ ব্যার্থ হয়েছে৷ আরও আমি শুনেছি ২৫ শে মার্চের জেনোসাইড৷ পিলখানা থেকে পালিয়ে গিয়ে যে চাচা আমার গোপালগঞ্জে প্রথম মুক্তিবাহিনী গঠন করেছিলেন , তারপর সাতৰিরায় সম্মুখ সমরে পাকবাহিনীর সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন৷ তার লাসটাও তারা সেদিন পায়নি৷ অথচ সেই বৌমা আমার অল্প বয়সে বিধবা হয়ে সারাজীবন সাদা শাড়ী পড়ে চারটি অসহায় সনত্মান মানুষ করেছিলেন৷ আমি দেখেছি তিনি দারে দারে ঘুরেছেন তার সনত্মানদের একটি সরকারী চাকুরী দেবার জন্য কিনত্ম পারেননি ৷ আমি শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাহাউদ্দিন নাসিমের কাছে অনেকবার প্রধানমন্ত্রীর সাৰাত্ চেয়েও পাননি৷ অতি অল্প বয়সেই তাকে হাজার যন্ত্রনা বুকে নিয়ে জীবন কাটিযে অবশেষে পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন৷ আর তিনিই আমাকে সবচেযে বেশি ভালবেসেছিলেন আমার শশুরবাড়ীর জীবনে৷ তিনি কেবল তার সনত্মানের জন্যই নয় আমার জন্যও তিনি তার আত্মীয় (ভাইয়ের স্যালক) মরহুম তবিবুর রহমান রম্নন, সাবেক পরিচালক, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এর সোবহানবাগ সরকারী কোয়াটারে নিয়ে যান আর তাকে অনুরোধ করেছিলেন-'ভাই তুমি আমার বৌমাকে একটি চাকুরী দাও৷'' আজও আমার সেই বৌমা খোলা আকাশের নিচে চিরনিদ্রায় শায়িত পাশে আছে আমার স্বামী সাখাওয়াত, তাকে তিনি বেশি ভালবাসতেন৷ কারন এই চাচা কেবল তাদের চাচাই নয বন্ধুও ছিল৷ আর সেই চাচার রক্তে রঞ্চিত এই লাল পতাকা৷ তাই আজ এই পতাকায় আমি আমার নাম লিখেছি৷ এটা আমাদের রক্তের বিনিময়ে কেনা৷ যা কেবল আজ হাত বদল হয়ে গেছে৷ তাইত আমি আজ সেই পতাকায় নিজের নাম লিখেছি ৪০ বছর পরে কেবল আমার আগামী সনত্মানদের জন্য৷ যারা আমাদের মত ষড়যন্ত্রের স্বিকার হয়ে তাদের মুল্যবান সময় ও জীবন হারিযেছেন এই পতাকাটি আজ কেবল তাদের জন্য, অন্য কারো নয৷ কিনত্ম বড়ই দু:খের বিষয় আমি পতাকাটি দখল করলেও তাকে আজও স্বিকৃতি পায়নি৷ গত ১৬ ডিসেম্বর,২০১০ আমার বিজয় ঘোষনা করে আমি আমার ফেসবুক বন্ধুদের জানিয়েছিলাম৷ আরও জানিয়েছিলাম ঐঊজঙঊঝ ঘঊঠঊজ উওঊ গ্রম্নপের মানব সেয়ানাকে৷ তাকে বলেছিলাম তুমি আমাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্দানে নিয়ে চল যেখানে ১৯৯২ সনে জাহানারা ইমাম এসেছিলেন আর আমিও সেদিন সেখানে ছিলাম৷ আজ এতটা সময় পরে আজ আমি আবার ঐ সোহরাওয়ার্দী উদ্দান থেকে বাংলার জনগনের মুক্তি ঘোষনা করতে চাই যেখান থেকে শেখ মুজিব ৭ই মার্চের ভাষন দিয়েছিলেন৷ কিনত্ম মানব সেয়ানা সেদিন বলেছিল-এটা কেবল আমাদের নেটের সস্নোগান৷ তাইত আসতে পারেনি৷ অন্যান্য বন্ধুরাও কেহ আসেনি৷ কিনত্ম আমি গিয়েছিলাম