১৯৭২ এর সংবিধানের মূল কপিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। এক-দেড় বছর আগেও কপিটি মন্ত্রণালয়ে ছিল, কিন্তু এখন নেই। কর্মকর্তারা এখন বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের কর্মকর্তাদের প্রতি দোষ চাপাচ্ছেন।
৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মূল সংবিধানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় লিখিত আবেদন জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান জানান, এ সংক্রান্ত কোনো ফাইল আইন মন্ত্রণালয়ে নেই।
সলিসিটর আমিনুল ইসলাম বলেন, সংবিধানের এই ফাইলটি এক-দেড় বছর আগেও আমি আইন মন্ত্রণালয়ে দেখেছি। এটি মন্ত্রণালয়েই থাকার কথা।
আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন প্রণয়নে প্রস্তুতির সময় '৭২-এর সংবিধানের মূল কপিটির খোঁজ করা হয়। কিন্তু তখনও এটি পাওয়া যায়নি।
এর আগে ’৭২ সালের মূল সংবিধানের সঙ্গে পরে সংশোধিত সংবিধানে বিরাম চিহ্নজনিত (দাঁড়ি, কমা) বেশ কিছু পার্থক্য দেখা যায়।
মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে মূল সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে ‘বিরাম চিহ্ন’ জনিত ভুল সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু মূল কপি খুজে পাওয়া না যাওয়ায় তাও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বার্তা২৪ ডটনেট’র পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের পাঁচ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা প্রায় একই সুরে বলার চেষ্টা করেছেন যে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যারা বানচাল করতে চায়, তারাই এ ধরণের কাজ করেছেন।
কপি সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের দায়িত্বের কথা বলা হলে প্রত্যেকেই তা এড়িয়ে গেছেন।
তবে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান জানিয়েছেন, ‘‘জাতীয় সংসদে থাকতেও পারে। ’’
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।