এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় যাঁরা আশানুরূপ ফল পাননি, তাঁরা উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, কোথাও কোনো ভুল ভ্রান্তি থাকলে শোধরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত ৬ অক্টোবর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তাঁরা পরীক্ষা ভালো দিয়েও ভর্তির সুযোগ পাননি। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, তাঁরা যে নম্বর পেয়েছেন, তাতে তাঁদের শীর্ষ মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তির সুযোগ পাওয়ার কথা। সেটি হয়নি।
প্রথম আলো অফিসে ফোন করেও অনেকে এই অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন বিভাগের পরিচালক এ বি এম আবদুল হান্নান প্রথম আলো ডটকমকে বলেছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয় শিগগির তিন সদস্যের একটি কমিটির নাম ঘোষণা করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখার কর্মকর্তারা সংক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীদের ২০ অক্টোবর থেকে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের এক হাজার টাকা টেলিটকে খুদে বার্তার মাধ্যমে জমা দিতে হবে। শিক্ষার্থীকে টেলিটকের প্রি-প্রেইড মুঠোফোন থেকে খুদে বার্তাটি পাঠাতে হবে।
প্রথম খুদে বার্তায় dghs<Space>RSC<Space>Roll no লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় আবেদনকারী একটি পিন নম্বর পাবেন। ফি দেওয়ার জন্য পিন নম্বর দিয়ে dghs<>RSC<>YES<>PIN লিখে খুদে বার্তা পাঠাতে হবে। ফি জমা হলো কিনা সেটিও খুদে বার্তায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল এডুকেশন শাখায় বেশ কয়েকজনকে অভিযোগ জানাতে দেখা যায়।
কর্মকর্তারা বলছেন, ফলে ভুলভ্রান্তি থাকার কথা না। কী ধরনের অভিযোগ আসছে, জানতে চাইলে এ বি এম আবদুল হান্নান বলেন, বেশির ভাগই বলছেন তাঁরা প্রত্যাশা অনুযায়ী নম্বর পাননি। ওই বিভাগেরই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের জন্য ৫৫টি আসন সংরক্ষিত ছিল, ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৯২ জন। ৫৫ জনের বাইরে যাঁরা আছেন, তাঁদের সবাই মেধায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে যিনি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন, তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আসা ছাত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিষয়টি বুঝতে না পারায় অনেকেই বলছেন, তাঁদের চেয়ে কম নম্বর পেয়ে কোনো কোনো শিক্ষার্থী শীর্ষ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন ১৭৮ দশমিক ৭৫ নম্বর নিয়ে সাধারণ কোটা থেকে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা থেকে আসা ছাত্র ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হতে পেরেছেন ১৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর নিয়ে।
জানা গেছে, গত বছর ফলাফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করে চারজন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।