আমরা মনে করি রাজাকারদের পুরো বাহিনীকে ধরনী থেকে নিশ্চিহ্ন না করা পয'ন্ত আমাদের যুদ্ধ থামানো যাবেনা-তাই সবার প্রতি আহবান, আসুন- নিজ বাড়িতে নব নব প্রজন্মকে উদ্ভুদ্ধ করি। মনে রাখবেন, পরিকল্পিত আর সংগঠিত বাংলা'র শক্তি অপ্রতিরূদ্ধ। এই লড়াইয়ে বিজয় আমাদের হবেই
"স্যার, তুমি কবে আসবে? শুনেছি, তুমি নাকি আমার দিনে কাজ করার যে কারখানায় বড় বড় চাই করা বরফ বানাই,এগুলির মাঝে দিন যাপন কর-একেই নাকি কানাডা বলে? আমিও আছি একরকম, ইশকুল বন্ধ। স্যারেরা বল্লে-ইস্কুল চালাতে টাকা নাই-তাই গ্রীস্মের আম কাঠাল পাকার সময়টাকে আরো লম্বা বানিয়ে "গ্রীস্মকালীন ভ্যাকাশন" দিয়ে দিলে-জানিনা কবে আবারো যাবো ইশকুলে। "
-১-
আজকালকার সময় আবারো দ্রুত কেটে যাচ্ছে।
কিছু বুঝে উঠবার আগেই দেখি হাত পা কেমনে জানি কাজখানা করে দিচ্ছে। মেয়র ইলেকশন হলো এই সেদিন- মহিউদ্দিন সাহেব এর বিরুদ্ধে মতি মিয়া'র পত্রিকা'র সাথে আরও গোটা দুই "সরকার এর ভেতরে ছারখার" এর চালকদের পত্রিকাগুলি লিখে যাচ্ছিলো সমানে- প্রতিবাদ করবার চিন্তা মাথায় আসবার আগেই দেখি ইলেকশন এর বানানো রেজাল্ট হয়ে গেছে।
চীনা সরকার ছারখারকে বেশ কিছু নগদ অথ' দিয়েছে। খালেদা খালাও তাই তত্তাবধায়ক সরকার এর সময়ে কেনা এক্কালের মহিউদ্দিন এর ডান হাত ডিজিএফাই এর লোকটাকে দাড় করিয়ে দিলে। অগত্যা যা হবার হলোও তাই।
সরকার যিদি নিজেকে নিজেই unpopular করবার চায় -বাকী আনলাকি 13 এর কীই বা করার আছে?
সত্যি বলতে কি- আপনি যখন জুয়া খেলতে যাবেন- বোড' কিন্তু আপনার হয়ে কথা কবে না।
সারমম' এই যে, পাবলিকের হাতে ডিসেম্বর ২০০৮ এ অপশন ছিলো- "মন্দ" নতুবা "মন্দের মন্দ" কে বেছে নিতে।
তাই বলে আপাময় পাবলিকেরা কি সেক্সপিয়ারের "ওথেলো" ট্রাজেডির দিনলিপি লিখে যেতে থাকবে? অবশ্যই না/
হাত আছে-মুখ আছে, সবো'পরি আমাদের সুন্দর একখানা বাংলা ভাষা আছে-গব' করবার মতন ইতিহাস আছে- যদিও সেই সঠিক ইতিহাসটাই আমাদের পাঠ্যবই এ ছিলোনা। যা ছিলো- একরাশ পরাধীনতা আর মাথা হেট করা বিশাসঘাতকেদের রাজ-রাজত্তের ইতিহাস।
-২-
একেবারে সাধারন দিনযাপনকারী একদল দেশপ্রেমী তাই আর ঘরে বসে থাকলো না।
শুরু করে দিলো তারা আহমেদ সফা আর শিল্পী এস এম সুলতান এর গড়া "শিক্ষানিলয়" নামক সপ্নের ইশকুল। সামরিক এরশাদ সরকারের শাষনামলে প্রগতিশীল ও সৃজনশীল ব্যাক্তিদের গলা টিপে হত্যার নিদশ'নস্বরূপ ইস্কুলটিকে বন্ধ করে দেয়া হয়।
আহমদ সফা'র বড় গুন ছিল-তিনি কখনোই দম ফুরাবার যাবার পাত্র নন-তাই ঢাবি'র অদুরেই পাকে'র মাঝে পাতাকুড়ানিদের দলের আদশি'ক নেতা হয়ে গেলেন কিছুদুনের মধ্যেই। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আবারো ইস্কুলটির যাত্রা শুরু হয়-কিন্তু ততকালীন 'সফা-সুলতান পাঠশালা' বারংবার অথ'সংকটে পড়তে থাকে। কিছু এনজিও বিভিন্ন শতে'র বেড়াজালে নগদ অথ' সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়।
