আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছুটির দিনের ভুতের গপ্পো পইড়া আমি মজা ফাইছি আর হাহাপগে, আরো মজা লাগতো যদি এইটা...

রকর করক . . . . . . . পরথম আলু কম্পানির ছুটীর রাইতে' যহন আমার ল্যাখা এই মহামূল্য :-D :-D গল্প ছাপাইলো না তহন আর কি কর্মু, নীজের ঢোল নিজেই পিটাইতো হইবো :-(। গল্প হউক আর না হউক, এতো কষটো কইররা লেখছি...ডাস্টবিনে দিতে ইচ্ছা করতাছিল না, তাই.... ********* পনেরো বছর ********* রিয়াদ আর খান, দেশের শীর্ষস্থানীয় একটা কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। করপোরেট জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আদর্শ হিসেবে। রিয়েল প্রফেশনাল, এখন পর্যন্ত যতগুলো করপোরেট হাউসে কাজ করেছেন প্রায় সবগুলোর প্রোডাক্টিভিটি ও প্রফিট বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। চারটা-র মতো কোম্পানিতে কাজ করেছেন।

এখন এই কম্পিটিশনাল মার্কেটেও সেই কোম্পানিগুলো অনেকটা মনোপলি বিজনেস করে চলছে। এবং আশ্চর্যের ব্যাপার হলো প্রায় প্রতিটা কোম্পানি ই তাদের এই রিমার্কেবল প্রোগ্রেসের জন্য ক্রেডিটটা রিয়াদ খানকে দিয়ে থাকে। এমন অবিশাস্য সাফল্যময় ক্যারিয়ারের কারণে করপোরেট হাউসগুলোতে তার চাহিদা যথেষ্ট। তাই স্যালারীটাও ঈর্ষণীয়। তবে কোনো কিছুই তো আর এমনি এমনি হয়না।

কাজটাকে যথেষ্ট ভালোবাসেন রিয়াদ। এনার্জেটিক, সিনসিয়ার আর গ্রেট লিডার- এই তিন বৈশিষ্ট্যের কারণেই আজকের এই রিয়াদ খান। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় এই অবস্থানে পৌঁছেছেন। তবে চলার পথটা কখনোই সুগম ছিল না। ছাত্রজীবনে অনেক সংগ্রাম করেছেন।

পরিবারের অভাবের কারণে কতবার যে তার পড়ালেখা বন্ধের উপক্রম হয়েছিল! কিন্তু কিছু হ্দয়বান মানুষ আর নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনের এই পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। রিয়াদ খান কোম্পানির হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পরশু এজিএম, ব্যস্ততার অভাব নেই। দম ফেলার ফুরসতটুকু পাচ্ছেন না। টপ প্রায়োরিটি পায় এমন একটা প্রজেক্টে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ এক ছোকরা যথেষ্ট তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে।

এটা ঠিকঠাক করতে গিয়েই তার ঘাম ছুটে যাচ্ছে। এমন সময় রিসিপশন থেকে কল এলো, "একটা ছেলে আপনার সাথে দেখা করতে চাইছে। " "বলে দাও তিন দিন পর আসতে। এখন খুব ব্যস্ত। " "বলেছি, স্যার।

একেবারে নাছোড়বান্দা, আপনার সাথে দেখা করবেই সে। " "না করে দাও" "অসংখ্যবার বলেছি, কিছুই শুনছে না। " "ওহ, স্টুপিড! পাঠিয়ে দাও" মিনিট পাঁচেক পর ছেলেটা কোনো রকমের অনুমতি ছাড়া ই রিয়াদ খানের রুমে ঢুকে পড়ল। তিনি তখনও মাথা নিচু করে কাজ করে যাচ্ছেন। ছেলেটা তার ডেস্ক থেকে একটু তফাতে দাঁড়িয়ে মিনমিন করে কি যেন বলা শুরু করল।

এবং অনেকক্ষণ ধরে বলতেই লাগল। একসময় আর সহ্য করতে না পেরে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে ছেলেটার দিকে তাকালেন রিয়াদ খান। চোখে চোখ পড়া মাত্র তিনি দাঁড়িয়ে পড়লেন। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলো রিয়াদ খানের। মেরুদন্ড দিয়ে একটা দিয়ে একটা হিমশীতল স্রোত বয়ে গেল।

খুব ভালো করে তাকালেন, নিজের দিকে এবং ছেলেটার দিকে। হ্যাঁ, পনেরো বছর আগের। তার স্পষ্ট মনে আছে, দাঁড়িয়ে পড়েছিল। ইতোমধ্যে তার হাতে একটা ধাতব বস্তু চলে এসেছে। হঠাত্‍ রিয়াদ খান দেখলেন ছেলেটা তার দিকে এগিয়ে আসছে।

অজানা আতঙ্কে শিউরে উঠলেন তিনি। ধাতব বস্তুটা ছুড়ে মারলেন। গলগল করে রক্ত পড়তে লাগল ছেলেটার গাল বেয়ে। রিয়াদ নিজের বাম গালের নিচের দিকে গভীর কাটা দাগটা স্পর্শ করে নিশ্চিত হলেন, ছেলেটা পনেরো বছর আগের তিনি ই- রিয়াদ আর খান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।