আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড়ই ব্যথিত হলাম

আমি এপোলো এই চিঠিটা আজকের প্রথম আলোতে দেখে বড়ই ব্যথিত হইলাম। চিঠির একটা লাইনে লেখক ভিসি'র কাছে আবেদন করেছেন, যেন তিনি বেজন্মাদের ব্যপারে কিছু একটা পদক্ষেপ নেন। লেখকের ভুল ভাঙ্গানোর জন্যই বলছি, কুয়েটের বর্তমান ভিসি একটা ......। তিনি সমাজের অতি উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষিত অমানুষ। তার কাছে ন্যয় বিচার চাওয়া আর গরু ছাগলের কাছে সভ্য ব্যবহার আশা করার মধ্যে কোন তফাত নাই।

"চি ঠি প ত্র | তারিখ: ২৫-০৩-২০১৩ প্রতিকার চাই দীর্ঘ ১২ বছর বাবা-মায়ের সুশৃঙ্খল নিয়মকানুন ও স্নেহযত্নে গড়ে ওঠে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে কঠিন ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। বাবা-মা, ভাইবোন ছেড়ে আশ্রয় নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল আঙিনায়। কিন্তু সেখানকার কিছু সিনিয়র ছাত্রের ভয়াবহ কুৎসিত রূপ তাদের করে তোলে আতঙ্কিত। সম্প্রতি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক আত্মীয় ভর্তি হয়েছে।

তার কাছে খবর নিয়ে জানতে পারি সেখানকার ভয়াবহ চিত্র, যা অকল্পনীয়। নতুন ছাত্রদের যখন-তখন ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ‘বড় ভাই’ নামের কিছু ছাত্র। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের বিভিন্ন মেসে, ছাদে, হলের কক্ষে আটকে রাখে। যেতে দেয় না। তাদের কথা মেনে চলার জন্য নানা রকম হুমকি দেয়।

এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের স্বপ্নভরা কোমল মনে চলে মানসিক নির্যাতন। কোনো কোনো ছাত্রকে রাত দুই-তিনটা পর্যন্তও আটকে রাখা হয়। এটা কি মানা সম্ভব। এ অবস্থায় শিক্ষকের দেওয়া পাঠে তাদের মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমি একজন অভিভাবক হিসেবে এর প্রতিকার চাইব কার কাছে? এ ব্যাপারে প্রশাসন কি কিছুই জানে না? কুয়েটের ভিসি মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ, অবিলম্বে আপনি বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে শক্ত পদক্ষেপ নিন।

শিক্ষার্থীদের মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে অনুরোধ করছি কুয়েট থানার সম্মানিত পুলিশ প্রশাসনকেও। এ ব্যাপারে বিদ্বৎ সমাজেরও করণীয় আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক, ঢাকা। " Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।