আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) সকালে ঘুম থেকে উঠে কতক্ষন টিভি দেখে দেখলাম ক্ষিদা লাগছে। আম্মার কাছে নাস্তা চাইতে বলে পাউরুটি আনতে পাঠাইছে, আনলে ডিম দিয়ে ভেজে দিবে।
মেজাজ গেলো খারাপ হয়ে। গেলাম রান্না ঘরে নিজেই রুটি বানিয়ে খাবো বলে। চিন্তা করলাম কি দিয়ে খাবো। দেখি আলু নাই। আবার সেই ডিম! মেজাজ-টেজাজ আগে চরমে উঠে গেছে।
ফ্রীজ খুলে দেখি পছন্দসই তরকারী নাই। চিচিংগা, কলা, করলা, মুলা আছে। রাগের চোটে ভাবলাম করলা দিয়ে-ই তিতা সবজী রান্না করে খাবো
দুই/আড়াই ইন্ঞ্চি পরিমান করে কেটে মুলা, করলা, চিচিংগা নিলাম।
সবজীগুলো পাতলা করে কেটে একটা পেঁয়াজ কুচি, বড় রসুনের কয়েক কোয়া টুকরো করে দিয়ে ধুয়ে নিলাম সবজীগুলো। এবার তিনটা মরিচ কুরি করে দিলাম।
চুলায় কড়াই দিয়ে একটু তেল দিয়ে ভাবলাম একেবারে অখাদ্য হলে খাবো কিভাবে, তাই একটু কালোজিরা, একটু মেথি ফোড়ন দিলাম তেলে। এবার সব তরকারী ঢেলে একটু লবন একটু হলুদ আর আধাকাপ পরিমান পানি দিয়ে ঢেকে দিলাম।
এর ফাঁকে রুটি বানালাম।
রুটি হতে হতে সবজী হয়ে গেলো। করলা দিয়েছি, এমনিতেই তিতা হবে তার উপর মেজাজ খারাপ করে খুনী দিয়ে সবজী আধা ভর্তা করে দিলাম।
শুকনা শুকনা হলে সবজী একটা প্লেটে নিয়ে রুটি দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। কালোজিরা, মেথির ঘ্রান আর ছিলো আর রসুনে কামড় লাগার ফলে মিষ্টি মিষ্টি লাগছিলো।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই রান্নার পূর্বে প্রধান শর্ত হলো মেজাজ চরম খারাপ থাকতে হবে। তবেই রান্না করা যাবে এবং খাওয়া যাবে।
শেষ কথা: যতটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা হয়নি, বরং মোটামুটি ভালই লেগেছিলো।
এই হলো সেই জিনিস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।