যে ব্যথা দেয়,তারও তো ব্যথা থাকতে পারে-মাটির ময়না মেডিকেলে ভর্তির পর কবে ক্লাসউত্তেজনায় ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছিল। প্রথম যখন মেডিকেলের বই কিনলাম,অতি উৎসাহ নিয়ে পড়তে বসলাম। অবশ্য প্রথমদিন পড়ে ১টা পৃষ্ঠাও শেষ করতে পারিনি। । ১ম আইটেমের আগের রাতে উত্তেজনায় ঘুম হয়নি।
৩বান্ধবী মিলে সারারাত পড়েছিলাম। যেহেতু বাংলা মিডিয়ামের স্টুডেন্ট ছিলাম,তাই কোন কিছু ভুলে গেলে,বাংলায় মনে পড়ত প্রথমে। আমাদের প্রত্যেকটা কার্ডের সময় আলাদা টিচার থাকতেন। অ্যাবডোমেন কার্ডে এক ম্যাডাম আসলেন,যিনি আমাকে আর আমার এক বান্ধবীকে মোটেই দেখতে পারতেন না কোনো এক অজ্ঞাত কারণে। ।
আমরা একবার ২/৩ দিন কলেজে যাইনি। এরপর ক্লাসে গেলে অসুস্থতার অজুহাত দেখালে ম্যাডাম মেডিকেল সার্টিফিকেট আনতে বলেন।
আমার বান্ধবীর বাসা ছিল আজিমপুর। আমরা সেদিন কলেজ শেষে সারাটাদিন আজিমপুর চষে বেড়িয়েছি মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য। অবশেষে সন্ধ্যাবেলা জোগাড় হয়েছিল।
আরেক বান্ধবীতো ভয়ে পায়ে ব্যান্ডেজ করে এসেছিল। ম্যাডাম আইটেম নিতে গিয়ে দেখেন এক মেয়ের আইটেম কার্ডভর্তি 'জিরো'। ও কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছিল না। ম্যাডাম ওকে জিজ্ঞেস করল,ধমনী অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বহন করে,নাকি শিরা। ও সেটাও পারল না।
ম্যাডাম অ্যাবডোমেন শেষ হবার আগেই চাকরি ছেড়ে দিলেন। নতুন স্যার আসলেন। স্যার যেকোন টপিক্স পড়াতে গেলেই হার্নিয়াতে চলে যেতেন।
এভাবেই কিছু আনন্দ,কিছু শঙ্কা নিয়ে কেটে গিয়েছিল ১ম বর্ষ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।