কিন্ত্য সামগ্রিক ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক পযা'য়ে ইস্কুলটিকে নিয়ে যাবার কোন অভিপ্রায় দাতা গোষ্ঠিদের ছিলোনা-পাছে বিদেশী অথ' এর নয় ছয় করবার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ইশকুল্টির প্রাধান শিক্ষক এর প্রানপন চেষ্ঠায় বত'মানে রাজধানী ঢাকার ইস্কাটনে দুশতাধিক সমাজের অবহেলিত- বঞ্ছিতদের নিয়ে বুক আগলে একে টিকিয়ে রেখেছেন। সাথে আছে একদল হার না মানা চিরতরুনের দল। সংখ্যায় নিতান্তই কম হলেও অজস্র বাধা পেরুবার শক্তি অলবৎ এদের আছে। আছে -ট্রাডিশনাল লিখাপড়ার থেকে সম্পুণ' ভিন্ন এক ধরন- যার মূল রচয়িতা ড. এ. এইচ. মঈনউদ্দিন আহমেদ।
আসলে এদের সবার নেশায় ধরেছে। কারো গানের নেশা- কারো আনমনা হয়ে থাকবার নেশা। তাইতো এই ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাঝে সঙ্গিত চচা'য় মনের গহিনের আনন্দ কথামালাকে ভুবনে নামায়ে আনতেই গানের ইশকুলও জুড়িয়ে দেয়া। দিনের আলোতে জ্ঞানে আলকিত করবার পরপরই শুরু হয় পড়ন্ত বিকেলে গানের আসর। সে আসরে সুর মেলায় আশেপাশে'র ছোট্ট ছোট্ট কিশোর-কিশোরীরাও।
বাংলার বিভিন্নত উতসবে 'সুরভারতী' নামের এই সঙ্গিতালয় থেকেই আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান্মালা। আছে ছবি আকিয়ে- ইংরেজী শিক্ষা'র আলাদা দল। প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক-সামাজিক বাধা বিপত্তি ব্যাক্তিজীবনে মোকাবেলা করবার জন্যে সমাধানমালা- যা ঢাকার আর কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আছে বলে আমার জানা নাই। সপ্তাহের শেষ সন্ধ্যায় সব শিক্ষক-তরুন আর উদ্যক্তাদের গুরুগম্ভীর আলোচনায় উঠে আসে সমাজের পরাধীনতা আর অসহায়ত্তের থেকে মুক্তির পথ-সবার যুক্তি আর বিশ্লেষনের মাধ্যমে। কি বন'-ধম' নিবি'শেষে সবাই এক কাতারে বসে প্রানের আলোচনা চলে ঘুমিয়ে পড়া রাত শেষ হবার আগ পয'ন্ত।
-৩-
লোকে বকছে- আমার কবিতা'র খরা চলছে-কাজের নেশাতেও ইদানিং আকাল ধরেছে। বলুকগে, আমার গোটা দুই হাততালির পরিবতে' আজ কাউকে যদি শিক্ষার আলোয় আনতে পারি-সপ্নের রঙ্গে সাজাতে পারি- তো এই ডের আমার জন্যি। আবশ্য কাজটা মোটেও সহজ না। আমাদের লক্ষ্য সুদুরপ্রাসারী। এই একই আলো আস্তে আস্তে গ্রামের' পর গ্রামে ছড়ায়ে দিবো-এই আমাদের প্রত্যাশা।
আর আমাদের ইস্কুলের ছেলে-মেয়েগুলি কি বলে-শুনতে চান?
"স্যার, তুমি কবে আসবে? শুনেছি, তুমি নাকি আমার দিনে কাজ করার যে কারখানায় বড় বড় চাই করা বরফ বানাই, এগুলির মাঝে দিনযাপন কর-একেই নাকি কানাডা বলে? আমিও আছি একরকম। ইশকুল বন্ধ।
স্যারেরা বল্লে-ইস্কুল চালাতে টাকা নাই, তাই গ্রীস্মের আম কাঠাল পাকার সময়টাকে আরো লম্বা বানিয়ে "গ্রীস্মকালীন ভ্যাকাশন" দিয়ে দিলে, জানিনা কবে আবারো যাবো ইশকুলে। "
গ্রীষ্মের তীব্রতায় আম-কাঠাল পাকবে কবে, আমি এই প্রত্যাশায় আছি।
----------------
সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
আমি আসলে স্কুলটির অথ' সঙ্কট মোকাবেলার পথ খুজছি। ব্যাক্তি ও সামষ্টিক উদ্যেগকে সাগত জানাই। দ্রুতই সঞ্চয়ীহিসাব খোলা হবে। সকলের মতামত/সহায়তা প্রাথ'নীয়- সেটি অথ' কিংবা শ্রম যে মাধ্যমই হোক-তাতেই আমি খুশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।