গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হত্যা মামলার ভুয়া জামিন নামা প্রদানকারী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আসামীর স্ত্রী মোরশেদা বেগম।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে জি, আর ২০৩/১১ হত্যা মামলার ২১ আসামী হাইকোর্ট থেকে গত ২৪ আগষ্ট জামিন প্রাপ্ত হন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আসামী আইয়ুব আলী অন্যান্য আসামীসহ ২য় বার জামিন নিতে মহামান্য হাইকোর্টে যেতে চাইলে ধর্মপুর গ্রামের মৃত হাজী নবির উদ্দিন মুন্সি (ডাকুয়া)’র পুত্র আবু বক্করের পরামর্শ মতে গাইবান্ধা সদর থানার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মৃত রহমানের পুত্র রাজন ওরফে রেজাউল জামিনের দায়িত্ব নেন। রাজন বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে একজন আসামীসহ ঢাকা যান এবং ১৯ অক্টোবর ২১ জনের নামে হাইকোর্টের ইস্যুকৃত ৮ মাসের জামিন নামার ফটোকপি আসামীদের হাতে তুলে দেন। প্রতারক রাজন আসামীদের ২/৩ দিনের মধ্যে জামিনের মূলকপি কোর্টে প্রেরণের কথা বলে বিদায় করেন।
এদিকে গাইবান্ধা আদালত হাইকোর্টের মূলকপি না পাওয়ায় আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জামিনের উপর শুনানী স্থগিত করেন। মামলার বাদি বিষয়টি মহামান্য হাইকোর্টের দৃষ্টিতে নিলে প্রদেয় জামিননামা ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। হাইকোর্ট বিষয়টি তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়। উলে¬খ্য গত ৮ মে/১১ উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে মারামারিতে আহত অবস্থায় ১০ মে/১১ ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লুৎফর রহমানের পুত্র এন্তাজুল মারা যান। এব্যাপারে ২১ জনকে আসামী করে ১০ মে/১১ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
থানার মামলা নং- ১৭। এদিকে জামিন নামা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় আসামীরা সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। ভূয়া জামিননামা প্রদানকারী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে এক আসামীর স্ত্রী মোরশেদা থানায় একটি অভিযোগ প্রদান করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হাইকোর্টের ভুয়া জামিননামার সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান উদঘাটন সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।