আমি কৃষান কন্যা আমাদের কৃষক সমাজ জানেনা সংবিধান কি এবং কেন রচিত হয়। কেবল জানে আমরা কি করছি, কিভাবে বেচেঁ আছি,কতটুকু অধিকার ভোগ করছি। এহ সংবিধান কি এবং কেন রচিত হয় যা জানার জন্য আজ বড়হ কৌতুহলী আমি।
সেহ ১৯৭২ সনে সংবিধান রচিত হয়েছিল, ১৯৭৫ সনেও সংধোধিত হযেছিল, তারপর সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে তা পরিবর্তিত হয়ে্ছে। আবার এখন ২০১১ সন এসে দেখছি সংবিধান সংশোধন।
তাহত আজ সাধারন জনগনের মনে প্রশ্ন জাগে আসলে সংবিধান কি এবং কেন রচিত হয়, সংশোধিত হয় বার বার ? সংবিধান হল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আহন,নীতি অথবা পলিসি যা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামো আর তা কেবল মানব জাতির কল্যানের জন্য নিবেদিত। তবে আজ আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় এহ সংবিধান কেবল মানুষের কল্যানেহ রচিত হয়না যা হয় মানুষের নিজেদের স্বার্থের জন্য। কাগজে কলমে ঠিকহ সংবিধান থাকে কিন্ত তার সত্যিকার বাস্তবায়ন ঘটেনা। সংবিধান পবিত্র আর তা মানুষের হাতে রচিত হলেও আবার সেহ মানুষের হাতেহ তা ধ্বংষ হয়ে যায়। যা আমি আমার জীবন থেকে দেখেছি।
আমাদের সংবিধান সম্ভবত: চারটি স্তম্যের উপর ভিত্তি করে দাড়িযে আছে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তা ও ধমনিরপেক্ষতা। সোজা কথায় হল- ঘরের খুটি বা ফাউন্ডেশন যার উপর ঘরটি শক্ত করে দাড়িয়ে আছে। আর আজ যদি আমরা প্রতিটি স্তম্ভকে/খুটিকে বিশ্লেষন করি তাহলে কি দাড়ায়-গণতন্ত্র কি ? আমাদের সাধারন মানুষ তা জানেনা্ । তবে আমি জেনেছি হহার অথ- সকলের সমান অধিকার।
প্রধানমন্ত্রী থেকে দেশের ভিক্ষুক পযন্ত। অর্থাৎ এখানে আমাদের সকলের সমান অধিকার থাকবে। কোন কিছুতেহ আমাদের ভিতর কোন বৈষম্য থাকবেনা। সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা, সাংস্কৃতি, বাসস্থান, লিঙ্গ হত্যাদি সকলক্ষেত্রেহ থাকবে আমাদের সমান অধিকার। এরহ নাম গণতন্ত্র।
আর সমাজতন্ত্র ? এর অথ সমাজে সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্টিত হবে। ধনী –গরীবের কোন ভেদাভেদ থাকবে না। সমাজে সকলের অধিকারহ সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। আর জাতীয়তা ? যা হল আমাদের জাতীয় সত্ত্বা যার যার জাতীয় সত্বা নিয়ে স্বমহিমায় মাথা তুলে স্বাধীনভাবে দাড়িয়ে থাকা। যেমন প্রথমেহ বলব বাঙ্গালী জাতি যে জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ১৯৭১ সনে পাকিস্তান থেকে আমরা বিভক্ত হয়েছিলাম।
তারপর আছে আদিবাসী জাতি। কিন্ত এখানে কথা থেকে যায়-১৯৭৫ সনে সেহ বাঙ্গালী জাতিসত্বার বিভাজন ঘটে। সৃষ্টি হয়ে যায় বাংলাদেশী নামে আর একটি জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী জাতি সত্ত্বা। আমাদের জাতীয়তাবাদী স্তম্ভটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আবার যখন শেখ হাসিনা বলছেন-বাঙ্গালীরাহ আদিবাসী।
আদিবাসী বলে কিছু নেহ। যা আমার বোধগম্য নয়। তাহত কেবল ভাবছি আমাদের সেহ জাতিসত্ত্বা বাঙ্গালী জাতি আজ বিলিন। কিন্ত কেন ?
এবার ধর্ম নিরপেক্ষতা কি ? যা হল সকল ধর্মের লোক স্বাধীনভাবে মিলেমিলে একটি দেশে বাস করা। কিন্ত আমার এখানে প্রশ্ন-১৯৪৭ সনে পাক-ভারত বিভক্ত হবার পর অবস্যহ কোন মুলনীতি ছিল যা আমার জানা নেহ।
তবে এতটুকু-পাক+স্থান=পাকিস্তান আর ভারত=ভারত মাতা। পাকিস্তানে কেবল মুসলিম সমাজ থাকবে আর ভারতে সব হিন্দু সমাজ। কিন্ত সেদিন বাংলায় অনেক প্রতাপশালী ব্রাক্ষন সমাজ বাস করত, আর তারা এখানে চাষবাস, ব্যবসা করলেও তাদের পরিবার ছিল ভারতে। বাঙ্গালী মুসলিম সমাজ ছিল সেদিন অসহায়। তাহত সেদিন ধর্ম নিরপেক্ষতাকেহ বে্শি মাত্রায় মুল্যায়ন করা হয়েছিল।
আর সেহ ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধটাও হয়েছিল ঠিক ভারতীয় হিন্দু শ্রেণীর প্রেরনায় ও সহাযোগিতায়। তাহত আমি দেখেছি বাংলার মুসলিম সমাজ যখনহ রাষ্ট্রীয় ধর্মের আওয়াজ তুলেছেন ঠিক আমাদের শাহরিয়ার কবির সাহেবরা সেদিন বলেছেন-আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য সেদিন যুদ্ধ করেছিলাম, রাষ্ট্রীয় ধর্মের জন্য নয়। তাহত বাংলায় আজ রাষ্ট্রীয় ধর্ম ও ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে সাধারন মানুষের ভিতর মতভেদ রয়ে গেছে। দেখেছি আমাদের প্রেসিডেন্ট এরশাদ সাহেবও সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ধম এনেছিলেন। আবার তা বিলুপ্তও হয়েছিল।
আবার দেখলাম ২০১১ সনেও সংশোধিত হল। যাহ হোক এহ ধর্ম নিয়ে আমি কিছুহ বলতে চাহনা। কেবল মনে হয় কেন এ সংবিধান আর কেনহ বা এর বিলোপ ঘটে ?