আমার কথামত৷ সেদিন সুমন মাহমুদ (মানব সেয়ানা) গাজীপুর বলেছিল-আগামীকাল আমরা সকলেই স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওযাজে যাব৷ তাই আমিও সেদিন গিয়েছিলাম আমার বড় সনত্মানকে নিয়ে৷ তারপর আমাদের নতুন প্রজন্মদের সাথে টিনের ব্যারিকেট ভেঙ্গে আমি স্কোয়ারের মাঠে পৌছানোর পর ভিআইপি গেটে আমাকে আটকিয়ে দিয়েছিল, ঢুকতে দেয়নি৷ কারন আমার কাছে কোন কার্ড ছিলনা বলে৷ কার্ডত সেদিন ৩০০ 'র উপরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বিলি হয়েছিল কিনত্ম কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে কত জন গিয়েছিলেন ? কার্ডত আমার ড্রয়ারে ছিল যা নেবার সময় ছিলনা কারন সেখানে যাবার প্রোগাম আমার ছিলনা কেবল সুমন মাহমুদের কথামত সিদ্ধানত্ম নিয়েছিলাম৷ আমি প্রথমেই তাকে আমার পরিচয় জানিয়ে আমার বাংলাদেশ সচিবালয়ের আইডি কার্ড দেখিয়েছিলাম৷ তারপর মুখে বলেছিলাম-এডজুটেন্ট জেনারেল আমার দেবর, উপদেষ্টা মোদাচ্ছের আলী আমার বড় ভাই, এমননি বলেছিলাম-আমি হিউমানিস্ট কৃষান কন্যা কাজ করি নেটে৷ কোন যুক্তিই আগ্রাসী রুলসকে ভাঙ্গতে পারেনি সেদিন৷ এই হল সেই রম্নলস যা তৈরী করা হয় কেবল নিজেদের স্বার্থে৷ তাইত দাদা বাবার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট থাকলেই আপনি পাস করে গেছেন, ভিতরে প্রবেশ করম্নন৷ অন্যাথায় গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়৷ আমি কৃষান কন্যা আজ সত্যকে খুজেঁ ফিরি৷ আমাকেও সামান্য কার্ডেও জন্য গলা ধাক্বা দেয়া হল৷ যার জন্ম আমরা দেই৷ আজ আমরা সত্যিকার ইতিহাস খুজিনা, সত্যকে খুর্জি না, কেবল মিথ্যাকে বরন করে নেই৷ তাইত সামান্য কার্ডের জন্য গলা ধাক্বা দিয়ে বিএসএফ বের করে দিলেন, কিনত্ম বড় সত্যকে খুজলেন না, যা আমি মেনে নিতে পারিনি সেদিন তাইত আমার হাতের ব্যাগ আমি সজোরে তার উপর প্রয়োগ করেছিলাম৷ কেবল আমি তাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলাম-তোমরা ঘুমিয়ে আছ-তাই জাগিয়ে দিয়ে গেলাম৷ তোমরা মানবতাবাদী হও৷ স্বরন কর বিডিআর মিউটিনি-কেবল তোমাদের কিছু এই গড ভাবাপন্ন মানুষের জন্য সাধারন সৈনিক বিদ্রোহ ঘোষনা করেছিল আর জীবন দিতে হল কতগুলি নির্দোষ সৈনিকের৷'' তারা আমাকে ইলেকট্রিক চার্জ দিয়ে এরেস্ট, এরেস্ট করেছিল৷ আমি বলেছিলাম আমাকে এরেষ্ট করম্নন৷ আমি এরেস্ট হতে চাই অনত্মত: আমি এবার বাংলার সামনে কিছু বলতে পারব৷ আমার বোবা কান্নার কিছুটা অবসান হবে৷ কিনত্ম তারা করেনি৷ কিন্ত কেন ? একজন ব্রেন টিউমারের পেসেন্ট এক ঘন্টার উপর চিত্কার করার পরও তারা আমাকে রৌদ্রের ভিতর দাড় করিয়ে রেখেছিল৷ তারপর এক সময় ছেলেকে ডেকে বলল-তোমার