বাংলার সংবিধান হল-স্বাধীন, সাবভৌম রাষ্টের পবিত্র বিধান, আমানত যা দেশ ও জাতির কলানে রচিত আর তা হল মানুষের দ্বারা, কোন প্রকৃতির নয়, যা অতি পবিত্র। ১৯৭২ সনে প্রথম সম্ভবত: বাংলার সংবিধান রচিত হয় সেহ যুগোপযোগী করে । তারপর আবার বাংলা্র সেহ সংবিধান সংশোধিত হয় সম্ভভত: ১৯৭৫ সনে।
আর বিবতর্নের ধারায় দিনের পর দিন তা যুগোপযোগী করে সংশোধিত হয়েছে কেবল মানুষের কল্যানে। কিন্ত যখন আমরা দেখব সেহ সংবিধান আবার মানুষের হাতেহ বিলুপ্ত হচ্ছে, সংবিধান লক্ষন করা হচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেহ তা কেবল অসহায় মানুষের উপর প্রয়োগ হয় আর তখনহ তা হয়ে যায় মানুষের জন্য অকল্যানকর, যা ভেঙ্গে দিতে পারে দেশের সকল উন্নয়ন কমকান্ডকে। যা নিয়ে আজ ভাবতে হবে কেন সংবিধান রচিত হয় ? আর কেন সেহ সংবিধান কল্যান থেকে অকল্যানের পথকে বেছে নেয় ? কেন মানব কল্যান ব্যাহত হয় ?
বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। তাহ আজ যদি আমরা আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা এর আর্দশের কথা, তার সেহ মানবতাধর্মী রাষ্ট্র, সমাজ ব্যবস্থার কথা চিন্তা করি তবে সেখানে কি দেখতে পাহ ? তিনি জন্ম নিয়েছিলেন ঠিক সেহ বর্বর যুগে যখন মানুষের ভিতর কোন মানবতা, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ ছিলনা। যার যার মতাবলম্বী হয়ে তারা জীবন কাটাত।
ঠিক এমনি মুহুতে আল্লাহ মুহাম্মদ(সা দুনিয়াতে পাঠালেন কিন্ত কেন ? সুন্দর পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য। তাহ তিনি সেদিন ঘোষনা করলেন-আজ থেকে আরবের উপর অনারবের, অনাবরের উপর আরবের আর শ্বেতাঙ্গের উপর কৃঞ্চাঙ্গের আর কৃঞ্চাঙ্গের উপর শ্বেতাঙ্গের কোন পার্থক্য থাকবে না। সকলেরহ থাকবে সমান অধিকার। আরও ভাবলেন আজ যদি আরবকে শক্তিশালী করতে হয় তবে সকলকে একটি মতবাদে বিশ্বাসী হতে হবে-তাহ তিনি হহুদী, পৌত্তলিক সকল জাতি গোষ্টির বিলুপ্ত করে একটি মতবাদের উপর ভিত্তি করে রচনা করলেন মদিনা সনদ যাতে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সকল দিকহ সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যেখা্নে তিনি নারীকে বেশিমাত্রায় মর্যাদা দিয়েছিলেন।
তিনি জাকাত ভিত্তিক অর্থনৈতিক সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে তুলেছিলেন যাতে সমাজে ধনী-গরীবের বৈষম্য হ্রাস পায়। মোট কথা তিনি তার আদর্শে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে তুলেছিলেন। আজ আমাদের এহ দন্ধ, সংঘাতময় পৃথিবীতে তার আদর্শ অনুকরন করলেহ আমাদের মুক্তি আসবে আর আমরা পাব আমাদের সত্যিকার স্বাধীনতা ও মুক্তি।
একটি কথা বড় সত্য তা হল-আমাদের নবী মুহাম্মদ(সাকে আল্লাহ তালাহ দিয়েছিলেন ৯৯% জ্ঞান। আর আমাদের দিয়েছেন মাত্র ১% জ্ঞান।
আর আমরা সেহ আল্লাহর সৃষ্টি শ্রেষ্ট উম্মত আমাদের জ্ঞানের পরিধি দিয়ে সংবিধান রচনা করি। আবার সেহ সংবিধানকে নিজেদের স্বাথে বিলুপ্ত করি। আর যখন বলি-এটাত বাহবেল অথবা হসলামের সংবিধান নয় যে পরিবতন হবেনা ? তখন ভিষন খারাপ লাগে আর মনে হয় কেন আমরা আমাদের পবিত্র সংবিধানকে আল্লাহর সংবিধান বলে মনে করতে পারিনা ? কেন তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে পারিনা ? আর সংবিধান কেন মানুষের কল্যানে যুগোপযোগী করে রচিত হতে পারে না ? (অব্যাহত)
-কৃষান কন্যা রাহিলা, কৃষি মন্ত্রণালয়। (সাময়িক বরখাস্ত)।
৪ নভেম্বর, ২০১১ খ্রি:, সময় বিকাল ৩-০৬ মি:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।