আম্মা মেন্টাল পেসেন্ট৷ কেন তাকে এখানে নিয়ে এসেছ ? বাসায় নিয়ে যাও৷ তারপর আমি এসেছিলাম সোহরওয়াদীৃ উদ্যানে আমার সিডিউল অনুযায়ী৷ আর ঘোষনা করেছিলাম- এবারের সংগ্রাম বাংলার গরীব, দু:খী, প্রতিবন্ধী, অসহায় মানুষের মুক্তির সংগ্রাম৷ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷ তারপর সন্ধ্যায় আমার কলিগ হঠাত্ বাসায় এসে বললেন-আপনাকে নাকী এরেস্ট করা হয়েছে ? ডিবি অফিসে বসে উপ-সচিব (প্রশাসন) স্যার সংবাদ নেবার জন্য ফোন করেছেন৷ আমি বলেছিলাম-হ্যা আমি জানি আজ আমি বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বন্দী হলেও আমি মুক্ত এখানে কারন আমাকে বন্দী করার ৰমতা এই বাংলার কারো নেই৷ আরও বলেছিলাম-শেখ মুজিবকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহিস্কার করলেও আমাকে বহিস্কার সম্ভব নয়৷ কারন শেখ মুজিবকে তদনত্ম করতে ৫৭ বছর লেগেছিল আর কৃষান কন্যাকে লাগবে মাত্র ৫ মিনিট কারন আমি লেটেস্ট মিডিয়ায় কাজ করি৷ আরও বলেছিলাম-২৫ শে মার্চ জেনোসাইডের পর শেখ মুজিবকে পাকিসত্মানীরা এরেস্ট কওে নিয়ে গিয়েছিল পাকিসত্মানে কিনত্ম কৃষান কন্যাকে আজ তারা এরেস্ট কওে কারাগাওে নিতে পারবে না৷ যা হল তার সততা৷ অথচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতিয়া চৌধুরীর প্রশাসন সেদিন রাহিলাকে মানসিক রোগী বানিয়ে বাংলাদেশ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পার পেয়ে গিয়েছিল কিনত্ম পরবর্তীকালে আমার আবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার আমাকে পরীৰা না করেই জাতির সামনে সামরিক বরখাসত্ম কওে তাদেও অসততার পরিচয় দিয়েছে যা আমি মেনে নিতে পারিনা৷ সেদিন কেবল একজন মানুষই আমার বিষয়টিকে মুল্যায়ন করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি হলেন আমাদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবদুল আজিজ স্যার কিনত্ম কৃষি মন্ত্রনালয় তার পত্রের কি মুল্য দিয়েছিল সেদিন ? আমরা সকলেই আজ সত্যিকার বাসত্মবতাকে অনুধাবন করতে পারছি৷ সরকার কখনও আমলাদেও মুল্যায়ন করেনা তার কারন মন্ত্রিপরিষদেও ওয়েব সাইট থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনা মুঝে যাওয়া৷ এটাই আবদুল আজিজ স্যার তৈরী কওে গেছেন আর অন্য সচিব এসে মুছে ফেলেছেন৷ যাই হোক এ ভাঙ্গা গড়া খেলা থেকে আজ আমরা মু্িক্ত চাই৷ আমাদেও সপ্নের স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ চাই৷ (সমাপ্ত)৷ -কৃষান কন্যা রাহিলা ঊ্যক্তিগত কর্মকর্তা (সাময়িক বরখাসত্ম) কৃষি মন্ত্রনালয়৷ ৬ নভেম্বর, ২০১১ খ্রি:, বিকাল ৩-৩৬ মি:৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।